টলিউড (Tollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে হেভিওয়েট নায়কদের পাশাপাশি হেভি ওয়েট খলনায়ক অনেকেই এসেছেন। ৯০ য়ের দশকের খলনায়কদের কথা বলতে গেলে বিপ্লব চ্যাটার্জীর কথা বলতে হয়। যাকে দেখলেই দূরে পালাতো শিশুরা। ঠিক এরকমই একজন ডাকসাইটে খলনায়ক ছিলেন সুমিত গাঙ্গুলী (Sumit Ganguly)। তিনিও অসংখ্য ছবিতে খলনায়কের ভূমিকাতে অভিনয় করেছিলেন।
কটা চোখ, শ্যামলা বর্ণ, একমুখ দাঁড়ি, চেহারা দেখলেই যেন বুকটা ধড়াস করে ওঠে! ভয়ংকর খলনায়কের চরিত্রে তাকে দারুণ মানাত। দর্শকদের ভয় দেখাতে পারতেন বলেই একের পর এক কাজের সুযোগ এসেছিল তার হাতে। নয় নয় করে তিনি প্রায় ৩০০ টি ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। কিন্তু আজ সেই অভিনেতা কোথায়? অভিনয় ছেড়ে তিনি এখন কী করছেন জানেন?
ইন্ডাস্ট্রির ‘কুখ্যাত’ খলনায়ককে দীর্ঘদিন সিনেমার পর্দায় দেখা যায়নি। তবে তিনি কিন্তু আজও কাজের প্রতীক্ষায় রয়েছেন। কিন্তু যেমন তেমন কাজ নয়, মনের মত কাজ হওয়া চাই। একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বর্তমান টলিউড ইন্ডাস্ট্রির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিস্ফোরক মন্তব্য করেন। এমনকি বর্তমান প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের তিনি ‘আঁতেল’ বলতে দ্বিধা করেননি। কেন ইন্ডাস্ট্রির প্রতি এমন বিরূপ মনোভাব হল তার?
সুমিতের কথায়, এখন যে সমস্ত ছেলে মেয়েরা এসেছে সব কটা আঁতেল। সিনেমাই বোঝে না এরা। অদ্ভুত অদ্ভুত সাবজেক্ট নিয়ে ছবি তৈরি হচ্ছে! সেই কারণেই নাকি দর্শক ভিড়ছে না। তিনি বলেছেন, ‘‘একটা হাত নেই, একটা পা নেই, সে নাকি হিরো! এমন আসছে, হাঁটতে পারে না, চলতে পারে না, বাজারে গিয়ে টমেটো দর করছে, পচা মাছ দর করছে, একটা ছোট্ট ঘিনঘিনে বস্তিতে থাকে, সে হিরো। দর্শকদের ভালো লাগবে দেখতে? আইনক্সে ঝকঝকে পর্দায় বসে দেখছে, একটা নোংরা বস্তি সাবজেক্ট। চলবে সেই সিনেমা?’’
তিনি অবাক হয়ে প্রশ্ন তুলেছেন, “এইসব হিরোদের কি মারবো?” ঠিক এই কারণেই নিজেকে অভিনয় থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন তিনি। এমনকি মেয়েকেও ইন্ডাস্ট্রিতে আসতে দেননি। সুমিতের মেয়ে শিক্ষকতার পেশায় রয়েছেন। তবে তার গানের গলা দারুণ সুন্দর। সুমিত চান ভবিষ্যতে তার মেয়ে গান নিয়ে এগিয়ে যাক।
আরও পড়ুন : মেকআপ ছাড়া বলিউড অভিনেত্রীদের দেখতে কেমন লাগে, দেখুন ছবি গ্যালারি
আরও পড়ুন : মা হতে চলেছেন শুভশ্রী গাঙ্গুলি, সেজেগুজে সাধ খেলেন হবু মা, দেখুন ছবি গ্যালারি
তিনি আরও বলেছেন, ‘আমি চেয়েছিলাম একটি ভালো চরিত্রে অভিনয় করতে। অভিনয়ের জীবনে কয়েক হাজার স্টেজ শো করেছি। তিনশোর বেশি বাংলা ছবিতেও অভিনয় করেছি। আজ গোটা বাংলার মানুষ আমায় খলনায়ক হিসাবে চেনে। কিন্তু সত্যি বলতে ভালো কিছু চরিত্রে কাজ করতে চাই, সেটা আর পাই না’। সুমিতের কথায় তাকে সকলেই কাজ দেওয়ার আশ্বাস দেন, তবে শেষমেষ কাজের ডাক আর আসে না।