একবেলা খেয়ে দোকানে বাসন মেজে কেটেছে দিন, ‘বামাক্ষ্যাপা’ সব্যসাচীর জীবন যেন সিনেমা

স্টার জলসার (Star Jalsha) ‘মহাপীঠ তারাপীঠ’ (Mahapith Tarapith) ধারাবাহিকটি শেষ হয়েছে বেশ কয়েক মাস আগে। তারপর থেকেই টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি থেকে বেপাত্তা সব্যসাচী চৌধুরী (Sabyasachi Chowdhury)। হালফিলে অবশ্য জন্মাষ্টমী উপলক্ষে আয়োজিত শ্রীকৃষ্ণের জন্ম কাহিনী নিয়ে বানানো অনুষ্ঠানে বাসুদেবের ভূমিকায় তাকে দেখা গিয়েছিল। সাধক বামাক্ষ্যাপাকে বাসুদেব রূপে পেয়ে মন ভরে উঠেছিল দর্শকদের।

কিন্তু এতদিন পেরিয়ে গেল তবুও নতুন কোনও ধারাবাহিকে তাকে দেখা যাচ্ছে না। তবে এখন তিনি ধারাবাহিক ছেড়ে অভিনয় করছেন ওয়েব প্ল্যাটফর্মে। খুব শীঘ্রই ‘ক্লিক’ নামে তার একটি ওয়েব সিরিজ মুক্তি পেতে চলেছে। এই সিরিজে তার সঙ্গে থাকছেন রজতাভ দত্তসহ টলিউডের আরও একাধিক নামী অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা।

Sabyasachi Chowdhury bid adieu Mahapith Tarapith on an Emotional Note

আজ খ্যাতির মধ্য গগনে অবস্থান করছেন ‌সব্যসাচী। তবে একটা সময় ছিল যখন তাকে অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছিল। তখন তাকে দুবেলা দুমুঠো খাবারের জন্য অনেক পরিশ্রমও করতে হয়েছে। কিন্তু জীবন সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি অনেক উঁচু। তিনি কোনও কাজকেই ছোট মনে করেননি কখনও। তাই হয়তো আজ একজন ভাল অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি ভাল মনের মানুষ সব্যসাচী।

সম্প্রতি টলি ফোকাস কলকাতাতে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের স্ট্রাগলের দিনগুলো সম্পর্কে মুখ খুললেন সব্যসাচী। সেখানেই তিনি জানিয়েছেন একটা সময় এমন গিয়েছে যখন তিনি দুবেলা ভাল করে খেতেও পেতেন না। গল্প নয় সত্যি, তাকে কোনও কোনও দিন একবেলা খেয়েও থাকতে হয়েছে। তিনি কাজ করতেন কোনও এক রেস্টুরেন্টে, যেখানে বাসন মাজার পাশাপাশি ঘর মোছার কাজও করতে হত তাকে।

আজ সফলতার এই পর্যায়ে এসেও পুরনো দিনের কথা ভোলেননি সব্যসাচী। এখন অভিনয়গুণে তাকে চিনে নিয়েছেন সকলে। তবে পুরনো সেই দিনের কথাগুলো তাকে হয়তো আরও বেশি শক্ত করে তুলেছে। আজ যেখানে সামান্য ব্যর্থতাতেই অবসাদ ঘিরে ধরে মনে, আত্মহত্যার চরম পথ বেছে নিচ্ছেন তারকারা, সেখানে সব্যসাচীর কথা অনুপ্রেরণা জোগায়।

সব্যসাচী বলেন তার জীবনে অনেক কঠিন পরিস্থিতি এসেছে ঠিকই কিন্তু তিনি কখনও আত্মহত্যার কথা ভাবেননি। “আমার কখনও মনে হয়নি বেঁচে থেকে কি লাভ। ওখান থেকে ফিরে আসাই তো জীবন।”, বলেছেন সব্যসাচী। এই স্পিরিট নিয়েই তিনি একসময় তার প্রেমিকা ঐন্দ্রিলার ক্যান্সারের লড়াইয়ের সঙ্গী হয়েছিলেন। তার সাক্ষী রেখেছে গোটা বাংলা। ঐন্দ্রিলা এবং সব্যসাচী এখন দর্শকদের কাছে টলিউডের বেস্ট কাপল।