Shah Rukh Khan Jawan Movie Scene Copied From Ranjit Mallick Action Movie : বক্স অফিস (Box office) -এ একের পর এক রেকর্ড গড়েই চলেছে শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) – এর জওয়ান (Jawan)। ইতিমধ্যেই বিশ্ব বক্স অফিসে সাড়ে ৮০০ কোটির গন্ডি পার করে ফেলেছে অ্যাটলি কুমার (Atlee Kumar) – এর এই ছবি। আর এই ছবিতে একটি দৃশ্যে বেল্ট নিয়ে শত্রুর দমন করতে দেখা গেছে শাহরুখকে। আর এই দৃশ্যের সঙ্গে অনেকেই মিল পেয়েছেন টলিউড (Tollywood) অভিনেতা রঞ্জিত মল্লিক (Ranjit Mallick) – এর বেল্ট দিয়ে ভিলেন মারার দৃশ্যের সঙ্গে। আর এবার এই প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রঞ্জিত মল্লিক নিজে।
জওয়ান সিনেমা জুড়ে শাহরুখ খানের ধুন্ধুমার অ্যাকশন সিকোয়েন্স রীতিমতো ভীত নাড়িয়ে দিয়েছে তাবড় দক্ষিণী সুপারস্টারদেরও। সিনেমাটির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নিত্যনতুন টুইস্টে ভরা। যা থেকে এক মুহূর্তের জন্যও চোখ ফেরাতে পারবে না দর্শক। বিশেষ সিনেমার ইন্টারভালের ঠিক আগে পরিচালক অ্যাটলি কুমার যে এভাবে চমকে দেবেন তা ঘুনাক্ষরেও টের পায়নি কেউই।
সিনেমায় ‘জওয়ান’ শাহরুখের দ্বৈত চরিত্র। একথা এখন অনেকেই জেনে গিয়েছেন। আর্মি অফিসার বিক্রম রাঠোর, আর তার জেলার ছেলে আজাদ। ছেলেকে বাঁচাতে যখন বিক্রম রাঠোর ফিরে আসে, তার ছিল রণংদেহী মেজাজ। মুখে জ্বলন্ত সিগার, আর হাতে বেল্ট। তা দিয়েই শত্রুদের ‘চাবকে পিঠের ছাল’ তুলে দিয়েছে বিক্রম। তা দেখেই তুমুল হাততালি দিয়েছেন দর্শকরা।
এদিকে বিক্রম রাঠোরকে শক্রু নিধন করতে দেখে বাঙালিদের অনেকেই মনে করেছেন রঞ্জিত মল্লিকের কথা। ঠিক রঞ্জিত মল্লিকের মতোই যেন কালীর সাগরেদদের ‘চাবকে পিঠের ছাল’ তুলে দিয়েছে বিক্রম। সোশ্যাল মিডিয়াতেও সেই নিয়ে মিমের ছয়লাপ। আম জনতা থেকে সেলেব সকলেই শেয়ার করেছেন সেই মিম। যেখানে দাবি করা হয়েছে, রঞ্জিল মল্লিকের স্টাইল কপি করেছেন ‘জওয়ান’ শাহরুখ।
আর এই গোটা বিষয় নিয়ে টলিউডের ‘বেল্টম্যান’ রঞ্জিত মল্লিকের কাছে প্রশ্ন করা হলে তিনি কী জবাব দিলেন? এখনও হলে গিয়ে শাহরুখের জওয়ান দেখে ওঠা হয়নি প্রবীণ টলি অভিনেতার। আজকালকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি হাসি মুখে বলেন বলেন- শাহরুখের বেল্টম্যান অবতার নিয়ে তিনি কিছুই জানেন না।
আরও পড়ুন : ১৮তে পালিয়ে বিয়ে, ১৯শে ডিভোর্স! জীবনে ‘বড় ভুল’ করে আফসোসের শেষ নেই সুনিধি চৌহানের
আরও পড়ুন : বিয়ের এক বছরেই সন্তান এল কোলে! বাবা হওয়ার সুখবর দিলেন জনপ্রিয় বলিউড অভিনেতা
এছাড়াও রঞ্জিত মল্লিকের আরও জানিয়েছেন, ‘কোমরে চওড়া বেল্ট। সেটা খুলে শাসন করতাম। সঙ্গে দুটো জনপ্রিয় সংলাপ, ‘মেরে চামড়া গুটিয়ে দেব’ আর ‘বাপেরও বাপ থাকে’। আরও একটা অবতার আছে আমার, ‘গোঁফম্যান’। পরের পরিচালকেরা গোঁফ দিতে চাইতেন। সৎ পুলিশ অফিসার আর চওড়া গোঁফ নাকি আমার সঙ্গে ভাল যায়। কিছু বলিনি কোনওদিন। পরিচালক, দর্শকেরা যদি এই রূপেই দেখতে পছন্দ করেন তা হলে আপত্তির প্রশ্নই নেই।’