সোশ্যাল মিডিয়াতে উঠতে বসতে খোঁটা শুনতে হয় তারকাদের। একটু কিছু এদিক ওদিক হলেই আর রক্ষা নেই। হু হু করে ধেয়ে আসে কুমন্তব্য। জি বাংলার (Zee Bangla) রান্নাঘরের (Rannaghor) সঞ্চালিকা সুদীপা চ্যাটার্জীর (Sudipa Chatterjee) অবশ্য এসব যেন ক্রমশ গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। কারণ তিনি ব্যক্তিগতভাবে সোশ্যাল মিডিয়াতে এতবার বিতর্কে জড়িয়েছেন যে তার হাতে গোনার বাইরে।
সুদীপাকে প্রধানত তার অহংকারী মনোভাবের জন্যই অপছন্দ করেন নেটিজেনদের একটা বড় অংশ। সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি যা কিছুই শেয়ার করেন না কেন, কেউ কেউ সেখানে তাকে সমালোচনা করবেই। রান্নাঘরের রানীর কাছে রয়েছে অনেক দামি দামি শাড়ি ও গয়না। সঞ্চালনার পাশাপাশি তিনি শাড়ি-গয়নার ব্যবসাও করেন। ব্যবসা করতে গিয়েও বহুবার ট্রোল্ড হতে হয়েছে তাকে।
সুদীপার নিজস্ব বুটিক রয়েছে। সেখানে নানা ধরনের শাড়ি ও গয়নার সম্ভার রয়েছে। কাস্টমারদের জন্য কাস্টমাইজড শাড়ি-গয়না সরবরাহ করে থাকেন সুদীপা। সোশ্যাল মিডিয়াতে সম্প্রতি তিনি সেই ব্যবসা করতে গিয়েই এমন এক মন্তব্য করে বসেন যে কারণে তাকে আবারও কথা শুনতে হচ্ছে। এবারেও বিতর্কের বিষয়বস্তু তার সেই দামী গয়না।
এর আগে যেমন সুদীপা একবার মন্তব্য করেছিলেন তিনি সোনার গয়না ছাড়া পরেন না, যা শুনে নেটিজেনরা তাকে ‘অহংকারী’ বলে কটাক্ষ করেন। এরপর গয়না নিয়ে তিনি যতবার সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেছেন ততবার কমেন্ট বক্সে সমালোচনামূলক মন্তব্য চোখে পড়েছে। এবার যেমন তিনি তার নবমী লুকের শাড়ি এবং গয়না বিক্রি করতে গিয়েও চূড়ান্ত ট্রোল্ড হলেন।
পুজোর পর সম্প্রতি নবমী লুকের ছবি শেয়ার করে সুদীপা ক্যাপশনে লেখেন, “আমার নবমী লুকটা সবাই এত প্রশংসা করেছে যে সবার জন্য এই লুকটা আমাকে বানাতেই হল যত তাড়াতাড়ি সম্ভব। এটা আপনাদের দিওয়ালি লুকও হতে পারে।” সুদীপা জানিয়েছেন নবমীতে তিনি যে শাড়ি এবং গয়না পরেছিলেন সেই শাড়ি এবং গয়না তিনি বিক্রি করবেন।
তিনি পোস্টে আরও লিখেছেন, ‘একটি তাসার বেনারসি শাড়ি, এবং দুটি নেকলেস সেট (আমারটা স্বর্ণ দিয়ে, কিন্তু এটি অত্যন্ত বেশি দাম)- ব্রোঞ্জ + তামা + গোল্ড পলিশ দিয়ে।’ তিনি তার ‘অত্যন্ত দামী’ গয়না নিয়ে যে বড়াই করেছেন তার পরিপ্রেক্ষিতে নেটিজেনরা লিখেছেন, ‘‘সুদীপা দিদির অনেক সোনা আছে এটাই কি উনি জানাতে চান?” কেউ লিখছেন, “সুদীপা নিজে যেটা পড়েছেন সেটাও সোনার নয়। উনি পুজোতে অনেক ইমিটেশনের গয়না পরেছিলেন। সেগুলো স্পষ্ট করে বলতে লজ্জা লাগে?”