একের পর এক বিয়ে ভাঙার খবর মিলছে টলিউড থেকে। যীশু সেনগুপ্ত ও নীলাঞ্জনা সেনগুপ্তর পর এবার চর্চায় চলে এলেন টলিউডের আরেক জনপ্রিয় অভিনেতা ঋষি কৌশিক এবং তার স্ত্রী দেবযানী। কিছুদিন আগেই সোশ্যাল মিডিয়াতে নিজের এবং দেবযানীর আলাদা আলাদা দুটি ছবি পোস্ট করে ক্যাপশনে অভিনেতা লেখেন, “বিষাক্ত মানুষদের বাদে পৃথিবী খুব সুন্দর।” কিন্তু এবার সরাসরি সোশ্যাল মিডিয়াতে বোমা ফাটালেন অভিনেতা।
ঋষি এবং দেবযানীর বিয়ে হয়েছিল ২০১১ সালে। তারপর থেকে ১২ টা বছর একসঙ্গে কাটিয়েছেন তারা। প্রেম করেই বিয়েটা হয়েছিল তাদের। কিন্তু বিয়ের ৬ মাস পর থেকেই যে সমস্যার সূত্রপাত হয় তা এতদিন কাউকে টের পেতে দেননি অভিনেতা। কিন্তু এবার তার সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতে একটি ভিডিওতে ঋষি যা যা বলেছেন শুনে অবাক হয়েছেন নেটিজেনরা।
ঋষি আদতে কারও নাম না নিয়ে একটি ছেলে এবং একটি মেয়ের গল্প শুনিয়েছেন। গল্পটা কিছুটা এরকম, ১২ বছর আগে একটা ছেলে ও একটা মেয়ের বিয়ে হয়। ছেলেটা অবশ্য আগে থেকেই জানতো মেয়েটার জীবন যাপনের সঙ্গে তার অনেক পার্থক্য রয়েছে। ছেলেটি একেবারেই সাধারণ এবং ঘরোয়া। অন্যদিকে মেয়েটি উড়নচণ্ডী ও বেপরোয়া। কিন্তু মেয়েটি বিয়ের আগে তাকে বারবার বুঝিয়েছে যে সে পাল্টে যাবে। ছেলেটি তবুও বিয়েতে রাজি হয়নি। কিন্তু মেয়েটির বারবার বোঝানো এবং মিথ্যে প্রতিশ্রুতিতে সে বিশ্বাস করেছিল।
এরপর তাদের বিয়ে হয়। বিয়ের ৬ মাস হানিমুন পিরিয়ড কেটেছিল। কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় তারপর থেকে। ছেলেটি ও মেয়েটি দুজনেরই কর্মক্ষেত্রে ছিল আলাদা। মেয়েটি আইটি সংস্থায় কর্মরত। ভালো বেতনের চাকরি করে। কিন্তু ছেলেটির সঙ্গে কথায় কথায় দুর্ব্যবহার করতে থাকে। বিয়ের পর নিজেকে পাল্টানো তো দূরের কথা, সে নাকি আরো বেশি বেপরোয়া হয়ে উঠতে থাকে। গত ১২ বছর ধরে সে শুধু ছেলেটির উপর খবরদারি চালিয়ে গিয়েছে।
ঋষির কথায়, এভাবে চললে জীবন শেষ করে দিতে হয়। মেয়েটিকে বললে সে বলে “তুমি তোমার মতো থাকবে আমি আমার মতো থাকবো।” কিন্তু ঋষির কথায়, যদি কারো টিউমার হয় তাহলে সেই টিউমারকে বাড়তে বাড়তে ক্যান্সার হতে দেওয়া উচিত হবে কি? ১২ বছর হয়ে গিয়েছে বলেই কি অপেক্ষা করতে হবে? ধূমপান, মদ্যপান, রাত্রে পুরুষ বন্ধুদের সঙ্গে পার্টি, এগুলো কি আধুনিকা নারীর বৈশিষ্ট্য?
আরও পড়ুন : নীলাঞ্জনাকে ছেড়ে কার সঙ্গে লিভ ইন করছেন যীশু? অবশেষে প্রকাশ্যে এলো নতুন প্রেমিকার পরিচয়
সেই মেয়ে সবার সামনে এমন ভাব দেখায় যেন তার থেকে ভালো আর কেউ হয় না। লোকের কাছে বলে তার স্বামীর নাকি মানসিক ভারসাম্য নেই। কথায় কথায় কাজের খোঁটা দেয় স্বামীকে। সবাইকে বলে সেই নাকি ছেলেটিকে কাজ এনে দেয়। কিছু বলতে গেলেই কমিশন, পুলিশের ভয় দেখায়। কিন্তু ছেলেটি আর ভয় পাবে না। কারণ সেও জানে কোথায় কবে কি হয়েছে।
আরও পড়ুন : বাংলা সিরিয়ালের অবাঙালি অভিনেতা, ঋষি কৌশিকের আসল নাম কী জানেন?
আরও পড়ুন : ‘ইষ্টিকুটুম না ছাড়লে মরেই যেতাম’, জানেন কী ঘটেছিল পর্দার ‘বাহামণি’র সঙ্গে?
ঋষির এই ভিডিও দেখে সবাই ধরেই নিচ্ছেন ঘটনাটি আসলে অভিনেতার নিজের জীবনের গল্প। স্বাভাবিকভাবেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিও। অভিনেতার পাশে দাঁড়াচ্ছেন নারী-পুরুষ নির্বিশেষে। এত যন্ত্রণার মাঝে জীবন কাটানোর থেকে ডিভোর্স নিয়ে নেওয়াই উচিত, এমনই মত সকলের। এমন টক্সিক সম্পর্কে টিকে থাকার থেকে বেরিয়ে যাওয়াই উচিত বলে মন্তব্য করছেন নেট নাগরিকরা।