সুন্দরী স্ত্রী, কোটিপতি শ্বশুর, বিয়ে করে রাজত্ব আর রাজকন্যা একসঙ্গেই পেয়েছেন ববি দেওল

বলিউড (Bollywood) তথা ওটিটি দুনিয়ার জনপ্রিয় তারকা হলেন ববি দেওল (Boby Deol)। ধর্মেন্দ্রপুত্র ববি ইদানিং ছবি ছেড়ে ওয়েব সিরিজেই মন দিয়েছেন। তবে তিনি যদি কিছু না করে স্রেফ ঘরেও বসে থাকেন তাও তার কখনও অভাব হবে না। কেন জানেন? কারণ তিনি হলেন কোটিপতি বিনিয়োগকারী দেবেন্দ্র আহুজার জামাই। বিয়ে করে রাজত্ব এবং রাজকন্যা একসঙ্গেই পেয়েছিলেন তিনি।

দেবেন্দ্র আহুজা বেসরকারি ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মচারী ছিলেন। তবে তিনি শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে ৩০০ কোটি টাকার সম্পত্তি করেন। তবে বলিউডের কোনও তারকা না হয়েও তারকাদের থেকেও রঙিন ছিল তার জীবন। বিপুল সম্পত্তির মালিক হয়েও নিজের বাড়িঘর ও পরিবার থেকে তাকে দূরে সরে যেতে হয় শুধুমাত্র পরকীয়ার কারণে!

শোনা যায় ববি দেওলের শ্বশুর মশাই এক বিমান সেবিকার প্রেমে পড়েন। দুজনের মধ্যে বয়সের পার্থক্যটা ছিল ২০ বছর। বাবার এই বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কটা মেনে নিতে পারেননি দেবেন্দ্রর ছেলে বিক্রম। তাই তিনি বাবাকে মুম্বাইয়ের মেকার টাওয়ার অ্যাপার্টমেন্টের পাঁচ হাজার বর্গফুটের বিলাসবহুল ফ্ল্যাট ছেড়ে অন্য কোথাও থাকতে বলেন। ছেলের কথা মেনেও নেন দেবেন্দ্র।

বিমানসেবিকা প্রেমিকার সঙ্গে নরিম্যান পয়েন্টের কুড়ি তলার একটি ফ্ল্যাটে থাকতে শুরু করেন দেবেন্দ্র। তবে তিনি ছেলের সঙ্গে আর কোনও সম্পর্ক রাখতেন না। তার কাছে একমাত্র আপন হয়ে উঠেছিল তার জামাই ববি। ততদিনে তার কন্যা তানিয়ার সঙ্গে ববির বিয়েও হয়ে গিয়েছে। দলিল বানানোর সময় ছেলেকে সম্পত্তির ভাগ না দিয়ে মেয়ের নামেই নাকি সম্পত্তি লিখে দিয়ে গিয়েছেন দেবেন্দ্র

তিনি চেয়েছিলেন তার শেষকৃত্যের সময় যেন জামাই তার মুখাগ্নি করে। পরিবারের কোনও অনুষ্ঠানে বিক্রম এলে দেবেন্দ্র থাকতেন না। বাবার কথা অনুযায়ী তানিয়াও ভাইকে কোনও অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ করতেন না। ২০১০ সালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয় দেবেন্দ্রর। বিক্রমকে বাবার মৃত্যুর খবরও দেওয়া হয়নি। ওই সময় ববি শুটিংয়ের কাজে ছিলেন বিদেশে। শেষকৃত্যের জন্য তার ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হয়।

বলিউডে গুঞ্জন, ববি যদি অভিনয় করা ছেড়েও দেন তাও তিনি স্রেফ স্ত্রীর সম্পত্তিতেই বিলাসবহুল জীবন কাটাতে পারেন। যদিও ববি একটি সাক্ষাৎকারে দাবি করেছিলেন শ্বশুর মশাইয়ের এই সম্পত্তি তার স্ত্রী, প্রেমিকা এবং তিন ছেলেমেয়ের মধ্যে ভাগ হয়েছে। এও শোনা যায় দেবেন্দ্রর সম্পত্তি থেকে যে পরিমাণ অর্থ তারা পেয়েছিলেন তার বেশিরভাগটাই ছবি তৈরির কাজে ব্যয় করেছেন।