সিংহ রায় পরিবারে যেন সুখ সয়না। সবেমাত্র ভাঙ্গা পরিবার জোড়া লেগেছে আবার। মান অভিমান ভুলে পরিবারের সমস্ত সদস্য আবার এক হয়েছে। জেল থেকে ছাড়া পেয়ে রাহুল যেন এখন অন্য মানুষ। বনি-কুনালের সম্পর্কটাও একটু একটু করে জোড়া লাগছে আবার। সমস্ত ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ঋদ্ধি-খড়ি আবারও কাছাকাছি।
কিন্তু সবকিছু এত ভাল যেন সকলের সয় না। যেমনটা এখন ঘটছে স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘গাঁটছড়া’ (Gantchhora) ধারাবাহিকের সিংহরায়দের সঙ্গে। দুর্গাপুরে উপলক্ষে এখন ভট্টাচার্যের বাড়ি এবং সিংহ রায় পরিবার মিলেমিশে একাকার। তখনই আবার অশনি সংকেত ধেয়ে এল। সিংহ রায়দের নতুন শত্রু এখন ‘ডি’। খড়িকে হাতিয়ার করে সে তার পুরনো শত্রুতার শোধ নিতে চাইছে।
ইতিমধ্যেই খড়ির হাতে এসে পৌঁছেছে ‘ডি’য়ের পাঠানো উড়ো চিঠি। বনি তাকে সাবধান করলেও খড়ি এই উড়ো চিঠির কথা মেনে নিয়ে নিজের জেঠুর মৃত্যু মামলা আবারও রিওপেন করতে চায়। এমনটা ঘটলে সবার আগে ফাঁসবে ঋদ্ধিমান। ‘ডি’য়ের চিঠিতেও লেখা আছে খড়ির খুব কাছের কেউই তার জেঠুর মৃত্যুর জন্য দায়ী।
এদিকে খড়ি ইতিমধ্যেই পুলিশের কাছে গিয়ে আবারও নতুন করে তদন্ত শুরু করার কথা বলেন। তদন্ত সংক্রান্ত কিছু পুরনো ফাইল খুঁজে পাওয়া গিয়েছে। তবে ঋদ্ধিমানকে এখনই এই বিষয়ে কিছু জানানো যাবে না। খড়ির কাছে এই নির্দেশ এসে পৌঁছেছে। নির্দেশের নেপথ্য কারণ অবশ্য স্পষ্ট নয়। কাজেই ধারাবাহিকের আগামী টুইস্ট নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
এদিকে আবার রাহুলকে নিয়েও ঘটনা অন্যদিকে মোড় নিচ্ছে। ভট্টাচার্য বাড়িতে এক ছোট্ট সদস্যের আবির্ভাব হয়েছে। নাম তার রিমঝিম। এই রিমঝিম আসলে রাহুলেরই সন্তান। রিমঝিম এবং তার মাকে ফেলে দ্যুতিকে বিয়ে করেছে রাহুল। রিমঝিমের সঙ্গে তার বেশ বন্ধুত্বও হয়ে গিয়েছে। রিমঝিমের মা ভট্টাচার্য বাড়িতে রাহুলকে দেখে নিজে সেখান থেকে সরে যায়। তবে ভবিষ্যতে খুব তাড়াতাড়িই রাহুলের কুকীর্তির কথা সবাই জানবে।
কিন্তু রাহুল অবশ্য ধীরে ধীরে শুধরে যাচ্ছিল। সে কিয়ারাকেও শুধরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে যখন সে জানতে পারবে রিমঝিম তারই মেয়ে তখন তার প্রতিক্রিয়া কী হয় সেটাই এখন দেখার। এদিকে দর্শকরা অনুমান করছেন ‘ডি’ হয়তো একই সঙ্গে ঋদ্ধিমান এবং রাহুলকে টার্গেট করছে। দুজনকেই ফাঁসাতে চাইছে সে। সমস্ত সত্যিটা সামনে এলে খড়ি কী সিদ্ধান্ত নেবে তার উপরেই নির্ভর করছে সকলের ভাগ্য।