বাংলা চ্যানেলগুলিতে এখনো পর্যন্ত যে সমস্ত সঞ্চালক বা সঞ্চালিকাকে আমরা দেখেছি, তাদের থেকে শতগুনে এগিয়ে রয়েছেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee)। সিনেমার মাধ্যমে যতটা তিনি জনপ্রিয়তা অর্জন করেছিলেন তার থেকে অনেক বেশি জনপ্রিয় হয়েছেন জি বাংলা দিদি নাম্বার ওয়ান (Didi Number One) অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করে। তবে জানলে অবাক হয়ে যাবেন, যে অভিনেত্রীকে আপনারা রচনা নামে চেনেন তার আসল নাম কিন্তু এটি নয়। তাহলে রচনার আসল নাম কী? কেন তিনি বদলেছিলেন তার নাম?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিনয় জীবন
১৯৯৩ সালে ‘দান প্রতিদান’ নামক একটি সিনেমার হাত ধরে রচনার অভিনয় জগতের সূচনা হয়। টলিউড তো বটেই বলিউড এবং উড়িয়া সিনেমাতেও তিনি কাজ করেছেন সমানভাবে। কাজ করেছেন প্রসেনজিৎ থেকে অমিতাভ বচ্চন সকলের সঙ্গেই। কিন্তু অভিনেত্রীর বার্থ সার্টিফিকেটে কোথাও নেই রচনা নামটির উল্লেখ। তাহলে রচনার আসল নাম কী?
রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসল নাম কী?
অনেকেই জানেন না, অভিনেত্রীর আসল নাম ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনার বাবা রবীন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়ও অভিনয় জগতের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। বাবার হাত ধরেই প্রথম স্টুডিও পাড়ায় এসেছিলেন রচনা। অভিনেত্রীর সাফল্যের পেছনে যে অনেক বড় হাত রয়েছে তার বাবার, তা বলাই বাহুল্য। আরো একজন ছিলেন যিনি রচনার এই সাফল্যের জন্য দায়ী, তিনি হলেন সুখেন দাস।
কে তার নাম বদলিয়ে রচনা রাখেন?
সুখেন দাস ছিলেন ইন্ডাস্ট্রির একজন বিখ্যাত পরিচালক। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাবার বন্ধু ছিলেন তিনি। সুখেন দাস পরিচালিত ‘দান প্রতিদান’ সিনেমার হাত ধরেই রচনার প্রথম পদার্পণ অভিনয় জগতে। সুখেন দাস যখন অভিনেত্রীর কাছে সিনেমার অফার নিয়ে যান তখন তিনি অভিনেত্রীকে নাম পাল্টানোর পরামর্শ দেন।
রাতারাতি নাম বদলে হয়ে গেলেন রচনা
পরিচালক বলেন, এই ঝুমঝুম নামটা একেবারেই চলবে না। মনে হবে মুনমুনের মেয়ে ঝুমঝুম। তাহলে কী নাম রাখা যায়? অনেক ভেবেচিন্তে শেষমেষ শরণাপন্ন হতে হলো রবীন্দ্র রচনাবলীর। রচনা নামটিকে বেছে নেওয়া হলো। তারপর থেকেই রাতারাতি ঝুমঝুম হয়ে গেলেন রচনা। তবে সাফল্যটা রাতারাতি আসেনি।
আরও পড়ুন : ৫০ পেরিয়েও এভারগ্রীন! যৌবন ধরে রাখতে রোজ এই ছোট্ট কাজ করেন রচনা ব্যানার্জী
আরও পড়ুন : কেন অভিনয় ছেড়ে দিয়েছিলেন রচনা ব্যানার্জি? কারণ জানলে অনুপ্রাণিত হবেন
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে বহুবার ওঠা পড়ার সম্মুখীন হতে হয়েছিল অভিনেত্রীকে। তবে জীবনের সব রকম বিপদের সময় তিনি পাশে পেয়েছিলেন তার বাবাকে। মেয়েকে উড়িয়া ইন্ডাস্ট্রিতে সফল করে তোলার জন্য চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দিয়েছিলেন রবীন্দ্রনাথবাবু। ২০২১ সালে পিতৃহারা হন রচনা। বর্তমানে একমাত্র ছেলেকে নিয়ে বেশ ভালই দিন কাটাচ্ছেন সিঙ্গেল মাদার রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়।