অভিনব এক মামলার সাক্ষী থাকলো ইংল্যান্ড (England)। ইংল্যান্ডের এক তরুণী জন্ম দেওয়ার অপরাধে তার মায়ের চিকিৎসককে কাঠগড়ায় তুললেন। মায়ের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার মামলা করেছেন ওই তরুণী। নাম তার এভি টোম্বিস (Evie Toombes)। চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলাকারীর প্রশ্ন, কেন তাকে জন্ম দেওয়া হয়েছিল? তার মাকে কেন প্রসবের অনুমতি দিয়েছিলেন ওই চিকিৎসক?
ইংল্যান্ডের ওই তরুণী জন্মগত সূত্রে স্পাইনা বিফিডা (Spina Bifida) রোগে আক্রান্ত। এটি মেরুদন্ডের একটি বিরল রোগ। এই রোগের কারণে তাকে কোনও কোনও দিন ২৪ ঘন্টাই টিউবের সাহায্য নিয়ে থাকতে হয়। এমন কষ্টকর জীবন পেয়ে তিনি নিজের অবস্থার জন্য মায়ের চিকিৎসক ডা. ফিলিপ মিচেলকে দায়ী বলে মনে করেন।
লন্ডন হাইকোর্টে (London High Court) ওই তরুণী তার মায়ের চিকিৎসকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় পরিপ্রেক্ষিতে তরুণীর অভিযোগ বিচার করে লন্ডন হাইকোর্ট ওই চিকিৎসককেই দোষী সাব্যস্ত করেছে। মামলার পরিপ্রেক্ষিতে মোটা অঙ্কের জরিমানাও এভির হাতে তুলে দিতে হবে চিকিৎসককে। এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে লন্ডন হাইকোর্ট।
তরুণীর দাবি, যদি ওই চিকিৎসক গর্ভাবস্থায় তার মাকে জানাতেন যে তার সন্তান স্পাইনা বিফিডার মতো কঠিন রোগে আক্রান্ত হতে পারে, তাহলে হয়তো তার এই অবস্থা হতো না। সন্তানের এই রোগের ঝুঁকি কমাতে মায়ের ফলিক অ্যাসিডযুক্ত খাবার এবং প্রয়োজনীয় ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে। সঠিকভাবে চিকিৎসা করা হলে তার হয়তো এই রোগ হতো না। কিংবা মা যদি সন্তান ধারণ না করতেন তাহলেও ওই তরুণী এমন কষ্টকর জীবন পেতেন না।
View this post on Instagram
বুধবার লন্ডন হাইকোর্টের বিচারপতি মামলাটি বিবেচনা করে মন্তব্য করেন, এই মামলাটি নজিরবিহীন। আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুসারে, যদি এভির মাকে সঠিক পরামর্শ দেওয়া হতো তাহলে তিনি পরেও সন্তান ধারণ করতে পারতেন। তাহলে তিনি সুস্থ সন্তানের জন্ম দিতেন। তাই এভির যুক্তিকে সমর্থন করে ওই চিকিৎসাকে বিপুল অঙ্কের অর্থ জরিমানার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই টাকা দিয়ে এভির সারাজীবনের চিকিৎসা এবং দেখভালের ব্যবস্থা হবে। যদিও টাকার অংকটা জানা সম্ভব হয়নি।
View this post on Instagram