বেসুরো গান গেয়ে বিপাকে হিরো আলম, গ্রেপ্তারির দাবিতে একজোট হচ্ছে বিশিষ্টজনেরা

যত দিন যাচ্ছে, বাংলাদেশের (Bangladesh) হিরো তথা গায়ক আলমের (Hero Alom) ‘গানের অত্যাচার’ বাড়ছে। হিরো আলমের গানের প্রতিভাকে এভাবেই ব্যাখ্যা করছেন নেটিজেনরা। তার গান শুনে কার্যত রীতিমতো অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন দুই বাংলার মানুষ। সোশ্যাল মিডিয়াতে তাকে নিয়ে অনেক মিম হয়, তার অনেক নিন্দা-সমালোচনা হয়। কিন্তু কিছুতেই গান গাওয়া থেকে তাকে বিরত রাখা যায় না। তাই এবার তার বিরুদ্ধে জোটবদ্ধ হচ্ছেন বাংলাদেশিরা।

কখনও রবীন্দ্রসঙ্গীত, কখনও আবার বলিউড, হলিউডের নানান জনপ্রিয় গান নিজের মতো করে (নেটিজেনদের ভাষায় পিন্ডি চটকে) গেয়ে থাকেন আলম। তার কথায় তিনি সাধারণ মানুষকে বিনোদন জোগানোর জন্য জনপ্রিয় গানগুলো এইভাবে বিকৃত করে গেয়ে থাকেন। কিন্তু এবার আর তার অত্যাচার সহ্য করতে পারছেন না বাংলাদেশিরা, এই অত্যাচার বন্ধ করতে অঙ্গীকারবদ্ধ হয়েছেন তারা।

সোশ্যাল মিডিয়াতে তিনি যে গানের ভিডিও শেয়ার করে থাকেন তাতে কার্যত প্রশংসার বদলে নিন্দাই জুটে থাকে তার কপালে। আলমের গলায় গান শুনলে নেটিজেনরা বলেন, ‘গানটাকে ধর্ষণ করে দিল’! তার গলায় রবীন্দ্রসঙ্গীত শুনে জনৈক নেটিজেন তো আবার লিখেছিলেন, “রবীন্দ্রনাথ বেঁচে থাকলে এই গান শুনে আত্মহত্যা করতেন!’’ তবুও হিরো আলম তার গান থামাতে চাইছেন না।

সদ্য বলিউড গায়ক কেকে-র মৃত্যুতে তার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে গিয়ে ‘জিন্দেগি দো পল কি’ গেয়ে শুনিয়েছিলেন তিনি। প্রতিবারের মত এবারেও তার গান শুনে চরম বিরক্ত হলেন নেটিজেনরা। তবে এবার হিরো আলমের গান শুনে কার্যত অতিষ্ঠ হয়েছেন তার নিজের দেশের বাসিন্দারাই। এই অত্যাচার বন্ধ করার জন্য তাই ‘বাংলাদেশে অপসংস্কৃতি প্রতিরোধ সংস্থা’র তরফ থেকে মানববন্ধনের আয়োজন করা হল।

https://youtu.be/uZFVGtzw3JU

 

ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশের বেশ কিছু বিশিষ্ট মানুষ। তাদের অভিযোগ হিরো আলম দিনদিন মাথায় চড়ে যাচ্ছেন। তার বেসুরো গান বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে। তাই অবিলম্বে তাকে গ্রেফতারির দাবি জানানো হয়েছে সংস্থার তরফ থেকে। যদিও হিরো আলম অবশ্য আগেই একটি ভিডিওতে স্বীকারোক্তি দিয়ে বলেছিলেন, “আমি কোনও গায়ক নই। সেই দাবি আমি করিনি আর করছিও না। আমি শুধুমাত্র মানুষকে বিনোদন দেওয়ার চেষ্টা করি।”