এক সপ্তাহ আগেই মহা ধুমধাম করে সাত পাকে বাঁধা পড়েছেন সিদ্ধার্থ মালহোত্রা (Siddharth Malhotra) এবং কিয়ারা আদবানী (Kiara Advani)। এখনও এই সেলিব্রিটি বিয়ের আমেজ থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি বলিউড। বিয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে দিল্লি এবং মুম্বাইতে রিসেপশন সেরে ফেলেছেন তারা। নব দম্পতির বিয়ের অনুষ্ঠানের চাকচিক্য থেকে শুরু করে বিয়েতে অতিথীদের থেকে তাদের পাওয়া উপহারের তালিকা দেখলে চমকে যাবেন।
পরিবার-পরিজনরা তো বটেই, সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারাকে তাদের বিয়েতে অনেক দামি উপহার দিয়েছেন বলিউড তারকারা। তবে তাদের সকলের মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য করণ জোহর (Karan Johar) এবং ইশা আম্বানি (Isha Ambani)। করণ জোহরের শেরশাহ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন সিদ্ধার্থ ও কিয়ারা। সিদ্ধার্থের পাশাপাশি কিয়ারাও করণের খুবই কাছের মানুষ। অন্যদিকে ইশা আম্বানির সঙ্গেও কিয়ারার আলাদা সম্পর্ক রয়েছে।
মুকেশ আম্বানির মেয়ের অতি প্রিয় বান্ধবী হলেন কিয়ারা। তাই খুব স্বাভাবিকভাবে এই করণ এবং ইশার দেওয়া উপহার সব থেকে বেশি দামি। জানেন করণ জোহর এবং ইশা আম্বানি কী কী উপহার দিয়েছেন এই বিয়েতে? করণ জোহর তো বিয়ের উপহার হিসেবে তার আসন্ন তিনটি ছবির জন্য নায়ক-নায়িকা হিসেবে ঘোষণা করে ফেললেন সিদ্ধার্থ-কিয়ারার নাম।
বাস্তবের পাশাপাশি সিনেমার পর্দাতেও সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারার জুটিটাকে দারুণ পছন্দ করেন দর্শকরা। এ পর্যন্ত কেবল শেরশাহ ছবিতেই তাদের একসঙ্গে দেখা গিয়েছে। সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারা বিয়ের পর করণের তিনটি ছবিতে নায়ক-নায়িকা হিসেবে কাজ করবেন। শোনা যাচ্ছে আলিয়া এবং বরুণকে নিয়ে যেমন ‘হাম্পটি শর্মা কি দুলহানিয়া’, ‘বদ্রিনাথ কি দুলহানিয়া’র মত রোমান্টিক কমেডি ঘটনার ছবি বানিয়েছিলেন করণ, সিদ্ধার্থ কিয়ারাকে নিয়েও তার তেমনই পরিকল্পনা রয়েছে।
অন্যদিকে ঈশা আম্বানি তার প্রিয় বান্ধবীকে তাদের কোম্পানির ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বানিয়ে নিয়েছেন। অর্থাৎ এবার থেকে পিয়ারা হবেন আম্বানিদের রিলায়েন্সের একটি সেগমেন্টের প্রচারের মুখ। কিয়ারাকেও নিজেদের সংস্থার সঙ্গে যুক্ত করে নিলেন ইশা। রিলায়েন্স ট্রেন্ড ফুটওয়ার সংস্থার বিজ্ঞাপনী প্রচারের মুখ হিসেবে তাকে এই সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
রিলায়েন্স রিটেল সংস্থার ফ্যাশন এবং লাইফ স্টাইল সিইও অখিলেশ প্রসাদ এই প্রসঙ্গে বলেছেন, সিদ্ধার্থ এবং কিয়ারা দুজনেই বলিউডের বিখ্যাত তারকা। তাদের জনপ্রিয়তা অনেক। এখন যদি সিদ্ধার্থ ও কিয়ারাকে বিজ্ঞাপনের প্রচারের মুখ করা হয় তাহলে তাদের মাধ্যমে যুব সমাজের সঙ্গে রিলায়েন্সের সম্পর্ক আরও মজবুত হবে।