শরীরে বাসা বেঁধেছে জটিল রোগ, নিজেকে নিয়ে উদ্বিগ্ন মিমি চক্রবর্তী

শরীরের কোনও রোগ হলে তার চিকিৎসার জন্য সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিই আমরা। তবে রোগ যদি মনের হয়? তাহলেও কি ঠিক ততটাই গুরুত্ব দিই? মনের আবার রোগ! অনেকে এ কথা বিশ্বাসই করেন না। বিশ্বাস করুন বা না করুন, মনেরও অসুখ হয়। শরীরের মত মনেরও জ্বর হয়। তাকে বলে অ্যাংজাইটি বা মানসিক উদ্বেগ। মনের এই রোগের বিরুদ্ধে টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তীর (Mimi Chakraborty) লড়াইটা দীর্ঘদিনের।

মানসিক উদ্বেগ সকলেরই কম বেশি থাকে। স্কুলের পড়াশোনার চাপ হোক বা অফিসের কাজের চাপ, অবশ্যম্ভাবী ফলাফল উদ্বেগ। মনের রোগ সম্পর্কে যথেষ্ট সচেতন মিমি। তাই অ্যাংজাইটি অ্যাটাক তিনি সামলে উঠতে পারেন। এবার আনন্দবাজার অনলাইনের ফেসবুক পেজে এবং ইউটিউব লাইভ ‘অ-জানাকথা’য় মনের রোগ নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করলেন মিমি।

Mimi Chakraborty

মিমি জানিয়েছেন, কখনও কখনও তিনি অতিরিক্ত উদ্বেগে ভোগেন। চিকিৎসকের পরিভাষায় তাকে বলে অ্যাংজাইটি অ্যাটাক। মিমি বলেছেন, “মানসিক সমস্যা থাকলে চিকিৎসা করাতে হবেই। অম্বল হলে যেমন অ্যান্টাসিড খাই, মানসিক স্বাস্থ্যের সমস্যা হলেও তেমন যত্ন চাই। এটা আমার লড়াই। নিজেকেই লড়তে হয়। যত্ন নিতে হয়”।

শরীরের রোগের জন্য ওষুধে কাজ দেয়। তবে মনের যত্নের জন্য প্রয়োজন আরও অনেক কিছু। মিমি জানিয়েছেন নিয়মিত ধ্যান করলে মন ভাল থাকে। তবে যদি উদ্বেগ ঘনঘন আসে তাহলে সেক্ষেত্রে চিকিৎসার প্রয়োজন। চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলাফেরা করাই উচিত বলে মনে করেন মিমি। উল্লেখ্য, মন খারাপ নিয়ে বরাবর অকপট অভিনেত্রী। এর আগেও একবার একটি সাক্ষাৎকারে তিনি তার ডিপ্রেশন নিয়ে খোলাখুলি আলোচনা করেছিলেন।

গত শুক্রবার ৩৪ বছর বয়স পূর্ণ হল মিমির। জীবনের এই বিশেষ দিনটি তিনি তার পরিবার এবং ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে কাটিয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়াতে জন্মদিন সেলিব্রেশনের মুহূর্তের বেশ কিছু ছবিও শেয়ার করেছিলেন অভিনেত্রী।