স্মার্ট দিদি নন্দিনী (Smart Didi Nandini), এই নাম কিংবা নামের মালকিনের সঙ্গে বেশ পরিচিত এখন নেটদুনিয়া। কলকাতার ডালহৌসিতে ফুটপাতের ধারে পাইস হোটেল চালান মমতা গাঙ্গুলী ওরফে নন্দিনী গাঙ্গুলী (Nandini Ganguly)। প্রতিদিন তার খাবারের দোকানের সামনে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়। সেই সঙ্গে ফুড ভ্লগাররাও সব সময় ঘিরে ধরে থাকে তাকে। সদ্য দিদি নাম্বার ওয়ান -এর সেট থেকে ঘুরে এসেছেন নন্দিনী। এতে তার জনপ্রিয়তা আরও বেড়েছে।
তবে জনপ্রিয়তা যত দিন দিন বাড়ছে, ততই যেন প্রকাশ্যে আসছে স্মার্ট দিদির অ্যারোগেন্ট রূপ! কিছুদিন আগেই এক বৃদ্ধ মানুষকে চড়-থাপ্পড় মারার ভিডিও ঘিরে নন্দিনীকে নিয়ে তোলপাড় হয়েছিল নেটপাড়া। আর একবার তাকে বলতে শোনা গিয়েছিল বাবার মান-সম্মানে আঘাত করলে তিনি তার বাবাকেও ছাড়বেন না! এবার সত্যিই প্রকাশ্যে নিজের বাবার সঙ্গে সংঘাতে জড়ালেন স্মার্ট দিদি।
ঘটনার সূত্রপাত আসলে স্মার্ট দিদির দোকানের এক নতুন কর্মচারীকে কেন্দ্র করে। যাকে নিয়ে বাপ-মেয়ের মধ্যেই লেগে যায় ঝগড়া। সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল ওই ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে নন্দিনীর ভাতের দোকানের উনুনে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে। তার উপর তেল ভর্তি কড়াই চাপানো। এমন কাণ্ড ঘটিয়েছে দোকানে নতুন কাজে রাখা ছেলেটি। রাগ সামলাতে না পেরে বাবাকেই দু-কথা শুনিয়ে দেয় নন্দিনী।
বাবার উপর চিৎকার করে নন্দিনী বলে, “একটা গাধার বাচ্চাকে রেখেছো আগুনের সামনে। আমার দোকান বন্ধ করিয়ে দেবে।” এরপর বাবাকে সরিয়ে নিজেই ঝুঁকি নিয়ে থেকে উনুন থেকে কড়াই নামিয়ে ফেলেন নন্দিনী। তবে রাগে বাবার উপর গজগজ করতে থাকেন তিনি। বাবার সঙ্গে ঝগড়া করতে করতে কেঁদেও ফেলছিলেন নন্দিনী। তারপর বলেন, “জানোয়ার লোক… তোমার কপালে দুঃখ আছে গো বাবা। আমাকে অপমান করো।”
যদিও এসবের মাঝেও কিন্তু গ্রাহকদের প্রতি তার সম্পূর্ণ নজর ছিল। তাদের যত্নসহকারে খাবার পরিবেশন করা থেকে শুরু করে টাকা নেওয়া, বাড়তি টাকা ফেরত দেওয়া, সব কাজ তিনি একা হাতে সামলাচ্ছিলেন। তবে এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়াতে ফাঁস হতেই নন্দিনীর উপর রেগে আগুন হন একদল মানুষ। বাবার সঙ্গে তার কথা বলার ধরন নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে। কেউ লিখেছেন, “নিজের সম্মানের কথা বলছে। এই দিকে বাবাকে জানোয়ার বলছে। কী অবস্থা”।
আরো পড়ুন : কোথায় হারিয়ে গেলেন ঋষি কাপুরের নায়িকা ‘হেনা’? দেখুন এখন কেমন দেখতে হয়েছে তাকে
আবার কেউ লিখছেন, “এর অবস্থা কদিন পর রাণু মন্ডলের মত হবে।” একজন অবশ্য নন্দিনীর পক্ষ নিয়ে লিখেছেন, “এই মেয়েটা খাটতে পারে। এত খাটলে রাগ হওয়া স্বাভাবিক। তবে মুখের ভাষা বড্ড খারাপ।” নন্দিনী অবশ্য তার গ্রাহকদের সঙ্গে কখনও অকারণে খারাপ ব্যবহার করেন না। হাসিমুখে সবসময় তাকে খাবার পরিবেশন করতে দেখা যায়। মাঝে মাঝে তিনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন। মাঝে মাঝে অ্যাগ্রেসিভ হয়ে পড়েন, একথা একবার একটি সাক্ষাৎকারে স্বীকার করে নিয়েছিলেন তিনি।
আরো পড়ুন : শাহরুখ নন, গৌরী খানের প্রথম স্বামী আসলে কে? জানলে ঘুরে যাবে মাথা