বলিউডের যে সমস্ত অভিনেতারা চিরকাল অ্যাকশন হিরো হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সানি দেওল। ধর্মেন্দ্র পুত্র সানি দেওলের প্রকৃত নাম অজয় সিং দেওল। ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌরের বড় পুত্র সানি। আজ আমরা সানি তথা দেওল পরিবারের কিছু কাহিনী নিয়ে আলোচনা করব এই প্রতিবেদনে।
সানি অভিনীত সিনেমাগুলি যত না বক্স অফিসে খ্যাতি অর্জন করেছিল, তার থেকে অনেক বেশি মানুষ মনে রেখেছে সানির ডায়লগগুলি। তারিখ পে তারিখ পে তারিখ, ইয়ে ঢাই কিলো কা হাত সহ আরো বেশ কিছু ডায়লগ আজও মানুষ মনে রেখেছে সানির সিনেমার। বলিউডে আত্মপ্রকাশের মাত্র এক বছরের মধ্যেই ১৯৮৪ সালে সানি পূজার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। যেখানে অন্যান্য তারকাদের স্ত্রীরা লাইমলাইটে আসার জন্য আগ্রহী হয়ে থাকেন সেখানে পূজা আজও নিজেকে সরিয়ে রেখেছেন লাইনলাইট থেকে।
শুধু পূজা নয়, ধর্মেন্দ্রর প্রথম স্ত্রী প্রকাশ কৌর এবং দুই বোনও চিরকাল নিজেকে ক্যামেরা থেকে সরিয়ে রেখেছেন। তবে এই সরিয়ে রাখার সিদ্ধান্ত প্রকাশ বা পূজার একেবারে নিজের, এই ব্যাপারে কখনো তাদের জোরাজোরি করা হয়নি। যদিও হেমা মালিনী এবং তার মেয়েরা কিন্তু আজও অভিনয় জগতের সঙ্গে ভীষণভাবে যুক্ত। বলিউডে আত্মপ্রকাশ করার মাত্র এক বছরের মধ্যে বিয়ে করে নিলেও সানি কিন্তু নিজের ক্যারিয়ারে একাধিক নারীর সঙ্গে প্রেম করেছেন।
ক্যারিয়ারের প্রথম দিকে অমৃতা সিং -এর সঙ্গে সানি একটি সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন কিন্তু পরবর্তীকালে অমৃতা সিং বা সানি দেওল, কারোর মা’ই এই সম্পর্কে রাজি হননি। অমৃতার মা কখনোই চাননি তার মেয়ে একজন বিবাহিত পুরুষকে বিয়ে করুক তাই এই সম্পর্ক ভেঙে যায়। অমৃতার সঙ্গে সম্পর্ক ভেঙে যাবার কিছু বছর পর রবিনা ট্যান্ডনের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন সানি।
অক্ষয় কুমারের সঙ্গে রবীনা ট্যান্ডনের ব্রেকআপের পর রবিনা যখন ভীষণ একাকী বোধ করছিলেন ঠিক সেই সময় সানি দেওলের কাছাকাছি চলে আসেন রবিনা। এই সম্পর্কও বেশিদিন দীর্ঘস্থায়ী হয়নি কারণ একটি ছবিতে শুটিং করার সময় এই সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল এবং সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার সাথে সাথে সম্পর্ক ভেঙে যায়।
সানি দেওলের জীবনের সব থেকে চর্চিত যে সম্পর্কটি ছিল সেটি হল ডিম্পল কাপাডিয়া -র সঙ্গে সানির সম্পর্ক। সানি এবং ডিম্পল কাপাডিয়ার সম্পর্ক বেশিদিন স্থায়ী না হলেও এই সম্পর্কটি সবথেকে চর্চিত একটি বিষয়ে পরিণত হয়েছিল সেই সময়। সানি এবং ডিম্পলের সম্পর্ক এতটাই ঘনিষ্ট হয়ে গিয়েছিল যে টুইংকেল এবং রিঙ্কি খান্না সানি দেওলকে ছোটে পাপা বলে ডাকতেন। ডিম্পল কাপাডিয়া নিজের সংসারও ভাঙতে রাজি হয়েছিলেন সানি দেওলের জন্য কিন্তু পরবর্তীকালে ডিম্পল যখন দেখেন সানি নিজের বিয়ে ভাঙতে চায় না তখন তিনি নিজেই এই সম্পর্ক থেকে সরে দাঁড়ান।
আরও পড়ুন : বয়সে বুড়ি হয়েও হাঁটুর বয়সী ছেলেকে বিয়ে করেছেন এই ৮ অভিনেত্রী
আরও পড়ুন : ৬ সন্তান থাকতেও বুড়ো বয়সে একা, ধমেন্দ্রকে দেখার নেই!
এখানে বলতেই হয়, সানি দেওলের বাবা ধর্মেন্দ্র ঠিক একই ভাবে প্রথম স্ত্রী থাকাকালীন হেমা মালিনীর প্রেমে এতটাই মগ্ন ছিলেন যে তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করার জন্য ধর্মান্তরিত হতেও রাজি হয়ে গিয়েছিলেন। প্রকাশ কৌর যখন ধর্মেন্দ্রকে ডিভোর্স দিতে মানা করে দেন তখন ধর্মেন্দ্র ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হেমা মালিনীকে বিয়ে করেন, যা এখনো পর্যন্ত সিনেমা জগতের সবথেকে চর্চিত বিয়ে।