শহরজুড়ে বাড়ছে ডেঙ্গির প্রকোপ। কলকাতাতে এই মরসুমে ডেঙ্গিতে সবথেকে বেশি মানুষ আক্রান্ত হচ্ছেন। এই রোগের কারণে বেশ কিছু মানুষের মৃত্যু হচ্ছে। যে কারণে ভয় বাড়ছে। এরই মধ্যে আবার শোনা গেল জি বাংলা (Zee Bangla) রান্নাঘর (Rannaghor) খ্যাত সুদীপা চ্যাটার্জী (Sudipa Chatterjee) -র স্বামীও ভর্তি হয়েছেন হাসপাতালে। তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়াতে তার শারীরিক অবনতির খবর ছড়াতে শুরু করে।
সুদীপার স্বামী অগ্নিদেব চ্যাটার্জী (Agnidev Chatterjee) একজন জনপ্রিয় পরিচালক। টলিউড (Tollywood) -এ তার বেশ সুনাম রয়েছে। তাই তার অসুস্থতার খবরে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়ে টলিউড। সকলেই সুদীপার কাছে অগ্নিদেবের বর্তমান আপডেট সম্পর্কে জানতে চান। সকলেই অনুমান করছিলেন অগ্নিদেব ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন। তবে সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি পোস্ট করে স্বামীর বর্তমান আপডেট জানিয়েছেন সুদীপা।
সুদীপা জানিয়েছেন অগ্নিদেব ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হননি। তবে এই কথা ঠিক যে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। আসলে অগ্নিদেবের অ্যানজিওগ্রাম করাতে হবে। সেই কারণেই তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। অগ্নিদেবের জন্য সকলকে প্রার্থনা করার কথাও বলেছেন সুদীপা।
সুদীপা এবং অগ্নিদেবের বিয়ে হয় ২০১০ সালে। স্বামী এবং স্ত্রীর মধ্যে বয়সের অনেক পার্থক্য রয়েছে। শুধু তাই নয় অগ্নিদেব ছিলেন বিবাহিত। ‘কোন সে আলোর স্বপ্ন নিয়ে’ ধারাবাহিকের সেটে কাজ করার সময় সুদীপা অগ্নিদেবের প্রেমে পড়ে যান। ২০০৯ থেকেই নাকি তারা লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন। ২০১৭ সালে তাদের রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়।
বিয়ের পরপরই সুদীপা এক পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তাদের ছেলে আদিদেব চ্যাটার্জীর বয়স এখন ৫ বছর। সোশ্যাল মিডিয়াতে খুবই জনপ্রিয় সে। অবশ্য অগ্নিদেবের প্রথম পক্ষের ছেলের সঙ্গে সুদীপার সম্পর্কে খুব ভালো। একবার সোশ্যাল মিডিয়াতে অগ্নিদেবের প্রথম পক্ষের ছেলের সঙ্গে ছবি শেয়ার করে সুদীপা লিখেন তিনি কখনো তার মা হতে পারবেন না, তবে তারা খুব ভালো বন্ধু।
আরও পড়ুন : টাকার লোভে এমন ‘কুচুটে’ চরিত্রে অভিনয় করছেন! মুখ খুললেন শিমুলের শাশুড়ি মধুবালা
আরও পড়ুন : জীবনে এসেছে বহু প্রেম, তবুও কেন ‘সিঙ্গেল’ একেন বাবু? মুখ খুললেন অনির্বাণ
সুদীপা চ্যাটার্জী একসময় ধারাবাহিকভাবে টেলিভিশনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। সাংবাদিকতা থেকে শুরু করে সিরিয়ালে অভিনয় এবং রান্নাঘর নামের কুকিং শো এর সঞ্চালনা, সবই তিনি সামলেছেন দক্ষ হাতে। তবে ২০২২ সালে ১৭ বছরের মাথায় রান্নাঘরের পথ চলার অবসান হয়। বর্তমানে তিনি শাড়ি এবং গয়নার ব্যবসা খুলে বসেছেন।