বাংলা টেলিভিশন (Bengali Telivision) ইন্ডাস্ট্রিতে পরপর ধারাবাহিকে কাজ করছেন অভিনেতা সুমন্ত মুখার্জী (Sumanta Mukherjee)। একটা সময় টলিউডের নানা ছবিতে চুটিয়ে কাজ করতেন তিনিও। ‘আতঙ্ক’ ছবিতে ঠান্ডা মাথার খুনি সুমন্তকে দেখে সত্যিই আতঙ্কে ছিলেন দর্শকরা। এক সময় টলিউডের দুর্দান্ত খলনায়ক আজ বাংলা টেলিভিশনে নায়ক-নায়িকার দাদু হয়ে অভিনয় করছেন।
বয়সটা যাদের কাছে শুধুই একটা সংখ্যা মাত্র তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন সুমন্ত মুখার্জী। এই বয়সেও একসঙ্গে পাঁচটা সিরিয়ালে সমানতালে অভিনয় করার ক্ষমতা রাখেন তিনি। তার এত এনার্জি দেখে অবাক হয়ে যাচ্ছেন দর্শকরা।
সুমন্ত মুখার্জী এই মুহূর্তে স্টার জলসা এবং জি বাংলা মিলেমিশে কাজ করছেন। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’, ‘গৌরী এল’, ‘বোধিসত্ত্বের বোধবুদ্ধি’, ‘নবাব নন্দিনী’ এবং ‘গোধূলি আলাপ’ একসঙ্গে এতগুলো কাজ সামাল দেওয়া মুখের কথা নয়।
জি বাংলার তিনটি ধারাবাহিকে কোনওটাতে নায়িকার দাদু, কোনওটাতে নায়কের দাদুর ভূমিকা অভিনয় করছেন সুমন্তবাবু। ‘এই পথ যদি না শেষ হয়’তে উর্মির দাদু, ‘গৌরী এলো’তে ঈশানের দাদু, আবার ‘বোধিসত্ত্বের বোধ বুদ্ধি’তে ছোট্ট বোধির দাদু হয়েছেন তিনি। আবার স্টার জলসাতেও তাকে দেখা যাচ্ছে।
স্টার জলসার নতুন ধারাবাহিক ‘নবাব নন্দিনী’তে রেজওয়ানের দাদুর চরিত্র তাকে দেখা যাবে। এই চ্যানেলেরই আরেকটি ধারাবাহিক ‘গোধূলি আলাপ’-এ আবার তিনি নোলকের শ্বশুরমশাই। একসঙ্গে পাঁচটা সিরিয়াল তিনি ধারাবাহিকভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন কীভাবে?
এই বয়সেও সুমন্ত মুখার্জীর এত এনার্জি দেখে সত্যিই বাকরুদ্ধ হয়েছেন দর্শকরা। দশকরা তাই তার নাম দিয়েছেন ‘বাংলা টেলিভিশনের সার্বজনীন দাদু’। বলছেন, লক্ষ্মী কাকিমা সুপারস্টার অপরাজিতা আঢ্যের মত ফুল অন এনার্জি নিয়ে কাজ করছেন, দাদুর এলেম আছে!