বাপি লাহিড়ীর নাম উঠতেই সকলের চোখের সামনে ভেসে ওঠে এক গা সোনার গয়না, চোখে সানগ্লাস আঁটা হাসিখুশি গোলগাল এক চেহারা। টলিউড থেকে বলিউড, বাপি লাহিড়ীকে এক ডাকে সকলে চেনে। আর তার সোনা প্রীতির কথাও সকলেরই জানা। বাপি লাহিড়ীকে তার জীবনকালে কেউ কখনও সোনা ছাড়া দেখেননি। গায়কের মৃত্যুর পর তার সাধের সোনাগুলির কী হয়েছিল জানেন?
ঘরে বাইরে যেখানেই থাকুন না কেন, বাপি লাহিড়ীর সর্বাঙ্গে সবসময় কয়েক লক্ষ টাকার সোনার গয়না থাকতো। সোনাকে তিনি খুবই শুভ বলে মানতেন। বাপি লাহিড়ী বিশ্বাস করতেন তার জীবনে সোনা সবথেকে পয়মন্ত জিনিস। সোনা কিনলে তিনি জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, সৌভাগ্য এবং সফলতা পাবেন বলে বিশ্বাস করতেন। এই বিশ্বাস থেকে তিনি মোট ৭৫৪ গ্রাম সোনা কিনে ফেলেছিলেন। নিজের সঙ্গে সব সময় সোনা রাখতেন তিনি। খুব যত্ন নিতেন সেগুলোর।
২০২২ সালে স্লিপ এপনিয়ার কারণে বাপি লাহিড়ীর মৃত্যু হয়। তবে তার বেশ কয়েক বছর আগেই কিন্তু তিনি তার সম্পত্তি সংক্রান্ত উইল করে গিয়েছিলেন। ২০১৪ সালে একটি উইল করেছিলেন তিনি। তাতে লেখা ছিল তার কাছে ৭৫৪ গ্রাম সোনা রয়েছে। ওই গয়নার বাজার মূল্য তখনকার দিনে ছিল ৩৮ লক্ষ ৭১ হাজার ৭৯০ টাকা।
বাপি লাহিড়ীর উইলে পরিষ্কারভাবে বলা রয়েছে তার মৃত্যুর পর যাবতীয় সোনা তার দুই ছেলে মেয়ে বাপ্পা এবং রিমার মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে যাবে। বাবার মৃত্যুর পর তেমনটাই হয়েছিল। বাপি লাহিড়ীর দুই ছেলে-মেয়ে সব সোনা নিজেদের মধ্যে ভাগাভাগি করে নিয়েছেন। কিন্তু তারা সেগুলোকে বাবার স্মৃতি হিসেবে রেখে দিয়েছেন। এই সোনার গয়না তারা ব্যবহার করেন না।
আরও পড়ুন : রঙিন জীবনের আড়ালে লুকিয়ে রেখেছিলেন কঠিন সংগ্রাম, চিনুন অজানা বাপ্পি লাহিড়ীকে
আরও পড়ুন : বাপ্পী লাহীড়ী না থাকলে সুপারস্টার হতেন না মিঠুন চক্রবর্তী, চিরকৃতজ্ঞ বলিউডের ‘ডিস্কো ড্যান্সার’
শুধু সোনা নয়, বাপি লাহিড়ীর গাড়িরও অনেক শখ ছিল। তার সংগ্রহে বিএমডাব্লু, টেসলা এক্স, অডির মত দামি ব্রান্ডের গাড়ি ছিল। এছাড়া গায়ক তার উপার্জন থেকে ২২ কোটি টাকার সম্পত্তি করতে পেরেছিলেন। তার মৃত্যুর পর সে সব দুই ছেলে মেয়ের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছে।