স্ক্রিপ্ট পড়ে ক্ষমা চেয়ে নাটক! ‘কুমিরের কান্না’ কেঁদে ফের গন আক্রোশের মুখে রূপঙ্কর-চৈতালি

মঙ্গলবার ফেসবুকের বিতর্কিত লাইভ ভিডিওর পর থেকে রাতারাতিই যেন বদলে যায় বাঙালি গায়ক রূপঙ্কর বাগচী (Rupankar Bagchi) এবং তার পরিবারের ব্যক্তিগত জীবন। মাত্র কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে বলিউড গায়ক কেকের (K K) মৃত্যু সংবাদ পাওয়ার পর ঝড়ের গতিতে কুমন্তব্য ধেয়ে আসে তাদের উদ্দেশ্যে। সমাজমাধ্যমে নেটিজেনরা বারংবার দাবি তোলেন নিজের বক্তব্যের জন্য ভুল স্বীকার করে তাকে ক্ষমা চাইতে হবে। শুক্রবার ক্ষমাও চাইলেন তিনি। কিন্তু তাতে সুরাহা হল কি?

শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠক ডেকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাইলেন রূপঙ্কর। নিজের বক্তব্য গুছিয়ে বলতে পারবেন না এই ভয় থেকে নিজের মনের কথা লিখে এনেছিলেন সাদা কাগজে। তিনি তার বক্তব্যের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। ফেসবুক থেকে সেই বিতর্কিত লাইভ ভিডিও ডিলিট করেছেন। বিগত কয়েকদিনে তার এবং তার পরিবারের উপর দিয়ে যে ঝড় বয়ে গিয়েছে, দুঃসহ মানসিক যন্ত্রণা ও নিদারুণ দুর্ভাবনার মধ্যে দিন কেটেছে তার কথাও উল্লেখ করেছেন। কিন্তু এত কিছুর পরেও নেটিজেনদের আক্রোশ যেন শান্ত হতেই চাইছে না।

এই ঘটনার পর রূপঙ্কর-পত্নী চৈতালি লাহিড়ীও একটি কবিতার মাধ্যমে রূপঙ্করের পক্ষ নিয়ে কথা বলেন। কেকের সম্পর্কে টু শব্দটিও না করে তিনি বলেন রূপঙ্কর বড়ই বোকা। তিনি সকলের হয়ে কথা বলতে গিয়েছিলেন। তিনি আরও লিখেছেন, এই দুঃসময়ে আপন পর জ্ঞান হয়ে গিয়েছে তাদের। তবে এতেও নেটিজেনদের মন গলেনি। তারা পাল্টা রূপঙ্কর এবং চৈতালির উদ্দেশ্যে নিজেদের ক্ষোভ জাহির করছেন।

রূপঙ্করের ক্ষমা চাওয়ার মধ্যে কোথাও অনুশোচনা নেই! মন থেকে ক্ষমা চাইলে স্ক্রিপ্ট লিখে এনে পাঠ করার প্রয়োজন পড়ত না! এমনকি রূপঙ্করের এই সাংবাদিক বৈঠককে ‘ক্ষমা চাওয়ার জঘন্য নাটক’ বলতেও ছাড়ছেন না নেটিজেনরা। রূপঙ্করের করুণ চেহারা দেখে কেউ লিখছেন কুমিরের কান্না কেঁদে সহানুভূতি আদায় করার চেষ্টা করছেন গায়ক। কারও প্রশ্ন, ‘পরীক্ষাতেও এ ভাবে দেখে লিখতেন?’ কেউ বলছেন যাতে আর কোনও বেফাঁস মন্তব্য না করে বসেন তার জন্য এইবার নিজের বক্তব্য কাগজে লিখে এনেছেন! কেউ কটাক্ষ করে বলছেন, লাইভ ভিডিও শেয়ার করার তিন দিন পর ভিডিও ডিলিট করার অর্থ হলো রুপঙ্কর এতদিন এই ভিডিও থেকে অর্থোপার্জন করছিলেন!

অন্যদিকে নেটিজেনদের রোষানল থেকে বাদ পড়েননি রূপঙ্কর-পত্নী চৈতালিও। তার লেখা কবিতার মধ্যে কোথাও উল্লেখ নেই রূপঙ্কর অন্যায় করেছেন। পাশে থাকার বার্তা দিতে গিয়ে কার্যত বিতর্কের মুখে পড়েছেন চৈতালি। নেটিজেনদের দাবি চৈতালি যদি এই মুহূর্তে রূপঙ্করকে বলতেন যে তিনি অন্যায় করেছেন, তার ক্ষমা চাওয়া উচিত তাহলে সেটা সঠিক হত। তা না করে দায়সারাভাবে সাংবাদিক বৈঠক ডেকে ক্ষমা চাওয়ার নাটক করে কার্যত ‘ঔদ্ধত্য’ দেখিয়ে গিয়েছেন রূপঙ্কর! এমনটাই লিখছেন নেটিজেনরা।