বাংলা বিনোদন জগতের একজন জনপ্রিয় অভিনেত্রী হলেন সুদীপা বসু (Sudipa Basu)। দীর্ঘদিনের অভিনয় জীবনে তাকে দেখা গিয়েছে একাধিক জনপ্রিয় সব বাংলা সিরিয়ালে (Bengali Serial)। এছাড়াও তিনি বড়ো পর্দাতেও অভিনয় করেছেন। কিন্তু জানেন কী অভিনয়ে আসার আগে কতটা সংগ্রামের মধ্যে যেতে হয়েছে এই অভিনেত্রীকে? এমনকি একটা সময় তিনি লজেন্স বিক্রি করতেন। চলুন জেনে নিই সেই ঘটনা।
সুদীপা বসুকে কিছুদিন আগেই দেখা গিয়েছে জি বাংলার জনপ্রিয় সিরিয়াল ‘বোধিস্বত্বের বোধ বুদ্ধি’তে। এই সিরিয়ালে বধির দিদা হয়েছিলেন তিনি। তবে তিনি শুরু টা করেছিলেন থিয়েটার দিয়ে। একসময় চুটিয়ে অভিনয় করেছেন মেঘনাথ ভট্টাচার্যের (Meghnath Bhattcahrya) ‘সায়ক’ নাট্যাদলে। এছাড়া আজও অঞ্জন দত্ত (Anjan Dutta)-কেই নিজের গুরু বলে মনে করেন অভিনেত্রী।
আর এই অভিনেত্রীর ছোট পর্দায় পথ চলা শুরু হয়েছিল ‘এক আকাশের নিচে’ দিয়ে। তাকে দেখা গিয়েছিল অনিতা অর্থাৎ রজতাভ দত্তের স্ত্রীর চরিত্রে। এই ধারাবাহিক দিয়েই শুরু, তারপরই একে একে অভিনয় করেছেন, ‘একদিন প্রতিদিন’, ‘দুর্গা’, ‘ফিরকি’, ‘বাই বাই ব্যাংকক’, ‘আবার ব্যোমকেশ’, ‘বালুকাবেলা ডট কম’, ‘মহালয়া’ সহ আরও অনেক ছবি ও ধারাবাহিক।
তবে এই অভিনেত্রীর অভিনয়ে আসার যাত্রাপথটা মসৃণ ছিলনা। মা-বাবাকে নিয়ে তিন বোনের সংসার। দুই দিদির বিয়ে হয়ে গেছে। ১৯৮৬ তে বাবা মারা যান। ব্যস তারপর শুরু হল আসল লড়াই। সেই সময় তিনি আর তার মা মিলে বাড়ি ঘুরে লজেন্স বিক্রি করতেন। আর তারপর তার মা গত হন ২০০৬ সালে। তারপর থেকেই একা একা জীবন কাটাচ্ছেন এই অভিনেত্রী।
সুদীপার কথায়, “খুব ছোট থেকেই আমি আর মা। অভিনয়ের প্রতি খিদেটা জন্মায় ছোটবেলাতেই। কিন্তু মধ্যবিত্ত বাড়িতে যেমন হয় আর কী। বাড়ি বাড়িতে ঘুরে বিস্কুট, লজেন্স বিক্রি করতাম। এই ভাবে নিজের হাতখরচ জোগাড় করতাম। খুব কষ্ট করতে হয়েছে। তারপর মা মারা যাওয়ার পর থেকে একায় হয়ে গেছি।”
আরও পড়ুন : ডিভোর্সী নাকি সেপারেটেড? স্বামীর সঙ্গে সম্পর্ক নিয়ে প্রথম মুখ খুললেন রচনা ব্যানার্জী
আরও পড়ুন : সুপারস্টারের বউ হয়েও একেবারেই সাদামাটা! জিতের স্ত্রী রূপে গুণে টলিউড নায়িকাদের দেবে ১০ গোল
টিভিতে আসার আগে থিয়েটার করতেন, মেঘনাথ ভট্টাচার্যের ‘সায়ক’ নাট্যাদলে। কলেজে পড়ার সময় থেকেই পাড়ার ক্লাবে নাটক করতেন। তারপর অঞ্জন দত্তের একটা ওয়ার্কশপে গিয়েই জীবন বদলে যায়। এরপরই সুযোগ পান ‘পাতি প্রেমের গপ্পে’। তারপর শৈবাল বসুর সাথে বিয়ের পর কলকাতার তাজ-বেঙ্গল হোটেলে চাকরি করতেন। কিন্তু মেঘনাথ ভট্টাচার্য তাকে জানান, থিয়েটার করতে গেলে চাকরি ছাড়তে হবে। সেই মত তিনি চাকরি ছেড়ে অভিনয়কেই আকড়ে ধরেন।