Sourav Ganguly : মেয়ের বিরুদ্ধে চরম ক্ষোভ, একমাত্র মেয়েকে নিয়ে দুশ্চিন্তায় সৌরভ গাঙ্গুলী

বাঙালির ইমোশনের অন্য নাম হলো সৌরভ গাঙ্গুলী (Saurav Ganguly)। এই মুহূর্তে দাদাগিরি (Dadagiri) সঞ্চালক তিনি। চিরকাল টিভির পর্দায় দেখে আসা সৌরভকে সামনে দেখতে পেয়ে অনেকেই বিভিন্ন প্রশ্ন করেন দাদাকে, দাদাও চেষ্টা করেন উত্তর দেওয়ার। কিন্তু এবার দাদাগিরির মঞ্চে একমাত্র মেয়ে সানা গাঙ্গুলীকে (Sana Ganguly) নিয়ে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন দাদা।

সৌরভ গাঙ্গুলীর একমাত্র মেয়ে সানা গাঙ্গুলী এই মুহূর্তে ইউনিভার্সিটি কলেজ অব লন্ডন থেকে অর্থনীতিতে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করে লন্ডনের অন্যতম সেরা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানি পিডব্লুসি লন্ডন থেকে ইন্টার্নশিপ করছেন। গত নভেম্বর মাসেই এই চাকরিটি পেয়েছেন তিনি। পড়াশোনার পাশাপাশি চাকরি নিয়ে এখন বেজায় ব্যস্ত সানা। কিন্তু যে সানা বাবা মায়ের মুখ উজ্জ্বল করছেন সেই মেয়েকে নিয়ে কি অভিযোগ রয়েছে সৌরভের?

SHWETA BHATTACHARYA IN DADAGIRI

সম্প্রতি দাদাগিরির মঞ্চে দাদাগিরি করতে এসেছিলেন টেলি জগতের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী শ্বেতা ভট্টাচার্য। দাদার সঙ্গে গল্প করতে করতে শ্বেতা জানান, শুটিং হোক অথবা ঘুরতে যাওয়া, সব সময় তিনি তার বাবা-মাকে সঙ্গে নিয়ে যান। বাবা মাকে সবসময় সময় দিতে চেষ্টা করেন তিনি। অভিনেত্রীর মুখে এই কথা শুনে কিছুটা মনমরা হয়ে পড়েন দাদা। জানান নিজের অভিজ্ঞতার কথা।

সৌরভ বলেন, “তোমার কথাগুলো একটু রেকর্ড করে আমাকে পাঠিও তো। আমি সানাকে পাঠাবো।” এই কথা শুনে শ্বেতা হেসে ওঠেন। তখন দাদা বলেন,” না না হেসো না। আমি সত্যি বলছি। একবার সানাকে কলেজে ছাড়তে গিয়ে একটা অদ্ভুত পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছিলাম আমি। আমাকে একেবারে মেয়ে নো এন্ট্রি করে দেয় তার কলেজে।”

SANA GANGULY AND SAURAV GANGULY

সৌরভ আরো বলেন, “কলেজে প্রায় এক মাইল দূর থেকেই সানা আমাকে চলে যেতে বলে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে ওর সাথে যাই কলেজে। কিন্তু ও বলে, আমার বন্ধুরা তোমাকে দেখে ফেলবে। তুমি চলে যাও। সকালে ওইভাবে চলে যাওয়ার পর বিকেলে গাছের আড়ালে দাঁড়িয়ে থাকতাম। মেয়ে এসে দেখা করত। সে যেমন ডেটিং হয় না, তেমন।”

আরও পড়ুন : বেতন বাবার থেকেও বেশি! বড় চাকরি পেল সৌরভ কন্যা, সুখবর দিলেন সৌরভ নিজেই

SANA GANGULY AND SAURAV GANGULY

আরও পড়ুন : রূপে যেন লক্ষ্মী প্রতিমা, শচীন-সৌরভ-কুম্বলেদের মেয়েরা এখন কত সুন্দরী হয়েছে দেখুন

সৌরভের এই কথা শুনে সেখানে উপস্থিত অদিতি চট্টোপাধ্যায় বলেন, “আসলে সানা জানে তার বাবা একজন সেলিব্রিটি। ও জানে ও অনেকের থেকে একেবারেই আলাদা। তোমাকে দেখলে সবাই দৌড়ে আসবে তাই তোমাকে দূরে দাঁড়িয়ে থাকতে বলে।” এই কথা শুনে অদিতিকে সৌরভ পাল্টা প্রশ্ন করেন, “সেলিব্রিটি তো কি হয়েছে? তা বলে বাবাকে এক মাইল দূরে দাঁড় করিয়ে রাখবে?”