‘বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি দিয়ে ছবি হিট করানোর ধান্দা’, দেবকে ধুয়ে দিলেন নেটিজেনরা

বাংলা সিনেমার (Bengali Cinema) সত্যিই বড় দুর্দিন আজ! যার হাত ধরে অস্কার পেয়েছে টলিউড আজ সেই সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) ‘পথের পাঁচালী’ (Pather Panchali) ছবি তৈরির নেপথ্য কাহিনী নিয়ে বানানো ‘অপরাজিত’ (Aparajita) হল পাচ্ছে না এই বাংলাতেই। কলকাতার গুটিকতক সিনেমা হলেই কেবল জায়গা পেয়েছে ‘অপরাজিত’। অনীক দত্তের ‘অপরাজিত’কে ফিরিয়ে দিয়েছে নন্দনও।

অথচ ইদানিং তারকারি ‘বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান’ বলে ‘কান্নাকাটি’ করতে শুরু করেছেন, যদিও তা কেবল নিজেদের ছবি বেলায়! সম্প্রতি এই মর্মে দেব, জিৎ এবং তাদের সমর্থকদের কটাক্ষ করতে শুরু করেছেন নেটিজেনরা। দেবের ‘কিশমিশ’, জিতের ‘রাবণ’ রমরমিয়ে ব্যবসা করছে সিনেমা হলগুলোতে, অথচ ‘অপরাজিত’ সেখানে ব্রাত্য! সত্যজিৎ রায়ের ভক্ত প্রকৃত বাঙালিদের পক্ষে সত্যিই এটা মেনে নেওয়া কষ্টকর।

সোশ্যাল মিডিয়াতে ইতিমধ্যেই এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে চর্চা তুঙ্গে উঠেছে। নেটিজেনদের মধ্যে কেউ কটাক্ষ করে লিখলেন, “কদিন আগেই “বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ান”, “বাংলা সিনেমাকে বাঁচান”, “কিশমিস/রাবণ দেখুন”, “বাঙালি কেন বাংলা ছেড়ে সাউথের মুভি দেখছে”, ” টিকিট কেটে বাংলা সিনেমা দেখতে আসুন”, ইত্যাদি বলে কান্নাকাটি করছিল, তারা এক্ষেত্রে সবাই চুপ।”

টলিউডের ‘লবিবাজি’, তারকাদের ‘আখের গুছিয়ে নেওয়ার প্রবণতা’, ‘বাঙালি সেন্টিমেন্টে সুড়সুড়ি’ দিয়ে নিজেদের ব্যবসা করে নেওয়ার এই প্রবণতার বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন অনেকে। টলিউডের সেই তারকাদের উদ্দেশ্যে আজ সত্যিই বাংলা সিনেমার পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিচ্ছেন নেটিজেনরাই!

কেউ লিখলেন, “সেইসব বড়ো অভিনেতাদের দেখলামই না “অপরাজিত” নিয়ে কথা বলতে।আবার সেই ভক্ত দর্শকদের শিরায় শিরায় এখন আর বাঙালীয়ানা ছুটবে না।আবার এই সিনেমা ফ্রান্স বা বিদেশে কোনো ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে পুরস্কৃত হলে এরাই বলবে “আমি গর্বিত আমি বাঙালি “তখন গর্বে বুক ফাটবে।”