সাবিত্রী চ্যাটার্জী (Sabitri Chatterjee) এবং উত্তম কুমারের (Uttam Kumar) জুটি একসময় টলিউডে বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছিল। তাদের দুজনের ব্যক্তিগত সম্পর্ক নিয়েও অনেক জল্পনা রয়েছে ইন্ডাস্ট্রি জুড়ে। সাবিত্রীকে ভীষণ স্নেহ করতেন উত্তম কুমার। সাবিত্রীও উত্তম কুমারকে শ্রদ্ধা করতেন। শোনা যায়, দুজনেই একে অপরকে মনে মনে পছন্দও করতেন। কিন্তু গৌরী দেবীর সঙ্গে উত্তম কুমারের বৈবাহিক সম্পর্ক ভাঙতে চাননি সাবিত্রী।
স্বর্ণযুগের এই দুই শিল্পীকে নিয়ে বহু জল্পনা রয়েছে টলিউডের অন্দরে। তবে উত্তম কুমারকে নিয়ে একটি পুরনো ঘটনার কথা জানিয়ে কার্যত সকলকে অবাক করে দিয়েছিলেন সাবিত্রী চ্যাটার্জী নিজেই। একবার নাকি গভীর রাতে সাবিত্রীর বাথরুমে আশ্রয় নিয়েছিলেন উত্তম কুমার। কেন তিনি এই কান্ড ঘটিয়েছিলেন এবং এরপর কী কী হয়েছিল সেসব কথা শাশ্বত চ্যাটার্জীর টক শো অপুর সংসারে ভাগ করে নেন বর্ষিয়ান এই অভিনেত্রী।
সাবিত্রী বলেন তার বাবা ছিলেন ভীষণ কড়া। মেয়ে অভিনয় করুন কিংবা আর যাই করুন, রাত ১০ টার মধ্যে বাড়িতে তাকে ফিরতেই হত। রোজ রাত ১০ টার সময় সাবিত্রির বাবা নিজের হাতে বাড়ির গেটে তালা লাগাতে যেতেন। এই কথার মাঝেই শাশ্বত চ্যাটার্জী সাবিত্রীকে প্রশ্ন করেন উত্তম কুমারকে কেন তার বাড়ির বাথরুমে লুকোতে হয়েছিল?
সাবিত্রী এরপর বলেন উত্তম কুমার ওইদিন রাত ১০ টার পর বাড়িতে এসেছিলেন। কিন্তু তারপর তিনি আর বের হতে পারেননি। বাথরুমে লুকিয়ে পড়ে সাবিত্রীকে তিনি বলেন, “সাবু আমি এখানে।” আসলে তিনি সাবিত্রী দেবীর বাবাকে ভীষণ ভয় পেতেন। যদিও তার বাড়ির প্রত্যেক সদস্যের সঙ্গেই উত্তম কুমারের ভাল সম্পর্ক ছিল। প্রায় সময় আড্ডা দিতে আসতেন তিনি।
উত্তম কুমার ওইদিন রাত ১০:০০ টার পর সাবিত্রীর বাড়িতে আড্ডা দিতে গিয়েছিলেন। সাবিত্রী, তার দিদি, জামাইবাবু, মা, সকলের সঙ্গে বসে আড্ডা বেশ ভালই চলছিল। শুধু সাবিত্রীর বাবা নিজের ঘরে ঘুমোচ্ছিলেন তখন। এই সময় কথায় কথায় রাত হয়ে যায়। সাবিত্রী দেবীর বাবার ঘুম ভেঙে গেলে তিনি দরজার খিল খোলেন। সেই আওয়াজে ভয় পেয়ে উত্তম কুমার বাথরুমের চৌবাচ্চার মধ্যে আশ্রয় নেন।
উত্তম কুমারের সঙ্গে সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়ের প্রেম নিয়ে ব্যাপক চর্চা চলছিল টলিউডে। একটা সময় পর খবরের কাগজে লেখালেখিও শুরু হয়। সেই কারণে উত্তম কুমারের বাড়িতে ঝামেলা বাঁধতে শুরু করে। কিন্তু উত্তম কুমারের বাড়িতেও সাবিত্রীর অবাধ যাতায়াত ছিল। মহানায়ক এবং তার পরিবারের সঙ্গে ভাল সম্পর্ক বজায় রেখেছেন সাবিত্রী।