টলিউড (Tollywood) একজন অন্যতম অভিনেতা হলেন টোটা রায়চৌধুরী (Tota Roy Chowdhury)। যাকে সম্প্রতি দেখা গেছে বলিউড (Bollywood) -র করণ জোহর (Karan Johar) -র পরিচালিত ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহািনি’ (Rocky Aur Rani Ki Prem Kahani) -তে বাঙালির চরিত্রে। যার অভিনয় ইতিমধ্যে প্রশংসা কুড়িয়েছে বলিউডের তাবড় তাবড় ব্যাক্তিদের। আর এবার মুম্বাইয়ে সিনেমার প্রিমিয়ারে ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে গিয়ে আরও একবার সকলের মন জয় করে নিলেন তিনি।
২৮ শে জুলাই মুক্তি পেয়েছে রকি অউর রানি কী প্রেম কাহানি। ইতিমধ্যেই বিশ্বে ২১০ কোটির ব্যবসা করে ফেলেছে এই সিনেমা। তবে এই ছবিতে টোটা রায়চৌধুরী বিশেষভাবে নজর কেড়েছেন। আর এবার সিনেমা প্রিমিয়ারের দিন দামি ডিজাইনার স্যুট না পরে বাঙালি সেজে ধুতি পাঞ্জাবি পড়ে সবার নজর কাড়লেন তিনি। কারণ ধুতি পাঞ্জাবি হলো বাঙালির ঐতিহ্য। আর টোটা রায়চৌধুরী সেই প্রথম বাঙালি অভিনেতা যিনি এই ঐতিহ্যকে বলিউডের মাটিতে স্বসম্মানে তুলে ধরলেন।
এই প্রসঙ্গে তার একটি ধুতি পাঞ্জাবি পরা ছবি শেয়ার করে অভিনেতার বলেন, “এই ছবিটি মুম্বইয়ে সিনেমার প্রিমিয়ারের দিন তোলা। তবে অনেকেই উপদেশ দিয়েছিলেন যে বড় বড় সেলিব্রিটিরা আসবেন তাই ডিজাইনার স্যুট পরে যেতে। কিন্তু বাঙালির আত্মাভিমান তো, বলেছিলাম, না। আমি বাঙালি, ছবিতেও বাঙালি, অতএব নিখাদ বাঙালি পোশাকই পরব। তাই ধুতি পাঞ্জাবি পরেছি। আমার পোশাক পরিকল্পনায করেছেন অভিষেক রায়।”
এরপর এদিন টোটা লিখলেন, ‘২৮ জুলাই….নিজস্ব লয় ও ছন্দে অভ্যস্ত আমার মন্থর জীবন সহসা তীব্রবেগে ধাবিত হতে শুরু করলো এই দিনটি থেকে। ২৭ জুলাইয়ের রাত পর্যন্ত আমি ছিলাম মধ্য মানের, মাঝারি সফল, এক মাঝবয়সী অভিনেতা। কিন্তু প্রথমোক্ত দিনটি থেকে আমি নাকি হয়ে উঠলাম এক অতীব প্রতিভাবান অভিনেতা যার সম্বন্ধে জানতে অন্যান্য প্রদেশের দর্শকরাও আগ্রহী! পুরো গঙ্গারাম থেকে গঙ্গু গ্যাংস্টার !’
তিনি আরও লেখেন,’প্রথমে একটু হকচকিয়ে গেলাম। তারপর খানিক কাষ্ঠ হেসে ভাবলাম বোধহয় বড়মাপের অভিনেতাদের সাথে কাজ করেছি তাই এটা মানুষের প্রাথমিক উচ্ছাস। কিন্তু রোববার রাত পর্যন্ত যখন ফোনে, মেসেজে বা সোশ্যাল মিডিয়ায় শুভেচ্ছার সুনামি হ্রাস পেলো না বরং উত্তরোত্তর বৃদ্ধি পেল তখন বুঝলাম যে এটা দর্শকদের নিখাদ ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ।’
আরও পড়ুন : রূপে লক্ষ্মী, গুণে সরস্বতী! টোটা রায়চৌধুরীর স্ত্রী রূপে হার মানাবে যেকোনও টলিউড নায়িকাকে
তিনি ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের স্ট্রাগলের কথা তুলে ধরে লিখলেন, ‘ইন্ডাস্ট্রির পিচ্ছিল পাকদন্ডী বেঁয়ে, দু’পা এগিয়ে দেড়’পা পিছিয়ে পড়ার নিরন্তর প্রয়াস; একেক সময় মনে হতো যে আর সহ্যশক্তিতে কুলোবে না। কিন্তু পরদিন আবার দাঁতে দাঁত চেপে পথচলা শুরু করতাম। ফুটবল খেলতাম বলে সবসময় নিজেকে বোঝাতাম যে খেলাটা নব্বই মিনিটের। বাঁশি না বাজা পর্যন্ত গোল করার আপ্রাণ চেষ্টা করে যেতে হবে। হাল ছাড়লে চলবে না’।
আরও পড়ুন : টোটা রায় চৌধুরীর মেয়ে রূপে টলিউড নায়িকাদের দশ গোল দেবে, দেখুন ছবি গ্যালারী