ভারতকে ‘গরিব দেশ’ বলায় এই বিদেশী গায়িকাকে মেয়ের বিয়েতে সারারাত নাচিয়েছিলেন মুকেশ আম্বানি

গোটা বিশ্বে আমেরিকাকে (America) সবথেকে শক্তিশালী দেশ বলে বিবেচনা করা হয়। তবে আমেরিকার বড় বড় কোম্পানিগুলির মালিক তো আসলে প্রবাসী ভারতীয়রাই। আমেরিকাকে আর্থিক, প্রযুক্তিগত এবং অন্যান্য বিষয়ে সমৃদ্ধ করছেন ভারতের প্রতিভারা। মাইক্রোসফট, ইউটিউব, গুগলের মত প্রতিষ্ঠান যেগুলো গোটা বিশ্বে রাজত্ব করছে সেসবের মাথায় বসে আছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূতরা।

তবে এই ভারত সম্পর্কে বিদেশীদের মধ্যে অনেকেরই নাক উঁচু মনোভাব রয়েছে। ভারতবর্ষকে হতদরিদ্র দেশ বলে ভুল করে থাকেন অনেকেই। এদের মধ্যে একজন ছিলেন আমেরিকান পপ তারকা বিয়ন্সে (Beyonce)। সারা বিশ্বে তার প্রচুর নামডাক। সেই তিনি একবার ভারত সম্পর্কে মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন ভারত হল সবচেয়ে গরিব (India Is Poor) একটি দেশ

BEYONCE

বিয়ন্সের এই মতামত প্রসঙ্গে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। তাকে তার যোগ্য জবাব তাকে দিয়েছিলেন এক ভারতীয় ধনকুবের। তিনি আর কেউ নন, মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani)। মুকেশ আম্বানি এই বিদেশী পপ তারকার অহংকার ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছিলেন একেবারেই অভিনব উপায়ে। যে কারণে বিয়ন্সে তার চিন্তা ভাবনার পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছিলেন।

সালটা ছিল ২০১৮। ওই বছর মুকেশ আম্বানি তার মেয়ে ইশা আম্বানির বিয়ের বন্দোবস্ত করেন। ভারত তথা এশিয়ার সবথেকে ব্যয়বহুল বিয়ে ছিল ঈশা আম্বানির বিয়ে। মেয়ের বিয়ের পেছনে প্রচুর অর্থ খরচ করেছিলেন মুকেশ। আর বিয়ের রাতে তিনি বিয়ন্সেকে সাদরে আমন্ত্রণ করে নিয়ে এসে সারারাত নাচ-গান করিয়েছিলেন।

BEYONCE

হলিউডের এই গায়িকা আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ইশা আম্বানির বিয়েতে স্টেজ পারফর্ম করতে এসেছিলেন। মোটা টাকার বিনিময়ে মেয়ের বিয়েতে এই অহংকারী গায়িকাকে সারারাত নাচতে এবং গাইতে বাধ্য করেন মুকেশ। তাকে বলা হয়েছিল ইশা আম্বানির প্রিয় গায়িকা তিনি। তাই তার জন্য বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।

BEYONCE AND MUKESH

বিয়ন্সে ওই রাতে ৬০ জন নৃত্যশিল্পীর একটি দল নিয়ে উদয়পুরে এসে পৌঁছেছিলেন। এটাই ছিল বিয়ন্সের প্রথম কোনও ভারতীয় বিয়েবাড়িতে পারফরমেন্স। ওই রাতের জন্য মুকেশ আম্বানি তিন মিলিয়ন ডলারেরও বেশি খরচ করেছিলেন। মুকেশ আম্বানি এভাবেই ভারতের মাথা উঁচু করে দিয়েছিলেন।