বাংলা সিরিয়ালের (Bengali Mega Serial) অভিনেত্রীরা ইদানিং চুটিয়ে কাজ করে চলেছেন বড় পর্দাতে। সদ্য সিরিয়াল থেকে টলিউডে ডেবিউ করার সুযোগ হয়েছে অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্যের (Sweta Bhattacharya)। তাও আবার মিঠুন এবং দেবের ছবি ‘প্রজাপতি’র (Prajapati) হাত ধরে। এমন সৌভাগ্য সকলের হয় না। বলা হয় বিনোদন দুনিয়াতে নায়িকাদের অনেক কম্প্রোমাইজ করতে হয়। কিন্তু শ্বেতা কখনো সে পথে হাঁটেননি।
পর্দার যমুনা ঢাকি (Jomuna Dhaki) বর্তমানে জি বাংলাতে ‘সোহাগ জল’ (Sohag Jol) সিরিয়ালে জুঁইয়ের ভূমিকাতে অভিনয় করছেন। তবে তিনি চাইলে অনেক বছর আগেই রাজ চক্রবর্তীর হাত ধরে টলিউডে প্রবেশ করতে পারতেন। ‘চিরদিনই তুমি যে আমার’ ছবির জন্য নাকি রাজের পছন্দ ছিল শ্বেতাকে। কিন্তু শয্যা দৃশ্য, ঘনিষ্ঠ দৃশ্য, চুম্বন দৃশ্যে আপত্তি রয়েছে শ্বেতার। সেই সঙ্গে ছোট পোশাকেও রয়েছে চরম আপত্তি। শালীনতার সঙ্গে আপোস করতে রাজি নন বাংলা সিরিয়ালের এই অভিনেত্রী।
সম্প্রতি আনন্দবাজারের কাছে এই বিষয়ে আরও একবার মুখ খুলেছিলেন তিনি। তিনি সরাসরি বলেছেন, “আমি এত মরিয়া হয়ে যাইনি কখনও, কাজের জন্য যে যা বলবে তাই করব। এমন কোনও সিদ্ধান্ত নিইনি যে পরে অনুশোচনা হতে পারে। আমি সিনেমা বা শুটিংয়ের জন্য হলেও ছোট খোলামেলা পোশাক পরি না, হাতকাটা জামা পরি না। এগুলো আমার আগে থেকেই বলা থাকে। কাজের প্রয়োজনে আমি ক্যামেরার সামনে চুমু খেতে পারব না।”
অভিনেত্রী আজ বাংলা সিরিয়াল এবং সিনেমা জগতের একজন নামি তারকা হয়ে উঠেছেন। কিন্তু একটা সময় চরম অর্থ কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল তাদের পরিবারকে। বর্তমানে তিনি তার পরিবারের একমাত্র উপার্জনকারী। তার বাবা-মা দুজনেই অসুস্থ। মায়ের ২ বার স্ট্রোক হয়ে গিয়েছে। মা ডান চোখে দেখতেও পান না। মাকে সবসময় চোখে চোখে রাখার জন্য তাকে শুটিংয়েই নিয়ে আসেন অভিনেত্রী। কারণ ডাক্তার বলে দিয়েছেন আর একবার স্ট্রোক হলে মাকে আর বাঁচানো যাবে না।
তার কাঁধে এখন গোটা সংসারের দায়িত্ব। সিরিয়ালের পাশাপাশি মাচা শো করতে হয় তাকে সংসারের চাহিদা পূরণ করার জন্য। অভিনেত্রী বলেছেন মাচা শো করতে তার একেবারেই ভাল লাগে না। কিন্তু বেশি রোজগার হবে বলে তিনি প্রচুর মাচা শো করেন। শ্বেতার জন্য কাজটা তার শখের নয় বরং প্রয়োজনের। সঙ্গে অবশ্য ভালবেসেই কাজটা তিনি করেন।
অভিনেত্রীর ছোটবেলাটাও ছিল খুবই কঠিন। এমন দিনও গিয়েছে যখন শুধু নুন ভাত খেয়েই থাকতে হয়েছে তাদের গোটা পরিবারকে। মায়ের শিক্ষায় বাইরে কেউ জিজ্ঞেস করলে বলতেন মাছ ভাত বা মাংস ভাত খেয়েছেন। তার দাদা ছিলেন কিন্তু তিনিও মারা গিয়েছেন অনেক আগে। শ্বেতার এখন একটাই লক্ষ্য মা-বাবাকে তাকে ভাল রাখতে হবে।