শাড়ি-ব্লাউজ খুলে ঠিকরে বেরোচ্ছে সুডৌল স্তন, স্বস্তিকার ছবি দেখে ছিঃ ছিঃ করছে নেটিজেনরা

ফের একবার খোলামেলা পোশাকে সোশ্যাল মিডিয়াতে ছবি আপলোড করে চূড়ান্ত ট্রোল্ড হলেন স্বস্তিকা মুখার্জী (Swastika Mukherjee)। শাড়ির সঙ্গে খোলামেলা ব্লাউজে ক্যামেরার সামনে ধরা দিয়ে সাহসিকতার মাত্রাই ছাড়িয়ে গিয়েছেন টলিউডের (Tollywood) এই সুন্দরী। নতুন ছবির প্রচারেই এমন অভিনব পন্থা খুঁজে নিয়েছেন তিনি। বোল্ডনেসের মাত্রা ছাড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়াতে স্বস্তিকা ছবি আপলোড করতেই উপচে পড়ছে সমালোচনা।

অবশ্য এই প্রথম নয়, পোশাক নিয়ে সবসময় ছক ভাঙ্গারই চেষ্টা করেছেন স্বস্তিকা। কখনও ব্রায়ের উপর ব্লেজার পরে নজর কেড়েছেন, কখনও ব্লাউজ ছাড়াই সাবেকি শাড়ির সাজে নিজেকে মেলে ধরেছেন ক্যামেরার সামনে। এবার একটি ইভেন্টের জন্য গোলাপি রঙের করসেট টপের সঙ্গে স্বস্তিকা সাজলেন লেসের পাড় বসানো ফ্লোরাল প্রিন্টেড ট্রান্সপারেন্ট শাড়িতে। খোলামেলা করসেট টপ থেকে উপচে বেরোচ্ছে স্তনযুগল।

স্বস্তিকার এই আগুন লুক দেখেই বেহুঁশ হলেন তার ভক্তরা। এর আগেও মাত্রা ছাড়া বোল্ডনেসে বহুবার নজর কেড়েছেন স্বস্তিকা। শীতের এই মরসুমে স্বস্তিকার এমন আগুন ছবি ও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ার উষ্ণতা কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। তাকে দেখে বোঝার উপায় নেই বয়স তার ৪০ এর গন্ডি পেরিয়ে গিয়েছে। হটনেসে তিনি টেক্কা দিতে পারেন মেয়ের বয়সী টলিউড অষ্টাদশীদেরও।

ফ্লোরাল প্রিন্টের এই শাড়ির সঙ্গে স্টেটমেন্ট নেকলেস এবং কানের দুলে সাজ সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। চোখের গ্লিটারি মেক আপের সাজ তাকে আরও মোহময়ী করে তুলেছে। কমেন্টের বন্যা বয়ে যাচ্ছে তার পোস্টের নিচে। তবে নিন্দা এবং সমালোচনা দুটোই বাড়ছে ঝড়ের গতিতে। স্বস্তিকার পোস্টে কেউ লিখেছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে পোশাকগুলো চেঞ্জ করা দরকার। তবে সেই উপদেশের পাল্টা জবাব দিয়েছেন অভিনেত্রী।

স্বস্তিকার পাল্টা মন্তব্য, “কার ভাল লাগবে? আপনার ভালো লাগার জন্য করব না নিজের? আমি অবশ্য পরেরটাতে বিশ্বাস করি। ধন্যবাদ।” আবার স্বস্তিকার জনৈক ভক্ত তাকে উদ্দেশ্য করে লিখেছেন, “তোমার স্টাইল ফাটাফাটি, যদি তোমার মত হতে পারতাম।” নিন্দার পাশাপাশি স্বস্তিকা প্রশংসার জবাবও দিয়েছেন। আসলে সোশ্যাল মিডিয়াতে কারও নিন্দা কিংবা সমালোচনায় তেমন মাথা ঘামান না অভিনেত্রী। বরং কেউ অপমান করতে চাইলে তাকে পাল্টা দু কথা শুনিয়ে দেন।

হিন্দুস্তান টাইমস বাংলাকে স্বস্তিকা একবার বলেছিলেন যদি কোনও মেয়ে পুরুষদের মত মদের দোকানে যায়, শর্টস পরে, সিগারেট খায় তাহলে তার দিকে প্রশ্নের আঙুল উঠবে। তবে তিনি চুপ করে থাকার পাত্রী নন বরং প্রতিবাদ করবেন। এখনকার যুগে একমাথা সিঁদুর পড়লেও শুনতে হয় ব্যাকডেটেড, আবার না পরলেও শুনতে হবে তিনি সংস্কার মানেন না। সোশ্যাল মিডিয়াতে থেকেও প্রতিবাদ না করলে এমন থাকার কোনও মানে নেই বলেই মনে করেন স্বস্তিকা।