বলিউড (Bollywood) অভিনেতা সতীশ কৌশিকের (Satish Kaushik) মৃত্যুকে কেন্দ্র করে শোকোস্তব্ধ গোটা দেশ। মাত্র ৬৬ বছর বয়সে বলিউডের প্রখ্যাত এই অভিনেতা তথা পরিচালকের মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না কেউ। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে তার প্রয়াণ ঘটে। তবে এখন জানা যাচ্ছে সতীশ কৌশিকের মৃত্যু নাকি স্বাভাবিক ছিল না। তাকে নাকি খুন করেছেন দিল্লির বিশিষ্ট এক শিল্পপতি।
সম্প্রতি ভয়ংকর এই অভিযোগ এনেছেন কুবের গ্রুপ ইন্ডাস্ট্রির ডাইরেক্টর বিকাশ মালুর স্ত্রী শানভি মালু। তার দাবি তার স্বামীই নাকি খুন করেছেন সতীশ কৌশিককে। তার এই দাবিকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তিনি দিল্লি পুলিশ কমিশনারের কাছে পত্র মারফত অভিযোগ জানিয়েছেন যে তার স্বামী ১৫ কোটি টাকার লোভে সতীশকে খুন করেছেন।
সতীশ কৌশিকের মৃত্যুর পর এখনও তিনদিন পার হয়নি। তার মৃত্যুর ধাক্কা কাটিয়ে উঠতে পারেনি বলিউড। তারই মাঝে প্রখ্যাত ব্যবসায়ীর স্ত্রীর এমন দাবি ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ওই ব্যবসায়ীর স্ত্রী সরাসরি দাবি করেছেন তার স্বামী বিকাশ মালুকে ১৫ কোটি টাকা ধার দিয়েছিলেন সতীশ। নিজের টাকা ফেরত চাইছিলেন তিনি।
টাকা নিয়ে আলোচনা করার জন্য দুবাইতে সতীশকে ডেকে পাঠিয়েছিলেন বিকাশ। সেখানে আলোচনার ফাঁকে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। তবে বিকাশ কিন্তু সতীশ কৌশিককে তার টাকা ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিলেন। শানভি জানিয়েছেন সতীশ কৌশিক নাকি বিকাশের ফার্ম হাউসেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। তিনি আশঙ্কা করছেন বিকাশ তাকে হয়ত বিষ দিয়েছিলেন।
শানভি হলেন বিকাশ মালুর দ্বিতীয় স্ত্রী। গত বছর তিনি তার স্বামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ এনেছিলেন। যদিও পুলিশ অবশ্য সতীশ কৌশিকের মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলেছেন। গাড়িতে থাকাকালীন তিনি অসুস্থ বোধ করেন এবং তার হার্ট অ্যাটাক হয়। চিকিৎসকদের চিকিৎসা করার সুযোগটাও তিনি দেননি। অটোপ্সি রিপোর্টেও দাবি করা হয়েছে অভিনেতার মৃত্যুর কারণ হার্ট অ্যাটাক।
দিল্লী পুলিশ একটি ফার্ম হাউস থেকে কিছু ওষুধ খুঁজে পেয়েছেন যে ফার্ম হাউসের একটি পার্টিতে যোগদান করেছিলেন তিনি। এর একদিনের মাথায় তার মৃত্যু হয়। তাকে দিল্লি থেকে গুরুগ্রামের কে ফর্টিস হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু হাসপাতালে পৌঁছানোর আগেই তার মৃত্যু হয়েছিল। তেমনটাই জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।