কখনো দাদা হয়ে মেরেছেন কখনো আবার বাবা হয়ে, রঞ্জিত মল্লিকের (Ranjit Mallick) শাসন মানেই ছিল বেল্টের মার। অভিনয় করতে গিয়ে এই বেল্টের বাড়ি কখনো খেতে হয়েছে প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জিকে কখনো আবার অভিষেক চ্যাটার্জিকে। একসময়ের বেল্ট ম্যান (Belt Man) রঞ্জিত মল্লিক কেমন বেল্ট পছন্দ করেন? অভিনেতা নিজেই জানালেন সংবাদমাধ্যমকে।
উত্তম কুমার পরবর্তী সময়ে বেশ কিছু বছর রোমান্টিক হিরো হিসেবে কাজ করার পরেই বাড়ির বড় দাদা বা বড় ছেলের ভূমিকায় বারবার অভিনয় করে যিনি মানুষের মন জয় করেছেন তিনি হলেন রঞ্জিত মল্লিক। কখনোই তিনি প্রশ্রয় দিতেন না অন্যায়কে। শুধু পরিবারের ভাইদের নয়, রাস্তাতেও কোন দুষ্টু লোককে শায়েস্তা করার জন্য রঞ্জিত মল্লিকের একমাত্র অস্ত্র ছিল বেল্ট।
এই বেল্টের সঙ্গে রঞ্জিত মল্লিকের এমন একটি অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক রয়েছে, যার ফলে অনেকেই রঞ্জিত মল্লিককে বেল্টম্যান বলেও ডাকতেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় আবার কখনো কখনো রঞ্জিত মল্লিকের সেই বিখ্যাত ডায়লগ চাবকে পিঠের চামড়া তুলে দেব, ভাইরাল হয়। কিন্তু যে রঞ্জিত মল্লিক সারা দেশের কাছে বেল্ট নামক যে বস্তুটিকে ফেমাস করেছেন সেই রঞ্জিত মল্লিক কোন কোম্পানির বেল্ট পরেন জানেন?
সম্প্রতি টিভি৯ বাংলাকে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে রঞ্জিত মল্লিককে যখন জিজ্ঞাসা করা হয়, আপনি কোন কোম্পানির বেল্ট পড়েন? তখন কিছুটা সময় রঞ্জিত মল্লিক ফোনের ওপারে হাসতেই থাকেন। কিছুক্ষণ এভাবে চলার পর তিনি বলেন,” মজার একটা প্রশ্ন করেছেন আপনি। আমি হয়ত বেল্ট ম্যান হতে পারি কিন্তু সত্যি বলতে আমার নিজের বেল্ট নিয়ে কোন অবসেশন নেই। একটা বেল্ট হলেই হল।”‘
রঞ্জিতবাবু আরো বলেন, “মোটামুটি ভালো শক্ত পোক্ত বেল্ট পড়তে আমি ভালোবাসি। সব রঙের বেল্ট পড়তেই আমার ভালো লাগে। তবে ক্যাটক্যাটে কোন রং আমি পছন্দ করি না। অনেককে আমি ওই রকম বেল্ট পড়তে দেখেছি কিন্তু আমার ভালো লাগেনি। আর দাম নিয়ে কোন চাহিদা আমার মধ্যে নেই। ভালো টেকসই বেল্ট হলেই আমি পড়ি। তবে উপহার হিসেবে অনেক বেল্ট আমি পেয়েছি তাই তেমন ভাবে বেল্ট কোনদিন কিনতে হয়নি।”
আরও পড়ুন : যৌনতার প্রস্তাব দিয়ে কোটি টাকার টোপ! কোয়েলের পাল্টা জবাবে গর্বিত বাবা রঞ্জিত মল্লিক
আরও পড়ুন : কোয়েল মল্লিকের আসল নাম কী? কেন নিজের নাম লুকিয়ে রাখেন অভিনেত্রী
বেল্ট নিয়ে একটি রসিকতার গল্পও শেয়ার করলেন রঞ্জিত মল্লিক। একবার দুবাইয়ে একটি অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত হয়ে গিয়েছিলেন রঞ্জিতবাবু যেখানে মঞ্চে ছিলেন সঞ্চালক মীর আফসার আলি। মঞ্চে থাকাকালীন মীর সবাইকে নিজের প্যান্টের বেল্ট খুলতে বলেন এবং অনেকে তা সত্যি সত্যি করেও ছিলেন। সমস্ত বেল্ট হাতে করে এনে মীর যখন রঞ্জিতবাবুকে বলেন, নিন এবার যত খুশি মারুন… তখন কিছুটা হলেও স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিলেন রঞ্জিত।