বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রির নজরে আমির খান (Aamir Khan) হলেন মিস্টার পারফেকশনিস্ট (Mister Perfectionist)। সিনেমার পর্দায় কিভাবে নিজের অভিনয় দক্ষতাকে ফুটিয়ে তুলতে হয়, নিজেকে প্রতিবার ভেঙ্গেচুরে নতুনভাবে নতুন অবতারে ক্যামেরার সামনে মেলে ধরতে হয় তা তার ভালই জানা আছে। তাই তো আমির খানের কাছে বরাবর নতুন কিছু আশা করেন তার ভক্তরা। আমির কিন্তু কোনওবার নিরাশ করেননি তার দর্শকদের।
আমির খান যেভাবে নিপুণতার সঙ্গে প্রত্যেকটি চরিত্রকে পর্দার সামনে উপস্থাপন করেন তা দেখে দর্শকরা তার নাম দিয়েছেন মিস্টার পারফেকনিস্ট। আমির এমনিতেই সিনেমার পর্দাতে তার চরিত্র নিয়ে বরাবর ভীষণ খুঁতখুতে থাকেন। অভিনয়ের মাধ্যমে চরিত্রটিকে পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে যাতে কোনও খুঁত না থেকে যায় সেদিকে বরাবর তার নজর থাকে।
ছবিতে নিজেকে পারফেক্ট দেখাতে তিনি মাঝে মাঝে এমন সব কান্ড ঘটিয়ে বসেন যেগুলো কেউ কল্পনাও করতে পারবেন না। আমির খান তার কেরিয়ারে এমন অসংখ্য ছবি করেছেন যেগুলো বক্স অফিসে হিট হওয়ার পাশাপাশি দর্শকদের মনের মধ্যে গেঁথে থেকে গিয়েছে। ‘থ্রি ইডিয়েটস’ থেকে শুরু করে ‘গুলাম’ ছবিতে নিজের পারফরম্যান্স নিখুঁত করে তুলতে তিনি এমন কিছু ট্রিক্স নিয়েছিলেন যেগুলো অনেকেই জানেন না।
‘গুলাম’ ছবিতে যেমন শেষের দিকের অ্যাকশন দৃশ্যে নজর কেড়েছিলেন তিনি। এই ছবিটি আসলে আমিরের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন ছিল। ছবিতে যে অ্যাকশন দৃশ্য ছিল সেটার শুটিং হতে নাকি ১২ দিন সময় লেগেছিল। মারধরের ওই দৃশ্যে নায়কের শরীরে ধুলো-ময়লা, নোংরা, রক্তের ছিটে থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। দৃশ্যটি যাতে একটুও এদিক-ওদিক না হয় তার জন্য আমির ওই ১২ দিন স্নানই করেননি।
অর্থাৎ যে ১২ দিন ধরে একটানা অ্যাকশন দৃশ্যের শুটিং চলেছে সেই কয়েকটা দিন আমির তার শরীরে জল ঠেকাননি। ওই দিনগুলোতে তিনি শরীরের ধুলো ময়লা নিয়েই থেকেছিলেন। এরপর আবার ‘থ্রি ইডিয়টস’ এও তিনি এমনই এক কান্ড ঘটান। ওই ছবিতে যেখানে রাজু, রাঞ্চো এবং ফারহানরা মদ খেয়ে প্রিন্সিপালকে গালিগালাজ করছিল সেই দৃশ্যটিকে নিখুঁত করতে সামান্য মদ্যপান করেছিলেন অভিনেতারা।
এই আইডিয়াটা অবশ্য আমির খানেরই ছিল। কারণ তার মনে হয়েছিল এমন একটি দৃশ্যের শুটিং করার জন্য সামান্য মদ্যপান করা উচিত অভিনেতাদের। তাহলে দৃশ্যটিকে ভালভাবে ফুটিয়ে তোলা যাবে। আমিরের কথা মেনে নেন শরমন যোশী। কিন্তু আর মাধবন অবশ্য একটু দ্বিধায় ছিলেন প্রথমটায়। পরে তিনিও রাজি হয়ে যান। ছবি নিয়ে অত্যধিক সচেতন না হলে কেউ কি আর আমিরের মত পারফেকশনিস্ট হতে পারেন?