একবার চড়ুই, একবার ফুলঝুরি, দুই বউ নিয়ে এতদিন নাজেহাল ছিল লালন। এবার লিপস্টিক পরিয়ে তিতিরকে বিয়ে করাতে ধুলোকণার (Dhulokona) গল্পে আবারও শুরু হয়ে গিয়েছে চিরাচরিত পরকীয়া নিয়ে নতুন ট্র্যাক। অবশ্যই এতে দ্রুতগতিতে বাড়ছে ধারাবাহিকের টিআরপি। গল্প লালন, তিতির এবং ফুলঝুরিকে নিয়ে যত বেশি জটিল হচ্ছে, ততই টিআরপি তালিকাতে বেশি নম্বর পাচ্ছে ধূলোকণা।
তিতিরকে বিয়ে করার পরেই লালন নিজের পুরনো স্মৃতি ফিরে পায়। তাই সে আবার ফিরে আসে ফুলঝুরির কাছে। এখন পরিস্থিতি এমন যে মাঝেমধ্যেই তিতিরের টানে লালন চলে আসছে ডাক্তারবাবুর বাড়িতে। অন্যদিকে লালনের মতিগতি দেখে অস্থির হয়ে পড়ছে ফুলঝুরি।
লালনের বক্তব্য তার মাঝে মাঝে তিতিরের কথা মনে পড়ে। তাই সে ওই বাড়িতে বারবার ছুটে ছুটে যায়। এমনকি ফুলঝুরির কাছে সে প্রস্তাব রেখেছে ওই বাড়িটা তার এতটাই ভাল লেগে গিয়েছে যে সে সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন সেখানে গিয়েই থাকতে চায়। এই কথা শুনে ফুলঝুরি লালনের উপর বেজায় রেগে গিয়েছে। সে তাকে স্পষ্ট বলে দেয়, “দুই নৌকায় পা দিয়ে চলা যায় না। তুমি বরং তিতির দিদির বাড়িতে গিয়েই থাকো!”
ফুলঝুরি লালনকে বলে সে যখন বারবার বাড়ির সকলের সামনে তিতিরের কথা বলে তখন সেটা শুনে তার কষ্ট হয় মনে। বউ হয়ে স্বামীর মুখে অন্য মেয়ের কথা তার শুনতে ভাল লাগে না। বাড়িতেও কেউ সেটা পছন্দ করছে না। লালন তার পরেও নিজের কথায় অবিচল। ফুলঝুরি তাকে সতর্ক করে, “এইসব বন্ধন থেকে আমি মুক্তি চাই। তোমার চাওয়ার আর কোনও দাম নেই আমার কাছে। একদিন তুমি সেটা বুঝতে পারবে।”
একসময় চড়ুইকে নিয়ে লালন এবং ফুলঝুরির মধ্যে মন কষাকষি হতে দেখেছেন দর্শকরা। এখন সেই জায়গায় ঢুকে পড়েছে তিতির। এর উপর আবার লালন বলে সে ফুলঝুরিকেও ভালবাসে, কিন্তু তিতিরকে ছাড়তে পারছে না। এসব দেখেশুনে দর্শকরা লালনকে ‘চরিত্রহীন’ বলছেন। বারবার প্রত্যেকটা গল্পের মধ্যে এইভাবে অপ্রয়োজনে পরকীয়া ঢুকিয়ে দেওয়াতে দর্শকদের ক্ষোভের মুখে পড়েছেন লেখিকা লীনা গাঙ্গুলীও।
ধুলোকণা এইসব পরকীয়া দেখিয়েই বারবার বেঙ্গল টপার হচ্ছে। কাজেই দর্শকদের রুচি নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন নেটিজেনদের একাংশ। উল্লেখ্য একঘেয়ে পরকীয়া গল্প লীনা গাঙ্গুলীর আরেকটি সিরিয়াল গুড্ডিতেও দেখানো হচ্ছে। সেখানেও অনুজ গুড্ডি এবং শিরিনের মধ্যে বারবার বিয়ে আর পরকীয়াই ঘটাচ্ছেন লেখিকা। অনুজ আর লালন, লীনা গাঙ্গুলীর সিরিয়ালের দুই নায়কেরই চরিত্রের দোষ রয়েছে! এমনটাই বলছেন সমালোচকরা।