চার চারবার ভেঙেছে বিয়ে, ডিভোর্সের শোক ভুলতে দামি গাড়ি কবর দিয়েছিলেন কিশোর কুমার

বলিউডের কালজয়ী গায়ক তথা নায়ক কিশোর কুমার (Kishore Kumar)। কিশোর কুমার প্রয়াত হয়েছেন বটে কিন্তু তার গাওয়া গানগুলি অমর। এহেন গায়ক সংগীত জগতে যে অবদান রেখে গিয়েছেন তার জন্য শ্রদ্ধায় মাথা নত হয়ে আসে। তবে তার ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কাটাছেঁড়া কিছু কম হয় না। বারবার বিয়ে, বারবার ডিভোর্স, কিশোর কুমারের জীবনের খাতা উল্টে দেখলে এই দৃশ্যই চোখে পড়ে।

কিশোর কুমারের জীবনে একাধিক নারী এসেছেন। এই প্রখ্যাত গায়ক জীবনে ৪ বার বিয়ে করেছিলেন। যে কারণে অনেকেই তাকে ভুল বোঝেন। এমনটাই মনে করেন তার ছেলে অমিত কুমার। অমিত কিশোর কুমার ও তার প্রথম স্ত্রী রুমা গুহ ঠাকুরতার সন্তান। তিনিই বলেছেন তার বাবাকে সকলে ভুল বুঝেছেন। তাহলে আসল সত্যিটা কী ছিল?

Here is Why Lata Mangeshkar Refused to work with Kishore Kumar

অমিত কুমার এই প্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমের কাছে মুখ খুলতে গিয়ে বলেছেন, “মায়ের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদ চলাকালীন মধুবালার প্রেমে পড়েছিলেন কিশোর কুমার। তবে বাবার বিয়ে-সম্পর্ক নিয়ে আমি তাকে কখনও জিজ্ঞেস করিনি। তবে এটুকু শুধু বুঝতে পারি যে বাবাকে সবাই ভুল বুঝেছেন।” কিশোর কুমারের জীবনী নিয়ে বায়োপিক হলে নিঃসন্দেহে তাকে নিয়ে সাধারণের মনে থাকা নানা ভুল ধারণা দূর হবে।

অমিত কুমার জানিয়েছেন ইতিমধ্যেই নাকি কিশোর কুমারের বায়োপিক নিয়ে কথাবার্তা শুরু হয়ে গিয়েছে। এর বেশি তিনি আর কিছু বলেননি। উল্লেখ্য, কিশোর কুমারের জীবনে সঙ্গিনী হিসেবে এসেছিলেন রুমা, মধুবালা, যোগিতা বালি এবং লীনা চন্দাভারকর। এদের মধ্যে লীনাকে বিয়ে করার পরই কিশোর কুমারের জীবনে শান্তি এসেছিল। সুখের হয়েছিল তাদের সংসার।

কিশোর-পুত্র বলেছেন তার বাবা ছিলেন পরিবার অন্তপ্রাণ। পুরনো দিনের কথা স্মরণ করে তিনি বলেন যেদিন রুমা এবং কিশোর কুমারের বিবাহ বিচ্ছেদ হয় সেদিন কিশোর কুমার তার বহু মূল্য গাড়ি মরিস মাইনর মাটিতে পুঁতে দিয়েছিলেন। এই গাড়িটা আসলে রুমা গুহ ঠাকুরতার সঙ্গে গিয়েই কিনেছিলেন কিশোর কুমার।

‘আন্দোলন’ ছবিতে অভিনেতা হিসেবে প্রথমবার অভিষেক হয়েছিল কিশোর কুমারের। এরপর স্ত্রীর সঙ্গে গিয়ে গাড়িটি সাধ করে কিনেছিলেন গায়ক। সম্পর্ক ভেঙে যাওয়ার পর সেই স্মৃতিটাও জীবন থেকে মুছে ফেলতে চেয়েছিলেন কিশোর কুমার। তার জন্য আস্ত গাড়িটাকেই রীতিমতো ‘কবর’ দিয়ে দেন তিনি। কিশোর কুমারের চতুর্থ স্ত্রী বিয়ের পর আর অভিনয় করতে চাননি। পরবর্তী দিনে লেখালেখিটাই হয়ে উঠেছিল তার পেশা।