জি বাংলার (Zee Bangla) মিঠাই (Mithai) ধারাবাহিকে প্রবেশ করেছে এক খুদে অভিনেতা। সিড মিঠাইয়ের ছেলে শাক্যর ভূমিকায় ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী (Dhritishman Chakraborty) নামের এক শিশু অভিনেতার এন্ট্রি হয়েছে মনোহরাতে। অভিনেতা হিসেবে এটাই তার প্রথম কাজ, তবে সে কিন্তু অভিনয় দুনিয়াতে প্রবেশ করার অনেক আগেই সেলিব্রিটি তকমা পেয়েছে। বাস্তবে ধৃতিষ্মান এতটুকু বয়সেই একজন নামী গায়ক! সে প্রশংসা পেয়েছে খোদ প্রধানমন্ত্রীর থেকে।
ছোটে ওস্তাদ ধৃতিষ্মান চক্রবর্তী মাত্র পাঁচ বছর বয়সে একাধিক ভাষায় গান গেয়ে রেকর্ড করে ফেলেছে। যে কারণে তাকে রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কারে ভূষিত করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে দাদাগিরিতেও (Dadagiri) খেলতে এসেছিল সে। নিজের হাতে গিটার বাজিয়ে সৌরভ গাঙ্গুলীকে (Sourav Ganguly) গান শুনিয়েছিল ছোট্ট ধৃতিষ্মান। তখন অবশ্য তার বয়স ছিল আরও কম। মুখে ভাল করে কথা না ফুটতেই গানটাকে রপ্ত করে ফেলেছে এই খুদে প্রতিভা।
মাত্র ৫ বছর বয়সে পাঁচটি ভাষাতে অসাধারণ গান পরিবেশন করে সোশ্যাল মিডিয়াতে নজর কেড়েছিল ধৃতিষ্মান। এরপর তাকে ইয়ংগেস্ট মাল্টিলিঙ্গুয়্যাল সিঙ্গার হিসেবে রাষ্ট্রীয় বাল পুরস্কার দেওয়া হয়। মাত্র ১১ মাস বয়স থেকেই গান গাইতে শুরু করেছিল সে। গানের জগতে তার হাতেখড়ি হয়েছিল মায়ের হাত ধরে। ধৃতিষ্মানের নিজস্ব ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তার বহু গানের ভিডিও রয়েছে।
গতবছর জি বাংলাতে দাদাগিরির একটি বিশেষ পর্বে প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করেছিল ছোট্ট এই খুদে। নিজের হাতে গিটার বাজিয়ে সাবলীলভাবে গেয়ে উঠেছিলে একটা বাংলা গান। ‘জীবনে কী পাব না’ গানটি গেয়ে সৌরভকে মুগ্ধ করে দিয়েছিল সে। তার প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছিলেন দাদা। তার গানের তালে তালে অন্যান্য খুদে প্রতিযোগীরাও মেতে উঠেছিল ওইদিন মঞ্চে।
ধৃতিষ্মানের দাদাগিরিতে অংশগ্রহণের ওই ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়াতে আরও একবার উঠে এসেছে। এতদিন সংগীত অনুরাগীদের কাছে তার জনপ্রিয়তা তো ছিলই, বর্তমানে মিঠাই ধারাবাহিকের শাক্য মোদকের ভূমিকায় আসার পর থেকে সিরিয়ালপ্রেমীদের কাছেও তার জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে। এই মুহূর্তে দাদাগিরির মঞ্চ থেকে এই পুরনো ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই ধৃতিষ্মানের গানের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন সকলে।
মিঠাই ধারাবাহিকে বর্তমানে শাক্যর মায়ের জায়গা নিয়েছে মিঠি। শাক্য অনেক ছোটবেলাতেই তার মা মিঠাইকে হারিয়েছে। অন্যদিকে সিদ্ধার্থ ছেলেকে সেরা বানাতে গিয়ে সবসময় তাকে বকাঝকা করে। এমনই এক পরিস্থিতিতে মনোহরাতে এন্ট্রি হয় মিঠির। শাক্যের সঙ্গে তার দারুণ বন্ধুত্ব গড়ে উঠেছে। মিঠিকে যাতে তার বাবা ফিরিয়ে নিয়ে না চলে যান তার জন্য সে এখন মিঠাই হওয়ার অভিনয় করছে।