শাহরুখ খান (Shah Rukh Khan) এবং সালমান খান (Salman Khan), বলিউড (Bollywood) ইন্ডাস্ট্রিতে এই দুই সুপারস্টারের মধ্যে সিনেমা নিয়ে রেষারেষি, ঠান্ডা লড়াইয়ের কথা তাদের ভক্তদের প্রায় সকলেরই জানা। ইন্ডাস্ট্রিতে তাদের স্ট্রাগলের গল্পটা কিন্তু সমান ছিল না। শাহরুখ ছিলেন ইন্ডাস্ট্রিতে বহিরাগত। অন্যদিকে সেলিম খানের ছেলে হওয়া সত্বেও রীতিমত অভিনয়ের পরীক্ষা দিয়ে তবে স্টার হিসেবে নিজের ইমেজ গড়ে তুলতে পেরেছিলেন সালমান।
তবে শাহরুখের তারকা হয়ে ওঠার পেছনে কিন্তু অজান্তেই সাহায্য করে ফেলেছিলেন সালমান। শাহরুখের কেরিয়ারের অন্যতম মাইলস্টোন ছিল ‘বাজিগর’ ছবিটি। তথাকথিত নায়কোচিত ইমেজ ছেড়ে এই ছবিতে ধূসর চরিত্রে ধরা দিয়েছিলেন তিনি। তবে জানেন কি এই ছবির জন্য প্রস্তাব কিন্তু প্রথমবার শাহরুখের কাছে আসেনি? ছবির প্রস্তাব গিয়েছিল সালমানের কাছে।
তবে সালমানের দুর্ভাগ্য বলা যেতে পারে তিনি ‘বাজিগর’ ছবির প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। কারণ ওই সময় অন্য ছবির শুটিংয়ে ব্যস্ত ছিলেন তিনি। যে কারণে ‘বাজিগর’ ছবিতে আর কাজ করা হয়ে ওঠেনি তার। এই ভুলের জন্য আজও পস্তাচ্ছেন সালমান খান। কারণ ছবিটি শাহরুখের ভাগ্যের মোড় ঘুরিয়ে দেয়। এই একটি ছবি করেই শাহরুখ রাতারাতি সুপারস্টার হয়ে ওঠেন।
যদিও এই ছবির জন্য প্রস্তাব কিন্তু অনেক হাত ঘুরে তবে শাহরুখের কাছে গিয়েছিল। পরিচালক আব্বাস মস্তান প্রথমত সালমানকে কেন্দ্রীয় চরিত্রে ভেবেই ছবিটি বানানোর কথা ভেবেছিলেন। সালমান প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার পর তিনি অনিল কাপুরের দ্বারস্থ হন। কিন্তু অনিল কাপুর নেতিবাচক চরিত্রে অভিনয় করতে চাননি। স্ক্রিপ্ট শুনেই তিনি নাকচ করে দেন। অগত্যা শাহরুখের কাছে ছুটে গিয়েছিলেন পরিচালক।
শাহরুখ তখন সবেমাত্র ‘ফৌজ’ ধারাবাহিকে অভিনয় করে বেশ সুনাম কুড়াচ্ছিলেন। সেখানে তার সহ অভিনেতা ছিলেন অমৃত প্যাটেল। তিনি পরিচালককে শাহরুখের খবরটা দেন। সেই সূত্রে শাহরুখের কাছে পৌঁছেছিলেন আব্বাস মস্তান। তারপর বানানো হয় এই ছবিটি যা পরবর্তীকালে রেকর্ড তৈরি করে ফেলে। শাহরুখকে এরপর আর ঘুরে তাকাতে হয়নি।
একজন সিরিয়ালের অভিনেতা একটি মাত্র ছবির পরেই যে রাতারাতি ইন্ডাস্ট্রিতে ঝড় তুলতে পারবেন এমনটা আন্দাজ করতে পারেননি কেউ। তবে শাহরুখ খান প্রমাণ করে দিয়েছিলেন বলিউডে বহিরাগতরাও নিজেদের জায়গা ছিনিয়ে নিতে পারে। তাকে একবার মাত্র স্ক্রিপ্ট শোনাতেই তিনি প্রস্তাবটি নিয়ে নিয়েছিলেন। যার ফল তিনি হাতেনাতে পান। এই ছবিই তার বলিউডে প্রবেশের চাবিকাঠি হয়ে ওঠে।