হৈমন্তী শুক্লা, বাঙালি সংগীত শিল্পী হিসেবে গোটা দেশে সমাদর রয়েছে তার। হৈমন্তী শুক্লা হলেন স্বর্ণযুগের গায়িকাদের মধ্যে একজন। যার গান আজকের প্রজন্মকেও মুগ্ধ করে। এহেন সংগীতশিল্পী আজীবন বিয়ে না করেই থেকে গেলেন। তার কপালে সব সময় লাল রঙের বড় টিপ দেখা যায়। কিন্তু সিঁথিতে নেই সিঁদুর। কেন আজীবন অবিবাহিত থাকারই সিদ্ধান্ত নিলেন হৈমন্তী শুক্লা?
১৯৫৭ সালে হৈমন্তী শুক্লা সংগীত দুনিয়াতে তার কেরিয়ার গড়তে আসেন। তিনি হিন্দুস্তানি শাস্ত্রীয় সংগীত শিল্পী পণ্ডিত হরিহর শুক্লার মেয়ে। খুব কম বয়সেই অসাধারণ সংগীত শিল্পী হিসেবে তার পরিচিতি গড়ে ওঠে। রেডিও এবং অ্যালবামের জন্য প্রচুর গান গেয়েছেন তিনি। সেই সঙ্গে বেশ কিছু সিনেমাতে প্লেব্যাক গেয়েছেন। গান ছাড়া তার জীবনে আর কিছু ছিল না কোনদিনও।
হৈমন্তী শুক্লা ১৯৭১ সালে ভারতীয় উচ্চাঙ্গ সংগীতের উপর বৃত্তি পান। ১৯৭৫ সালে মিয়া তানসেন পুরস্কার পান তিনি। ১৯৮১ সালে সুর শৃঙ্গার পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সারা জীবনে তিনি অসংখ্য বাংলা, ওড়িয়া, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, আসামি এবং ভোজপুরি ভাষায় গান গেয়েছেন।
দিদি নাম্বার ওয়ানের অনুষ্ঠানে সম্প্রতি অংশগ্রহণ করেছিলেন হৈমন্তী শুক্লা। তাকে রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় সরাসরিই প্রশ্ন করেন কেন তিনি বিয়ে করেননি। হৈমন্তী শুক্লা নিজের সম্পর্কে বলতে গিয়ে বলেন গান ছাড়া আর কখনোই কোনও কিছু ভাল লাগেনি তার। গানই তার জীবনের গভীর প্রেম। যা তার সঙ্গে আষ্টেপৃষ্ঠে জড়িয়ে আছে।
রচনা এরপর তাকে প্রশ্ন করেন, “গান নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলে যে সংসার বাঁধলে না?’’ হৈমন্তী শুক্লা এই প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘‘ওইটার কথা না কখনও মাথাতেও আসেনি যে, গানই করলাম সংসার করলাম না। আমার স্বামী-সন্তান বা ছেলেপুলে হল না এভাবে ভাবিনি। আমার কত যে ছেলেপুলে। কত লোক যে আমাকে মা বলে ডাকে।’’
আরও পড়ুন : রূপঙ্কর বাগচীর কাছে গান শিখতে চান? মাসে মাসে কত টাকা লাগবে?
View this post on Instagram
রচনা তাকে আবারও প্রশ্ন করেন তার জীবনে কি কখনও প্রেম আসেনি? উত্তরে গায়িকা বলেন, “কেউ হয়তো ভালোবেসেছে। আমিই বুঝতে পারিনি। অনেকে আমাকে জিজ্ঞেস করে তুমি এত ভালোবাসার গান গাও কাকে ভেবে? তখন আমি বলি ওই মাইক্রোফোনটাই আমার প্রেমিক হয়ে যায়।” তার কথা শুনে হেসে গড়িয়ে পড়েন সকলে।