মেয়েবেলার অথৈ আসলে কে? রইল বাংলা সিরিয়ালের নবাগতা অভিনেত্রীর আসল পরিচয়

সদ্য স্টার জলসাতে (Star Jalsha) শুরু হয়েছে নতুন ধারাবাহিক ‘মেয়েবেলা’ (Meye Bela)। রূপা গাঙ্গুলী, স্বীকৃতি মজুমদার, অর্পণ ঘোষালদের নিয়ে এই সিরিয়ালটি দর্শকরা এরই মধ্যে বেশ পছন্দ করতে শুরু করেছেন। টিআরপি তালিকায় ‘মেয়েবেলা’র নম্বর দেখলে তেমনটাই আন্দাজ করা যায়। এই সিরিয়ালে অন্যান্য চরিত্রে যারা অভিনয় করছেন তারাও ইন্ডাস্ট্রির জনপ্রিয় মুখ।

সকলের মধ্যে থেকে আলাদা করে নজর কাড়ছে ‘মেয়ে বেলা’র অথৈ নামের চরিত্রটি। নায়কের বোনের এই চরিত্রটিতে অভিনয় করছেন শ্রেয়া ভট্টাচার্য (Sreya Bhattacharya)। টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি নতুন মুখ। এর আগে তাকে অন্য কোনও সিরিয়ালে কখনও অভিনয় করতে দেখা যায়নি। তবে তার অভিনয় দক্ষতা যে কারও নজর কাড়বে।

SREYA BHATTACHARYA

সিরিয়ালে অভিনয় না করলেও শ্রেয়া ভট্টাচার্য একজন বড় মাপের অভিনেত্রী। কলকাতাতেই জন্ম তার, এখানেই তিনি বড় হয়ে উঠেছেন। গোখলে মেমোরিয়াল গার্লস স্কুল থেকে তিনি পড়াশোনা করেছেন। কলকাতা ইউনিভার্সিটি থেকে স্নাতক পাস করেছেন শ্রেয়া। ওয়েব সিরিজ দিয়ে অভিনয়ের পথে তার জার্নি শুরু হয়। বাংলা ছবিতেও তিনি অভিনয় করে ফেলেছেন এরই মধ্যে।

২০১৮ সালে আড্ডা টাইমস ওটিটি প্ল্যাটফর্মের ‘ইন দেয়ার লাইফ’ ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছিলেন তিনি। এরপর তাকে আর ঘুরে তাকাতে হয়নি। একে একে তিনি আরও বেশ কয়েকটি ওয়েব সিরিজে অভিনয় করে ফেলেন। এর মধ্যে কৃশানু কৃশানু (২০১৯), ব্যোমকেশ (২০২০), গাঙ্গুলীস ওয়েডস গুহুস (২০২১) সিরিজে অভিনয় করেছিলেন তিনি।

SREYA BHATTACHARYA 1

গত বছরও টাইমআপ (২০২২), উলট পুরান (২০২২), খোলাম কুচি (২০২২), সেভেন্থ (২০২২), ভিঞ্চি ভারতী একাডেমি (২০২২), একেন বাবু (২০২২) সিরিজে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছিল তাকে। সেই সঙ্গে এরই মধ্যে টলিউডেও প্রবেশ করেছেন শ্রেয়া। প্রসেনজিত চ্যাটার্জী, ঋত্বিক মুখার্জীর সঙ্গে জ্যেষ্ঠ পুত্র (২০১৯), সাঁঝবাতি (২০১৯), হোম কামিং (২০২০) ছবিতে তাকে অভিনয় করতে দেখা গিয়েছে।

SREYA BHATTACHARYA 1

এখন তিনি অভিনয় করছেন ‘মেয়ে বেলা’ সিরিয়ালে। অথৈ চরিত্রটির মধ্যে পজিটিভিটি রয়েছে। পড়াশোনায় মেধাবী এবং চাকুরীরতা হয়েও তার জীবনের কিছু না পাওয়ার ব্যথা রয়েছে। সে এমন একজন জীবনসঙ্গী চায় যে তাকে তার স্ট্রেট ফরোয়ার্ড স্বভাবটাকেই পছন্দ করবে। কিন্তু অথৈকে আজ পর্যন্ত তার মত করে গ্রহণ করল না কেউ। তবুও অথৈ আশা করে আছে সেই মানুষটার জন্য যে একদিন তার বাইরে রূপ নয়, ভিতরের মানুষটাকে চিনবে।