বলিউড হোক বা টলিউড (Tollywood), লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশনের চাকচিক্যের পেছনে রয়েছে কত আক্ষেপ, অভিমান, প্রতারণা এবং দুর্ভাগ্য। দুর্ভাগ্য, নায়কের ‘পছন্দের নায়িকা’ না হতে পারার। ইন্ডাস্ট্রিতে একাধিপত্য কায়েম করার প্রচেষ্টায় একসময় বঞ্চিত হয়েছেন বহু তারকা। পরবর্তী দিনে তারা নিজ নিজ অভিজ্ঞতা নিয়ে মুখ খুলেছেন। শ্রীলেখা মিত্র, অভিষেক চ্যাটার্জীর পর এবার সেই তালিকার নতুন সংযোজন শতাব্দী রায় (Satabdi Roy)।
শতাব্দী এই সময় ডিজিটালের কাছে একটি সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে টলিউড সম্পর্কে বিস্ফোরক তথ্য প্রকাশ করেছেন। একই সঙ্গে তার সমকালীন সময়ের নায়ক প্রসেনজিৎ চ্যাটার্জী (Prasenjit Chatterjee), তাপস পাল এবং চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর সঙ্গে তার সম্পর্কের রসায়ন তুলে ধরলেন। একইসঙ্গে উগরে দিলেন নিজের মনে জমে থাকা ক্ষোভ। জানালেন, তার সময়ে কোনও এক নায়িকার সঙ্গে নায়কের ‘দারুণ সম্পর্ক’! এই কারণেই নাকি ছবি থেকে বাদ পড়েছিলেন তিনি। তার বদলে নায়িকা হিসেবে ছবিতে জায়গা করে নিয়েছেন সেই নায়িকা, যাকে নায়কের পছন্দ।
তবে এখন আর এসব নিয়ে ভাবেন না শতাব্দী। তার কথায়, “এটা আগেও ছিল, এখনও আছে, আগামী দিনেও থাকবে”। তবে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন সেই মুহূর্তে হয়তো তার আক্ষেপ হয়েছে, অভিমান করেছেন, তবে পরবর্তী সময়ে তিনি সেই খারাপ লাগা থেকে বেরিয়ে আসতে পেরেছেন। তার কথায়, “আর দেখুন এটাই কিন্তু স্বাভাবিক। অঞ্জন চৌধুরী তাঁর মেয়েকে নিতেন, সুখেন দাস তাঁর মেয়েকে হিরোইন করেছিলেন। আজ আমি যদি শিল্পী হই, আমিও তো চাইব আমার ছেলে মেয়েরা প্রতিষ্ঠিত হোক।”
এই সাক্ষাৎকার থেকে তৎকালীন সময়ের দাপুটে নায়ক প্রসেনজিৎ, তাপস পাল এবং চিরঞ্জিতের সঙ্গে সম্পর্ক নিয়েও জানা গেল কিছু অজানা কথা। তিনি জানালেন তিনজন নায়কের সঙ্গেই তার সম্পর্ক মোটের উপর ভালই ছিল। কখনও কখনও হয়তো ঝগড়া হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন প্রসেনজিতের সঙ্গেই তার সবথেকে বেশি ঝগড়া হতো। এমনও হয়েছে দুজনের মধ্যে কথা নেই, তবুও পাশাপাশি শুটিং করে গিয়েছেন তারা।
শতাব্দী বলেছেন, “প্রসেনজিতের সঙ্গেই এমনটা বেশি হতো। পরস্পরের কথা বলা বন্ধ অথচ একসঙ্গে ছবির শ্যুটিং করছি। ওদিকে চিরঞ্জিতদার সঙ্গে মাত্র একটি ছবি করাকালীন কিছু সমস্যা তৈরি হয়েছিল। এর পরে কিছুদিন একসঙ্গে আর কাজ করিনি আমরা। ঐটুকুই। তবে হ্যাঁ, ওঁর সঙ্গে গল্প করে বেশ ভালো লাগে। আর তাপস পাল? নাহ, ওঁর সঙ্গে কখনওই কোনও সমস্যা হয়নি আমার।”