বলিউড (Bollywood) হোক কিংবা দক্ষিণী ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি (South Indian Film Industry), ছবিতে বড় তারকারা থাকলেই সেই ছবির বাজেট হয় যায় ১০০ কোটি টাকার উপরে। তবে সেই ছবি ৫০০ কোটি টাকার উপর ব্যবসাও এনে দিতে পারে। এবছর যদিও বহুকাল ধরেই এই ধরনের বিগ বাজেট ছবি তৈরি হচ্ছে উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে।
তবে ছবির বাজেট বাড়ার কারণ শুধু মাত্র তারকা অভিনেতা ও অভিনেত্রীর পারিশ্রমিক নয়, এর পাশাপাশি সিনেমার সেট ডিজাইনে ও নায়ক-নায়িকার পোশাকের জন্য প্রচুর টাকা খরচ করতে হয় অনেক সময়। বিশেষ করে নায়িকার পোশাকের জন্যই বেশি টাকা খরচ করতে হয়।
বহু জনপ্রিয় ছবিতে দেখা গিয়েছে নায়িকারা কোটি কোটি টাকা দামের পোশাক পরে অভিনয় করেছেন। এই সব পোশাক কোটি টাকার পোশাক শ্যুটিং হওয়ার পর নায়ক-নায়িকাদের কাছ থেকে নিয়ে নেওয়া হয়। তাহলে এবার প্রশ্ন ওঠতেই পারে যে, এই পোশাকগুলো তাহলে কোথায় যায়?
আসলে এই বহুমূল্য পোশাকগুলো সিনেমা মুক্তি পাওয়ার পর নিলামের জন্য পাঠানো হয়। জানা গিয়েছে, ‘দেবদাস ‘ (Devdas) ছবিতে মাধুরী দীক্ষিত (Madhuri Dixit) যে সবুজ লেহেঙ্গা পরেছিলেন সেটা তিন কোটি টাকায় বিক্রি হয়েছিল। অন্যদিকে, সলমন খান (Salman Khan) ‘মুজসে শাদি কারোগি’ (Mujhse Shaadi Karogi) ছবিতে যে গামছাটি পরে ছিলেন সেটাও নিলামে উঠেছিল।
এই গামছাটি প্রায় ৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছিল। শুধু তাই নয়, অনেক সময় এই ছবির পোশাক অন্য ছবিতে ব্যবহার করা হয়। তবে এই পোশাক আর প্রধান অভিনেতা বা প্রধান অভিনেত্রীকে দেওয়া হয় না। ব্যাকগ্ৰাউন্ড ড্যান্সারদের পরানো হয় এই পোশাক।
আরও পড়ুন : প্রিয়াঙ্কার নেকলেস থেকে ইশা আম্বানির হাতব্যাগ, এর দামেই বলিউডে ৫টা ছবি বানানো যাবে
বলিউডের জনপ্রিয় ছবি ‘বান্টি অর বাবলি’ (Bunty Aur Babli) ছবিতে ঐশ্বর্য রাই বচ্চনের লেহেঙ্গা ‘ব্যান্ড বাজা বারাত’ (Band Baaja Baaraat) ছবির একটি গানে এক ব্যাকগ্ৰাউন্ড ড্যান্সারকে দেওয়া হয়েছিল এই পোশাক। এছাড়াও অনেক প্রোডাকশন হাউস (Production House) পোশাক ভাড়া নেয়। শ্যুটিং শেষ হলে সেই পোশাক আবার ফেরত দিয়ে দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : কুমিরের চামড়া দিয়ে তৈরি নীতা আম্বানির ব্যাগ, ব্যাগের দাম শুনলে ভনভন করবে মাথা