বলিউডে গিয়ে বেড়েছে দর, বাংলায় ফিরেই মিমির চড়া পারিশ্রমিক শুনে প্রযোজকদের মাথায় হাত

বর্তমানে বাংলার বাইরে বলিউডের কাজ নিয়ে বেজায় ব্যস্ত রয়েছেন টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী (Mimi Chakraborty)। বর্তমানে তাকে টলিউডের পার্টিতেও দেখা যাচ্ছে না, আবার রাজনৈতিক ময়দানেও দেখা যাচ্ছে না। নিন্দুকরা বলছেন মিমির হাতে নাকি কোনও কাজ নেই। তাই তিনি সারাদিন ইনস্টাগ্রাম করতেই ব্যস্ত। সত্যিই কি তাই? এই প্রসঙ্গে এই সম্প্রতি আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুলেছিলেন অভিনেত্রী।

একসময় ‘গানের ওপারে’র মত ধারাবাহিকের হাত ধরে পর্দাতে পা রেখেছিলেন মিমি। এখন তিনি টলিউড-বলিউড জুড়ে চুটিয়ে কাজ করছেন বড় পর্দাতে। তার সাফ কথা, “কে কী বলছে, তাতে আমার যায়-আসে না। কোনও দিনই আসত না। তারা তো আমার সংসার চালায় না। জীবনটা আমার। এর চাবিকাঠি শুধু আমার হাতে। যত দিন আমার দর্শক আমায় দেখতে চান, তত দিন এ সবে আমি কান দেব না।”

তিনি আরও বলেছেন, “কেরিয়ারের যেই জায়গায় আমি দাঁড়িয়ে, সেখানে আমার কাছের লোকেরা খুব ভাল করে জানে আমি কতটা পরিশ্রমী। তাই বছরে একটা ছবি করলেও আমি সেই ছবিটা মন দিয়ে করব এবং সেটা নিয়ে গর্ব বোধ করব। বছরের একগুচ্ছ আজেবাজে ছবি, যেগুলোর কোনওটাই বক্স অফিসে লাভের মুখ দেখল না, করার চেয়ে একটা ছবি করা অনেক ভাল।”

মিমি একবার তার সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন তিনি প্রয়োজনে ঘনিষ্ঠ দৃশ্যে অভিনয় করতেও রাজি। তার এই বক্তব্য নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেক সমালোচনা হয়েছিল। মিমি তার সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে আনন্দবাজারকে বলেছেন তিনি শুধু চিত্রনাট্য দেখেই ছবি পছন্দ করেন। গল্প যদি পছন্দ হয় তাহলে মা-ঠাকুমার চরিত্র করতেও তিনি রাজি। মিমি বরাবর তার চরিত্র নিয়ে এক্সপেরিমেন্ট করেছেন। এমনকি তার কেরিয়ারের শুরুটাই হয়েছিল এইভাবে।

Mimi Chakraborty

উনিশ-কুড়ি বছর বয়সে যখন তিনি অভিনয়ে পা রাখেন তখন তাকে ২৭-২৮ বছরের একটি মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করতে হয়েছিল। তিনি এটা ভেবে খুশি যে প্রযোজকরা তার উপর ভরসা রেখেছেন। তবে শুধু চিত্রনাট্য নয়, কাজ করার ক্ষেত্রে পারিশ্রমিকটাও গুরুত্বপূর্ণ মিমির কাছে। তিনি বলেছেন তার চরিত্রটা কত গুরুত্বপূর্ণ সেটা দেখার পাশাপাশি পারিশ্রমিকটাও বিবেচ্য বিষয় তার কাছে।

মিমির কথায়, “এখন আর আমায় কেউ পাঁচ লাখ টাকা দিয়ে ছবি করাতে পারবে না। সঙ্গে কে আছে, কখনও জিজ্ঞেসও করি না। আমার জন্য গল্প আর টাকাটা আসল। সেগুলো ঠিক হলে তার পর হয়তো জিজ্ঞেস করি, সঙ্গে কে করছে। তবে সহকর্মীর ভিত্তিতে কখনও চিত্রনাট্য বাছাই করি না।” সবশেষে তিনি বলেছেন, “সাংসদ হিসাবে, কিংবা অভিনেত্রী হিসাবে, আমি শুধু নিজের কাজটা করে যাই। আমার ঘাড়ে অনেক দায়িত্ব রয়েছে। যত দিন সেটা থাকবে, আমি পরিশ্রম করে যাব।”