দু-দুবার বিয়েতেও সাধ মেটেনি, যশকে ছেড়ে বুকের উপর কার নাম লিখলেন নুসরাত

টলিউড (Tollywood) নায়িকা নুসরাত জাহান (Nusrat Jahan) ফের একবার চলে এসেছেন সংবাদমাধ্যমে শিরোনামে। এবারেও তাকে নিয়ে চর্চার বিষয়বস্তু তার স্যোশাল মিডিয়ার পোস্ট। সোশ্যাল মিডিয়াতে নতুন ছবি পোস্ট করলেই ট্রোল্ড হতে হয় তাকে। এবার অবশ্য নিজের নতুন ছবি পোস্ট করে একগুচ্ছ প্রশ্নের জন্ম দিয়ে সকলকে গোলক ধাঁধায় ফেলে দিলেন অভিনেত্রী।

সম্প্রতি নীল রঙের জিন্স এবং ক্রপ টপ পরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি শেয়ার করেছিলেন নুসরাত। তার ছবি দেখে ভক্তরা তাকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন। এই ছবিতে বেশ সুন্দরী ও মোহময়ী লাগছে টলিউডের এই অভিনেত্রীকে। তবে সকলের চোখ আটকে গিয়েছে নুসরাতের বুকের ট্যাটুতে। বুকের উপর সযত্নে কার নাম লিখে রেখেছেন নুসরাত?

টলিউডের এই সুন্দরী জীবনের বিতর্কিত অধ্যায় হল নিখিল জৈনের সঙ্গে তার প্রাক্তন সম্পর্ক, প্রেম, বিয়ে এবং বর্তমানে তিনি যে যশ দাশগুপ্তের সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন সেটা নিয়েও কম জলঘোলা হয়নি। যশের সঙ্গে লিভ ইন করতে করতেই নুসরাত তার প্রথম সন্তানের জন্ম দেন। তখনও তাকে একবার বিতর্কের মুখে পড়তে হয়েছিল।

এখন অবশ্য সমস্ত বিতর্কের ঊর্ধ্বে পৌঁছে স্বামী যশ এবং সন্তানকে নিয়ে সুখেই রয়েছেন তিনি। এদিকে যশ আবার টলিউড ছেড়ে পাড়ি দিয়েছেন বলিউডে। সেখানেই মুক্তি পাচ্ছে তার নতুন ছবি ‘ইয়ারিয়া ২’। তাই নেটিজেনদের একাংশের মনে প্রশ্ন উঠছে যশকে ছেড়ে তাহলে কি নতুন সম্পর্কে জড়ালেন নুসরাত? সেই নতুন প্রেমিকেরই নাম কি তিনি সযত্নে লিখে রেখেছেন নিজের শরীরে? ‌

নুসরাতের শরীরে এই ট্যাটু দেখে কেউ মনে করছেন হয়ত বা যশের নামে ট্যাটু লিখে থাকবেন অভিনেত্রী। আবার কেউ মনে করছেন হয়তো তার একরত্তি সন্তান ইশানের নাম হতে পারে এটি। তবে নুসরাতের বুকের উপর এই ট্যাটু কিন্তু গত দু’বছর ধরেই আছে। অর্থাৎ সন্তানের জন্মের আগে শরীরে ট্যাটু এঁকেছিলেন অভিনেত্রী। তার বুকের উপর কার নাম লেখা আছে বলুন তো?

নুসরাত আসলে তার শরীরে কারও নাম লেখেননি। তিনি তার বুকের উপর খোদাই করেছেন ইংরেজি একটি শব্দ Victory অর্থাৎ জয়। খোলামেলা পোশাকে এর আগে বহুবার তার বুকের ট্যাটুটি ধরা পড়েছে ক্যামেরায়। কখনও তার বুক চেরা লাল গাউনে, কখনও আবার সরু কাঁধের সালোয়ার এবং ফিনফিনে ওড়নার ফাঁক দিয়ে সকলের নজর গিয়ে পড়েছে ট্যাটুর উপর। ঈদের শুভেচ্ছা দিতে গিয়ে স্তনের উপর ট্যাটুটি নজরে পড়তেই অনেকেই তার সমালোচনা করেছিলেন।