খুল্লামখুল্লা যৌনতা, নগ্নদৃশ্য, ক্যামেরার সামনে ঘনিষ্ঠতা এসব পশ্চিমা সভ্যতায় দেদার চললেও ভারতীয় সংস্কৃতির অঙ্গ নয়। যদিও আজকাল সিনেমা বিশেষ করে ওয়েব সিরিজে এসব নিয়ে মাথা ঘামান না কেউ। তবে আশির দশক থেকে যখন বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে যৌনতার বিষয় মাত্রা ছাড়িয়ে যেতে শুরু করে তখন কিন্তু একাধিক সিনেমা সেন্সর বোর্ডের নজরে পড়ে নিষিদ্ধ হয়েছে। আজকের এই প্রতিবেদনে দেখুন এমন কিছু বিতর্কিত সিনেমার তালিকা।
সত্যম শিবম সুন্দরম (Satyam Shivam Sundaram) : এই সিনেমাটি রাজ কাপুরের পরিচালনাতে মুক্তি পেয়েছিল আশির দশকের। এর আগে বলতে গেলে ভারতের আর কোনও সিনেমাতে নায়িকাকে এতটা খোলামেলা পোশাকে দেখা যায়নি। জিনাত আমন বলতে গেলে সাহসিকতার মাত্রা ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন এই সিনেমায় যাকে কেন্দ্র করে তুমুল বিতর্ক হয়েছিল।
কামসূত্র (Kama Sutra) : এই ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৬ সালে। আপাদমস্তক যৌনদৃশ্যে ভরপুর ছিল এই সিনেমা। যে কারণে ছবিটির প্রদর্শন নিষিদ্ধ হয়। বলিউড বলতে গেলে এই ছবির হাত ধরেই প্রথম ইরোটিকা ধর্মী ছবি বানিয়েছিল। ছবিটিকে ইউটিউবেও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে বিতর্কিত দৃশ্যগুলির কারণে।
ফায়ার (Fire) : ১৯৯৬ সালে সমকামী প্রেম নিয়ে আরও একটি এক্সপেরিমেন্টাল ছবি বানানোর সাহস দেখিয়েছিল বলিউড। সমকামিতা বিষয়টি আজ এত বছর বাদেও ঠিক সেভাবে গ্রহণযোগ্য নয় সমাজে। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তখনকার সময়ে শাবানা আজমি এবং নন্দিতা দাসের ঘনিষ্ঠতা দর্শকরা গ্রহণ করতে পারেননি।
নিঃশব্দ (Nishabd) : বলিউডের আরও একটি ছবি যেটা বিতর্কের খাতায় নাম তুলেছে সেটা ছিল নিঃশব্দ। এই ছবিতে ৬০ বছর বয়সী এক পুরুষের সঙ্গে ১৮ বছরের তরুণীর প্রেম দেখানো হয়। ছবিতে অমিতাভ বচ্চন এবং জিয়া খান অভিনয় করেছিলেন। পর্দায় তাদের ঘনিষ্ঠতা দেখে দর্শকরা আপত্তি তুলতে শুরু করেন। ছবিটিকে এলাহাবাদে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
লিপস্টিক আন্ডার মাই বুরখা (Lipstick Under My Burkha) : এই ছবিতেও অনেক ঘনিষ্ঠ দৃশ্য ছিল। তবে দর্শকরা আপত্তি তুলেছিলেন কারণ তাদের অভিযোগ ছিল ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করেছিল ছবির বিষয়বস্তু। ছবিটিকে নিয়ে এত মাত্রায় বিতর্ক দেখা যায় যে ছবির মুক্তির ডেট এক বছর পিছিয়ে গিয়েছিল।
আরো পড়ুন : দিব্যা ভারতীর থেকেও সুন্দরী তার বোন, রূপে দশ গোল দেবে বলিউড নায়িকাদের
আরো পড়ুন : লজ্জার মাথা খেয়ে দেওর-বৌদির রোমান্স! এই ৫ জুটিকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছে বলিউড
পার্চড (Parched) : লাস্ট বাট নট দা লিষ্ট, এই তালিকায় রাধিকা আপ্তে অভিনীত পার্চডের নাম না নিলেই নয়। ছবিটিতে রাধিকার নগ্নতা এবং যৌনতা প্রদর্শনের কারণে দর্শকরা আপত্তি করেছিলেন। সেইসঙ্গে ছবিটিকে নিষিদ্ধ করার দাবিও ওঠে।