রূপঙ্করের মুখে আমাদের নাম কেন, কেকে-বিতর্কে ক্ষোভে ফুঁসছেন রাঘব, ইমন, সোমলতা

মঙ্গলবার রাতে বাঙালি গায়কদের পক্ষ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে শ্রোতাদের কাছে নিজের মতামত তুলে ধরেছিলেন রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi)। তবে এমনটা করতে গিয়ে কার্যত বলিউড গায়ক কেকে-কে (K K) অপমান করে বসেন তিনি। সেই রাতেই কেকের মৃত্যু পরিস্থিতি আরও জটিল করে তোলে। কেকের ভক্তদের সব রাগ গিয়ে পড়ে রূপঙ্করের উপর। পাল্টা সমালোচনার ঝড়ে রীতিমতো বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছে তার ব্যক্তিগত জীবন।

রূপঙ্কর তার বক্তব্যে রাঘব চ্যাটার্জী (Raghab Chatterjee) , সোমলতা আচার্য্য (Somlata Acharyya Chowdhury), ইমন চক্রবর্তী (Iman Chakraborty), মনোময় ভট্টাচার্যদের (Monomoy Bhattacharya) নাম ধরে ধরে সওয়াল করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে খবর দেন গায়িকা ইমন চক্রবর্তী। তার অনুমতি না নিয়েই তার নাম ব্যবহার করা নিয়ে আপত্তি রয়েছে তার। ফেসবুক লাইভে এসে তিনি তার মতামত স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন। এবার বাকিরাও এই বিষয়ে মুখ খুললেন।

raghab chatterjee

রূপঙ্করের মন্তব্যে বেজায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন গায়ক রাঘব চ্যাটার্জী। আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, ‘‘আমাদের নাম এ ভাবে বলবে কি না, সেটা আমাদের কাছে জানতে চাওয়া উচিত ছিল। কাল যদি বলি, আমি রোনাল্ডোর থেকে ভাল ফুটবল খেলি এবং শ্রীকান্ত আচার্য, নচিকেতাও রোনান্ডোর থেকে ভাল ফুটবল খেলে, আমার কথার দায় তো ওঁদের হতে পারে না। আমিও এমন কথা বলতে পারি না। অন্য কারও নাম তাঁর অনুমতি ছাড়া নেওয়া উচিত নয়।’’

ইমন চক্রবর্তীও আনন্দবাজারের কাছে বলেছেন, ‘‘কেউ কোনও প্রসঙ্গে ব্যক্তিগত মতামত দিতেই পারেন, কিন্তু সেখানে যদি অন্য কোনও শিল্পীর নাম নেওয়া হয়, তখন এ বিষয়ে তাঁর অনুমতি নেওয়া হয়েছে কি না, তাঁর সঙ্গে কথা বলা হয়েছে কি না, সবটাই স্পষ্ট হওয়া উচিত। এই মন্তব্যের ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না, এটা স্পষ্ট করতেই আমি ফেসবুক লাইভ করে আমার বক্তব্য জানিয়েছিলাম।’’

গায়িকা সোমলতা আচার্য্য চৌধুরীও রূপঙ্করের মন্তব্যে বিরোধিতা করে বলেছেন, ‘‘কোনটা উচিত, কোনটা অনুচিত, বলতে পারব না। তবে রূপঙ্করদা যে কথাটা বলছেন কেকে প্রসঙ্গে, তার সঙ্গে আমি সহমত নই। কেকে আমার অনুপ্রেরণা। ছোটবেলা থেকে ওঁর গান শুনে বড় হয়েছি। তার থেকে ভাল গান আমি গাই, এটা কোনও দিন ভাবতেই পারব না।’’

তবে গায়ক মনোময় ভট্টাচার্য অবশ্য উল্টো মত পোষণ করছেন। মনোময় আনন্দবাজারকে বলেছেন, ‘‘ও যে আমাদের নাম বলেছে , সেটা ওর ইমোশন থেকে বলেছে। ওর ভাবনা। তার জন্য অনুমতি নিতে হবে কেন? আমরা তো ওকে বলতে বলিনি। তাই আলোচনা বা অনুমতি, কোনওটাই এখানে প্রযোজ্য নয়। এর সঙ্গে একটা কথা বলতে পারি, কেকের আকস্মিক মৃত্যু এই বিতর্কের আঁচ বাড়িয়ে দিয়েছে। না হলে এই বিতর্ক অনেক আগেই থেমে যেত।’’