Usha Uthup Bindi : দেশের অন্যতম কিংবদন্তি গায়িকা হলেন ঊষা উত্থুপ (Usha Uthup)। ভারতের সংগীত জগতের পপ কুইন তিনি। ঊষা উত্থুপ– ইন্ডাস্ট্রিতে বহু বছর পার করে ফেলেছেন। বাঙালির হৃদয়েও জায়গা করে নিয়েছেন সেই কবেই। কিন্তু জানেন কি বাঙালি না হয়েও কেনো কপালে ‘ক’ লেখা টিপ পরেন তিনি? চলুন জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে।
১৯৫৪ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন ঊষা উত্থুপ। তার বাবা ছিলেন একজন সঙ্গীতশিল্পী এবং মা ছিলেন একজন গৃহিণী। তিনি ছোটবেলা থেকেই গান গাইতেন। এরপর তিনি ১৯৭০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক হন। স্নাতক হওয়ার পর তিনি সঙ্গীতের জগতে আসেন। প্রথম চেন্নাইয়ের ছোট একটি নাইট ক্লাবে গান গেয়ে ঊষা উত্থুপের যাত্রা শুরু। সেখান থেকে উষা উত্থুপ কলকাতায় আসেন।
কলকাতায় একটি নাইট ক্লাবে গান করতে শুরু করেন তিনি। তবে তিনি প্রথম মহিলা যে নাইট ক্লাবে শাড়ি পরে গান করতেন। যদি তাতেও তাকে নিষিদ্ধ করার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিল সেই সময়কার রাজনৈতীক দল গুলি। কিন্তু তাতেও হার মানেনি তিনি। এই নাইট ক্লাবে গান করার সময় তিনি অভিনেতা দেব আনন্দের চোখে পরেন। ঊষার গান খুব ভালো লাগে তার। তারপর দেব আনন্দই বলিউডে ডেবিউ গাওয়ার সুযোগ করে দেন।
রাহুল দেব বর্মণ থেকে বাপ্পি লাহিড়ির সুরারোপিত বহু গান প্রাণ পেয়েছে ঊষার কণ্ঠে। জানা যায়, এমন অনেক গান আছে, যেগুলোতে লতা মঙ্গেশকর বা আশা ভোঁসলের কণ্ঠেও ভরসা করতে পারেননি পঞ্চম বা বাপ্পি। তখন তাদের মনে পড়েছে ঊষার কথা। এবং ঊষা সেসব আইকনিক গানে নিজেকে উড়াড় করে দিয়েছেন। ১৯৭৮ সালে শালিমার ছবিতে ‘ওয়ান টু চা চা চা’, ১৯৮০সালে পেয়ারা দুশমন ছবির ‘হরি ওম হরি’, ১৯৮১ সালে ‘রাম্বা হো’, ১৯৯১ সালের দুশমন দোস্ত ছবিতে ‘উরি উরি বাবা’। ঊষার মোহময়ী কন্ঠে সবকটি গানই এখনও তুমুল হিট।
ঊষাই প্রথম নাইট ক্লাবে রবীন্দ্রসঙ্গীত গেয়েছিলেন। এমনকি র গানের নাকি ভক্ত ছিলেন উত্তম কুমার, সত্যজিৎ রায় থেকে জ্যোতি বসু, শশী কাপুর, অমিতাভ বচ্চন প্রমুখ। তবে এত সাফল্য পাওয়ার পরেও কোনোদিন কলকাতা ছেড়ে যাওয়ার কথা ভাবেননি ঊষা। কলকাতাতেই ঊষা আজীবন থেকেছেন ।নিজে দক্ষিণ ভারতীয় হলেও এই শহরের প্রতি আলাদাই টান রয়েছে তার। তাই তিনি এই শহরকে ভালোবাসে গেয়েছেন ‘কলকাতা কলকাতা ডোন্ট ওরি কলকাতা’ বা ‘কলকাতা আমার মা’-এর মতো গান।
আরও পড়ুন : পার্কস্ট্রিট কান্ড থেকে প্রতারণা! ফাঁস হল নুসরাত জাহানের ৫ কুকীর্তি
এখনো তিনি সেজেগুজে মঞ্চে উঠলে শোরগোল পড়ে যায় দর্শক মহলে। বাংলায় ‘ক’ লেখা টিপও এখনো শোভা পায় তার কপালে। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন এমন ভিন্ন ধরণের স্টাইল কেন গায়িকার? বড়সড় ‘ক’ লেখা টিপটির তাত্পর্যই বা কী?আসলে টিপের ওই ‘ক’ কলকাতার আদ্যক্ষরকে বোঝায়। অনেকে বলেন ওটা টিপ নয়, শহরের প্রতি কৃতজ্ঞতা। কলকাতাকে কপালে ধারণ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন : টলিউড দেয়নি যোগ্য সম্মান, ‘বলিউডে যা পেয়েছি, টলিউডে পাইনি’ : টোটা রায়চৌধুরী