

কেজিএফ চ্যাপটার ২(KGF Chapter 2) মুক্তি পাওয়ার পর কেটে গিয়েছে বেশ কয়েকটা দিন। তবে এখনও ছবি চলাকালীন সিনেমা হলগুলো থাকছে হাউসফুল। ছবিটি ইতিমধ্যেই সারা বিশ্বব্যাপী ৯২৬ কোটি টাকা উপার্জন করে ফেলেছে। কেজিএফ চ্যাপটার ওয়ান দেখে অনেকেই ভেবেছিলেন কিছু অজানা প্রশ্নের উত্তর মিলবে কেজিএফ টুতে। কেজিএফ ৩ (KGF 3) এর জন্য আরও কিছু প্রশ্নের উত্তর তুলে রাখলেন নির্মাতারা (KGF Chapter 3 Upcoming Twist)।
কেজিএফ চ্যাপটার টুতে শেষ দৃশ্য দেখানো হয়েছে সোনা নিয়ে সাগরে ডুবে যাচ্ছে রকি ভাই। এই দুর্ঘটনায় রকি অবশ্যই মরবে না। পোস্ট ক্রেডিট দৃশ্যে দেখানো হয়েছে চারটি বড় জিনিস যা থেকে প্রশ্ন দানা বাঁধছে দর্শকদের মনে। কোন কোন প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন দর্শকরা?
প্রথমত, কেজিএফের ফাইল। এই ফাইল দেখানো হবে ছবির পরবর্তী সিক্যুয়েলে। এই ফাইলের রহস্যের খোলাসা হবে কেজিএফ চ্যাপটার ৩ এ।
দ্বিতীয়ত, সিবিআই অফিসাররা প্রধানমন্ত্রী রমিকা সেনকে বলেন যে ইন্দোনেশিয়া এবং আমেরিকা থেকে জাহাজ ডেকে এনেছিল রকি। রকি কেন জাহাজ ডেকেছিল? উত্তর মিলবে পরবর্তী ছবিতে।
তৃতীয়ত, সিআইডি অফিসার রমিকা সেনের কাছে এসে রকির কথা জানতে চেয়েছেন। কারণ রকি নাকি আমেরিকারও সব থেকে বড় অপরাধী!
চতুর্থত, রমিকা সেনের মুখের অভিব্যক্তি থেকে বেশ স্পষ্ট যে তিনি এমন কিছু জানেন যা অন্য কেউ জানে না। পোস্ট ক্রেডিট দৃশ্যে দেখানো হয়েছে ভারতীয় বিমানবাহিনী এবং সেনাবাহিনী আক্রমণ চালাচ্ছে। রমিকা সেন হামলার কাগজে স্বাক্ষর করতে যাচ্ছেন। কি লুকানোর চেষ্টা করছেন রমিকা সেন তা স্পষ্ট নয়।
কেজিএফ চ্যাপটার ২তে রকি যখন গুলি লাগার পর শয্যাশায়ী তখন তাকে প্রশ্ন করা হয় সে কি চায়? উত্তরে সে একটাই কথা বলে, ‘‘পৃথিবী’’। সারা পৃথিবীতে রাজত্ব করতে চাইলে ইনায়েত খলিলকে আগে মারতে হবে। অর্থাৎ কেজিএফ চ্যাপটার ৩ প্রথম দুটো পার্টের থেকে আরও বেশি ধামাকা নিয়ে আসছে দর্শকদের জন্য।
এ ছাড়াও আরও বেশ কিছু প্রশ্ন রেখে যায় কেজিএফ চ্যাপটার ২। রকি কিভাবে ১৬টি দেশের মোস্ট ওয়ান্টেড ক্রিমিনাল হয়ে উঠল? ইনায়েত খলিলকে সে কিভাবে হত্যা করবে? মায়ের কাছে বিশ্বের সবথেকে বেশি ধনী এবং ক্ষমতাধর ব্যক্তি হওয়ার প্রতিশ্রুতি সে কীভাবে পূরণ করবে? সাংবাদিক আনন্দকে রকির রাজত্বের গল্প শোনাচ্ছেন যিনি সেই ব্যক্তি কে? রমিকা সেনই বা কী গোপন করার চেষ্টা করছেন? সব প্রশ্নের উত্তর তোলা রইলো কেজিএফ চ্যাপটার ৩ এর জন্য।