বিগত কয়েকদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়াতে জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠাই (Mithai) ধারাবাহিক বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন ছড়াচ্ছে। অথচ এই ধারাবাহিক এখনও দর্শকদের কাছে অতি প্রিয়। গত কয়েক সপ্তাহে টিআরপি কম থাকার কারণেই কেবল সোশ্যাল মিডিয়াতে মিঠাই বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে। এমনকি স্টুডিও পাড়াতেও এই নিয়ে গুঞ্জন এখন চরমে। যদিও ধারাবাহিকের কলাকুশলীরা অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি এ পর্যন্ত।
প্রায় ২ বছরের কাছাকাছি সগর্বে চলছে মিঠাই। টানা ৫৬ বার টিআরপি টপার হয়ে রেকর্ড করে ফেলেছে এই সিরিয়াল। মোদক বাড়ির সদস্যরা যেন এখন দর্শকদের নিজেদের পরিবারের সদস্য হয়ে উঠেছেন। মিঠাইকে হারাতে অন্যান্য ধারাবাহিকগুলো রীতিমত হিমশিম খেয়েছে এতদিন। তবে বর্তমানে টিআরপি রেটিং থেকে বেশ বোঝা যাচ্ছে দর্শকদের এখন আর আগের মত আকর্ষণ করতে পারছে না মিঠাইরানী। তাই মিঠাইয়ের আসন এখন টালমাটাল।
এদিকে পুজোর পরেই মিঠাই বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে জল্পনা এখনও ছড়াচ্ছে। এই প্রসঙ্গে মুখ খুলেছিলেন ধারাবাহিকের পরিচালক রাজেন্দ্র প্রসাদ দাস। আপাতদৃষ্টিতে মিঠাই বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে কোনও নিশ্চিত খবর তিনি দেননি। তবে জানিয়েছিলেন সব ধারাবাহিকের মত মিঠাইয়েরও একদিন শেষ হবে সেটাই স্বাভাবিক। এবার এই বিষয়ে মুখ খুললো খোদ মিঠাই ওরফে অভিনেত্রী সৌমিতৃষা কুন্ডু।
মিঠাই বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে গুঞ্জন তার কানে গিয়েও পৌঁছেছে। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে তিনি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন। তার মতে টপার হওয়া বা না হওয়া ভাগ্যের ব্যাপার। তারা এতদিন বাংলার সেরা ছিলেন মানেই যে চিরকাল সেরাই থাকবেন তেমন কোনও কথা নেই। তাছাড়া বাংলার সেরা হবে বলে মিঠাইয়ের সফর শুরুও হয়নি বলে তিনি জানিয়েছেন। এখন সোশ্যাল মিডিয়া টিআরপি নিয়ে যে কাটাছেঁড়া চলছে তাতে তিনি কিঞ্চিৎ বিরক্ত।
সৌমিতৃষা আগেও বলেছিলেন তাদের টিমে টিআরপি নিয়ে কেউ ভাবে না। আগে যখন তারা বাংলার সেরা ছিলেন তখনও ভাবেননি, আর এখনও এই নিয়ে মাথা ঘামান না। এতদিনে অনেক নতুন সিরিয়াল এসেছে, সবাই এক নম্বর হোক, এমনটাই চায় মিঠাই। তাই তার বক্তব্য, “মিঠাই তো এখনও চলছে। তাই সিরিয়ালটাকে ভালবাসুন। শেষ হয়ে গেলে ঠিকই জানতে পারবেন।”
অন্যদিকে সমালোচকদের এক হাত নিয়ে তিনি পাল্টা প্রশ্ন ছুঁড়েছেন, তারা কি মিঠাই বন্ধ করাচ্ছেন? কারণ তার কাছে ধারাবাহিক বন্ধ হওয়া নিয়ে কোনও খবর নেই। এরপর তিনি মজা করে বলেন যারা মিঠাই বন্ধ হয়ে যাবে বলছেন তারা যেন তাকে জানিয়ে দেন। কারণ তাকেও তো আবার নতুন কাজ খুঁজতে হবে। জি বাংলার সঙ্গে কথাও বলতে হবে।