ডিভোর্সের পরেও কেন স্বামীর পদবী ব্যবহার করেন জয়া আহসান? কারণ চমকে দেওয়ার মত

ডিভোর্সের পর কেটেছে ১৫ বছর, কেন এখনও প্রাক্তন স্বামীর পদবী ব্যবহার করেন জয়া আহসান?

বাংলাদেশ (Bangladesh) তো বটেই, এখন ভারতের মানুষের কাছেও তিনি ভীষণ পছন্দের একজন অভিনেত্রী। ৪০ বছর অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও এখনও কি অপরূপ সুন্দরী জয়া আহসান (Jaya Ahsan)। অভিনেত্রীর সমস্ত খুঁটিনাটি তথ্য থাকে তার ভক্তদের কাছে। তবে আপনি কি জানেন জয়া যে পদবীটি ব্যবহার করেন সেটি তার আসল পদবী নয়? এই পদবীটি আসলে কার? কেন এই পদবী ব্যবহার করেন তিনি?

বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে স্বামীর সঙ্গে প্রথম দেখা হয় জয়ার

জয়া তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন জয়া মাসউদ নামে। বাংলাদেশের জমিদার পরিবারের বিত্তবান ছেলে ফয়সাল আহসানের (Faisal Ahsan) সাথে অভিনেত্রীর দেখা হয় ১৯৯৮ সালে। প্রথম সাক্ষাৎকার যদিও ছিল ভীষণ তিক্ত। একটি বিজ্ঞাপনের শুটিংয়ে সময় মত আসতে না পারায় ফয়সালকে কথা শোনান জয়া। যদিও পরবর্তী সময়ে সেই রাগ থেকেই শুরু হয় বন্ধুত্ব, তারপর প্রেম ও বিয়ে।

Jaya Ahsan And Faisal Ahsan

বিয়ের ১৩ বছর পর স্বামীকে ডিভোর্স দেন জয়া

বিয়ের পর থেকেই গুছিয়ে সংসার করতেন জয়া। জমিদার ঘরণী হওয়ার সমস্ত নিয়ম মানতেন তিনি। একে অপরের প্রতি অগাধ বিশ্বাস এবং ভালোবাসাও ছিল তাদের। কিন্তু এত ভালবাসা থাকা সত্ত্বেও দীর্ঘ ১৩ বছরের দাম্পত্য জীবন কাটানোর পর ২০১১ সালে ফয়সালের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তাকে ডিভোর্স দিয়ে দেন জয়া।

কেন ভেঙেছিল জয়া-ফয়সালের বিয়ে?

দাম্পত্য জীবন নিয়ে কখনোই সেই ভাবে মুখ খোলেননি, জয়া বা ফয়সাল কেউই। তবে জানা যায়, বিয়ের পরেও নাকি নাটক এবং বিজ্ঞাপনে একসঙ্গে কাজ করতেন তারা। একসময় জয়ার জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে ব্যাপক আকারে এবং অন্যদিকে পিছিয়ে যায় ফয়সাল। জয়ার এই সফলতাই তাদের মধ্যে তৈরি করে মনোমালিন্য। দূরত্ব বাড়তে শুরু করে স্বামী স্ত্রীর মধ্যে। অবশেষে নিজেদের পথ আলাদা করে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তারা।

Jaya Ahsan And Faisal Ahsan

ডিভোর্সের পরেও কেন স্বামীর পদবী ব্যবহার করেন জয়া?

ফয়সালকে ডিভোর্স দেওয়ার পর আর বিয়ে করেননি অভিনেত্রী। বর্তমানে নিজের ক্যারিয়ার নিয়েই ব্যস্ত থাকেন তিনি। কিন্তু কেন তিনি এখনো ব্যবহার করেন স্বামীর পদবী? কারণ আছে বৈকি। ঢাকার নবাব খাজা আহসানউল্লাহ পরিবারের সন্তান ফয়সাল আহসান। পুরো নাম মোহাম্মদ ফয়সাল আহসানউল্লাহ। বাংলার এই পরিবারের পূর্বপুরুষদের হাতেই গড়ে উঠেছিল সদরঘাটে অবস্থিত দেশের ঐতিহাসিক স্থাপনা আহসান মঞ্জিল।

আরও পড়ুন : বাংলাদেশের সেরা ১০ সুন্দরী অভিনেত্রী, যাদের দেখে পুরুষের বুকে জ্বলে আগুন

JAYA AHSAN

আরও পড়ুন : ‘‘বাংলাদেশের মেরে ভারতীয়দের রুটি-রুজি চলে!’’, বাঙালি গায়িকা অঙ্কিতাকে তুলোধোনা নেটপাড়ার

ঢাকার এমন একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের পুত্রবধূ ছিলেন জয়া। এমন একটি পরিবারের ঐতিহ্যবাহী পদবী ব্যবহার করার সুফল নিতেই এখনও সেই পদবী ব্যবহার করেন অভিনেত্রী। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জয়া আহসান অভিনীত ‘ভূতপরী’ মুক্তি পেয়েছে বড়পর্দায়। এই সিনেমাতেও জয়ার অভিনয় মুগ্ধ করেছে দর্শকদের।