৪০ পেরিয়েও ২০-এর গ্ল্যামার! বয়স ধরে থাকতে রোজ এই ছোট্ট কাজটি করেন কোয়েল মল্লিক

টলিউড (Tollywood) অভিনেত্রী কোয়েল মল্লিক (Koel Mallick) দেখতে দেখতে বয়সের নিরিখে ৪০ এর কোঠা পার করে ফেললেন। আগে টলিউড সম্পর্কে সকলের ধারণা ছিল ৩০ পেরিয়ে গেলে অভিনেত্রীরা নায়িকা হতে পারতেন না। তারপর আবার বিয়ের পর সন্তানধারণ করলে তো আবার অভিনয়ে ফিরে আসাটা একপ্রকার অসম্ভবই ছিল নায়িকাদের পক্ষে। তবে এখন সেসব ধারণা অতীত। নায়িকারাও টলিউডে টিকে থাকতে নিজেদের ফিট এবং ফাইন রাখতে তৎপর থাকেন সবসময়।

টলিউডের অভিনেত্রীদের মধ্যে কোয়েল মল্লিকের রূপ-সৌন্দর্য এখনও মুগ্ধ করে দেয়। এই বয়সেও তার চেহারার গ্ল্যামার অষ্টাদশীদেরও হার মানাবে। অবশ্য শরীরের সৌন্দর্য্য রক্ষা করতে কোয়েল মল্লিক নিজের যত্ন নিতে ভোলেননি কখনও। কীভাবে তিনি নিজের শরীর এবং ত্বকের যত্ন নেন? সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে এই বিষয়ে মুখ খুলেছিলেন তিনি। জানিয়ে দিয়েছিলেন তার ডায়েটের রহস্য।

কোয়েল জানিয়েছেন রোজ সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি ফল, দুধ, কনফ্লেক্স এবং ডিম সহযোগে ব্রেকফাস্ট সেরে নেন। দুপুরে তার লাঞ্চে থাকে ব্রাউন রাইস মাছ এবং সবজি। ভাজাভুজি নিজের খাওয়ার তালিকা থেকে একেবারেই বাদ দিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিকেলের টিফিনে তিনি খান ফ্রুট স্যালাড। রাতে ডিনারের সময় তার পাতে থাকে রুটি, চিকেন এবং সঙ্গে মিক্সড ভেজিটেবল।

সেই সঙ্গে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন বাঙালি হিসেবে মাছ-ভাত তার খুবই প্রিয়। তিনি মাছ খেতে ভালবাসেন। তিনি সব ধরনের মাছ খেতে পছন্দ করেন। কোয়েল মনে করেন ফিশ অয়েল ত্বক এবং চুলের জন্য খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে প্রেগনেন্সির সময়ে কিছু গুরুত্বপূর্ণ টিপস তিনি দিয়েছেন হবু মায়েদের। তিনি তার প্রেগনেন্সির সময় শরীরের পাশাপাশি মনেরও যত্ন নিতেন।

কোয়েলের কথায়, “আমাকে মা, কাকিমা, আমার জেঠিমা এবং আমার ডাক্তার আমায় বলে রেখেছিল বিভিন্ন কারণে মানসিক ও শারীরিকভাবে ডিপ্রেশন আসতে পারে। আমি তাই আগে থেকেই প্রস্তুত ছিলাম। প্রেগনেন্সি টাইমে আমি ভজন শুনতাম, মেডিটেশন মিউজিক শুনতাম, ভালো ভালো সিনেমা দেখতাম”।

কোয়েল আরও বলেছেন, “প্রেগনেন্সি টাইমে আমি নিজেকে ভালোভাবে হ্যান্ডেল করলেও অনেকে আছেন যারা প্রেগনেন্সির সময় বা বাচ্চা হওয়ার আগে মুহূর্তে ভীষণভাবে সেনসিটিভ হয়ে পড়ে। ছোটখাটো কিছু বিষয়ে তাঁরা রিয়েক্ট করে ফেলেন। সত্যিই একজন গর্ভবতী মায়ের শরীরে অনেক রকম পরিবর্তন আসে। প্রেগনেন্সি পিরিয়ডটা সত্যিই খুব কঠিন। তাই আমার সেইসব মা এবং তাঁদের পরিবারের জন্য অনুরোধ এরকম কিছু হলে আপনারা সেই মাকে অবশ্যই সেনসিটিভলি হ্যান্ডেল করবেন। তাঁকে সময় দেবেন”।