প্রায় ৩ বছর পর আবার লাইভ শো-তে মুখ দেখাতে চলেছেন অরিজিৎ সিং (Arijit Singh)। কখনও কলকাতা, কখনও পুনেতে তার কনসার্টের বিজ্ঞাপনী প্রচারে ভরে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া। তবে সব থেকে দ্রুতগতিতে ছড়াচ্ছে তার কনসার্টের এক একটি টিকিট মূল্যের খবর। কোথাও ৭৫ হাজার কোথাও আবার ১৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত দাম চড়েছে অরিজিতের কনসার্টের এক একটি টিকিটের। শুনে তো মাথায় হাত দিচ্ছেন অরিজিতের ভক্তরা।
কনসার্ট থেকে পাওয়া এত বিপুল উপার্জন নিয়ে কী করেন অরিজিৎ সিং? শোনা যায় এক একটি কনসার্ট থেকে নাকি কোটি কোটি টাকা উপার্জন করেন তিনি। অথচ তিনি এবং তার পরিবার ভীষণই সাদামাটাভাবে জীবনযাপন করেন। অরিজিৎ তার উপার্জনের পুরো টাকাটাই যে নিজের কিংবা পরিবারের জন্য খরচ করেন তেমনটা কিন্তু নয়। এখান থেকে একটা অংশ যেভাবে ব্যয় করেন তা জানলে চমকে যাবেন।
অরিজিৎ তার একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টে লিখেছিলেন তার লক্ষ্য দরিদ্র শিশু, তরুণী এবং পিছিয়ে পড়া শ্রেণীকে সাহায্য করা। তাদের শিক্ষা স্বাস্থ্য এবং খেলাধুলা সংক্রান্ত অন্যান্য পরিষেবা প্রদান করতে চান অরিজিৎ সিং। তার জন্য তিনি তার আয়ের কিছু অংশ এখন সমাজসেবার কাজে ব্যয় করছেন। অরিজিৎ সিংয়ের নিজস্ব ফাউন্ডেশনও রয়েছে, এখানকার সদস্যরা সক্রিয়ভাবে সমাজসেবার কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন।
সমাজসেবার ক্ষেত্রে অরিজিৎ সিং সব সময় নিজেই সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়ে এসেছেন। সে সঙ্গে মুর্শিদাবাদের তিনি একটি স্পোকেন ইংলিশ শেখানোর জন্য ক্লাস খুলেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন মানুষকে বিভিন্ন সময় বিভিন্নভাবে সাহায্য করেন তিনি। কনসার্টের সম্পূর্ণ টাকাটাই যে শিল্পীরা পান এমনটা নয়। শিল্পীকে সঙ্গত দেওয়ার জন্য মিউজিসিয়ানরা থাকেন, গোটা অনুষ্ঠানের আয়োজনের জন্য আয়োজন কর্তারা থাকেন, এছাড়াও অন্যান্যখাতেও টিকিট বিক্রির টাকা খরচ হয়।
বর্তমানে অরিজিৎ সিংয়ের কলকাতার একটি শোয়ের টিকিট মূল্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে শোরগোল পড়ে গিয়েছিল। আগামী বছর আয়োজিত ওই কনসার্টের জন্য সর্বোচ্চ টিকিট মূল্য ৭৫ হাজার টাকা রাখা হয়েছে। আর নূন্যতম টিকিটের মূল্য রাখা হয়েছে ২৫০০ টাকা। এই নিয়ে যখন সমালোচনা চলছিল ঠিক তখনই পুনেতে তার আরও একটি কনসার্টের টিকিটের মূল্য ফাঁস হতেই যেন রীতিমত বিস্ফোরণ ঘটালো।
আগামী বছরের জানুয়ারি মাসে অরিজিৎ পুনেতে যে কনসার্টে অংশ নেবেন সেখানে টিকিটের সর্বোচ্চ মূল্য রাখা হয়েছে ১৬ লক্ষ টাকা। অরিজিৎ বলেন লাইভে পারফর্ম করাটা তার কাছে অনেকটা পরীক্ষার মত। প্রস্তুতি নিয়ে তারপর তিনি মঞ্চে পারফর্ম করেন। গান গাওয়ার সময় তিনি বিভিন্নরকমের বাদ্যযন্ত্রও বাজান। অন্ততপক্ষে তার প্রিয় গিটারটি সবসময় তার কাঁধেই থাকে।