চরম অর্থকষ্টে কেটেছে ছোটবেলা, রূপা গাঙ্গুলীর অতীত জানলে চোখে আসবে জল

Roopa Ganguly`s Biography : সব তারকাদের জীবন ছোট থেকেই সুন্দর হয় না। সেরকম টলিউড (Tollywood) -র এমন অনেক তারকা আছে যাদের অনেক কষ্ট করে আজকে এই জায়গায় পৌঁছাতে হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন রূপা গঙ্গোপাধ্যায় (Roopa Ganguly)। বর্তমানে তিনি একজন অভিনেত্রী , গায়িকা, রাজনীতিবিদ। কিন্তু জানেন কি ছোটবেলা কত কষ্ট করে কেটেছে অভিনেত্রীর। চলুন জেনে নিই আজ।

Roopa Ganguly as Draupadi

মহাভারত (Mahabharat) -র দৌপদীর (Draupadi) চরিত্রর মাধ্যমে টেলিভিশন জগতে আর্বিভাব হয়েছিল রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের। অভিনেত্রীর এই পৌরাণিক চরিত্রটি আজও দর্শকদের মনে অমলিন হয়ে রয়েছে। এরপর অভিনেত্রীকে একাধিক সিনেমা ও সিরিয়ালে দেখা গেলেও তিনি একসময় অভিনয় থেকে বিরতি নেন। তারপর তিনি রাজনীতি কাজের সঙ্গে যুক্ত হন। আর এর মধ্যেই এদিন নিজের ছোটবেলা নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন তিনি।

ROOPA GANGULY

এদিন সাক্ষাৎকারে নিজের ছোটবেলা সম্পর্কে রূপা জানান, তিনি রাসবিহারীতে মাতৃসদন হাসপাতালে জন্মেছিলেন। কিন্তু তার ছোটবেলাটা আর্থিক কষ্টে কাটলেও তিনি ভালোভাবেই বড়ো হয়েছেন। কিন্তু অভিনেত্রীর জীবনে আর্থিক সামর্থ্য না থাকায় অনকবার তাকে বাসস্থান বদল করতে হয়েছিলো।

খুব ছোটতে যাদবপুর সুলেখার কাছে একটা বাড়িতে অভিনেত্রীর পরিবারভাড়া থাকতেন। তার পরে একডালিয়া রোড। তারপর কল্যাণী। যদিও সেই সময় তার বাবা বাংলাদেশে থাকতেন। এমনকি আর্থিক সামর্থ্যর জন্য পাঠভবনে ভর্তি হয়েও সেটা ছেড়ে অন্য স্কুলে ভর্তি হতে হয়েছিল। এদিকে তার মাও যত সামান্য উপার্জন করতেন। তখন তার মায়ের রোজগার ছিল ২০০ টাকা।

ROOPA GANGULY

রূপা গঙ্গোপাধ্যায়ের মা তখন জামাকাপড় সেলাই করতেন। এই প্রসঙ্গে রূপা জানিয়েছেন, ‘আমার মা বড়বাজার থেকে কাপড় কিনে এনে সায়া, পর্দা, কুশন কভার, বালিশের কভার এসব বানাতেন। আমায় মায়ের হাতের কাজ খুব সুন্দর ছিল। আমার মা কাপড়ের পুতুলও বানাতেন। যেটা আমার ভীষণ পছন্দের ছিল। এমনকি আত্মীয়-পরিজন সকলের সায়া-ব্লাউজ আমার মা-ই বানাতেন। সেখান থেকেই আমাদের সংসার চলত। আমিও মায়ের কাছে শিখে গিয়েছিলাম, মাকে সাহায্য করতাম।’

ROOPA GANGULY

আরো পড়ুন : ‘বীথি’র জন্য কত পারিশ্রমিক নিতেন রূপা গাঙ্গুলী? কত পাচ্ছেন অনুশ্রী? টাকার অঙ্ক চমকে দেবে

তিনি আরও বলেন,” একটা ছোট্ট ঘরে থাকতাম। সেখানে একটা চৌকি আর সেলাই মেশিন থাকত। সেখানেই আমরা খাওয়া-দাওয়া, রান্না থেকে শুরু করে সব করতাম। আমি তখন ছোট ক্লাস থ্রি-ফোরে পড়ি। জানালার গরাদে পা ঝুলিয়ে গান করতাম, খুব আনন্দে থাকতাম, পড়াশোনা করতাম। ভাবতাম বড় হয়ে কিছু একটা করব।’

আরো পড়ুন : ‘বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে গিয়ে অপমান করেছে’! ‘মেয়েবেলা’ টিমের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক রূপা গাঙ্গুলী