কেরিয়ারে নতুন মোড়! তবে কি অভিনয় ছেড়ে দেবেন রণজয়?

রণজয় বিষ্ণু, টলিউড এবং বাংলা সিরিয়ালের পরিচিত মুখ। স্টার জলসার ‘গুড্ডি’ সিরিয়ালের অনুজ হোক কিংবা বর্তমানে জি বাংলার ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ এর অনিকেত, বর্তমানে টিভি সিরিয়ালের দর্শকরা বেশ পছন্দ করেন তার অভিনয়। কিন্তু এবার সম্পূর্ণ এক নতুন পথে পা বাড়ালেন রণজয়। রণজয় এবার অনুসরণ করতে চলেছেন তার প্যাশনকে। তাহলে কি অভিনয় ছেড়ে দেবেন অভিনেতা?

অভিনয় পেশা হলেও রণজয়ের প্যাশন হল লেখালেখি করা। আজ থেকে নয়, বিগত বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি লেখালেখি করছেন। তবে এবার লেখালেখি তাকে একটু বেশি গুরুত্ব দিতে চলেছেন তিনি। তিনি তথাকথিত লেখক নন। নিজের মনে যা আসে তাই তিনি লেখেন। তবে তার লেখা পাঠকরা বেশ পছন্দ করেন। কারণ তারা আসলে তার লেখার সঙ্গে নিজেদের মিল খুঁজে পান।

Ranojoy Bishnu

আনন্দবাজার অনলাইনকে সম্প্রতি রণজয় বলেছেন, ‘‘এই ভাবনা এসেছিল বেশ কিছু দিন আগেই। তবে আমি খুব ভাবনাচিন্তা করে যে লিখি, তা নয়। আমি তো লেখক নই। আমার কিছু মাথায় এলে, সেটা আমি লিখে ফেলি। মনে যা চলে, তা-ই লিখি। বহু মানুষ সে সব শুনে বলেছেন, আমার লেখায় তাঁরাও নিজেদের সঙ্গে মিল পাচ্ছেন। কিন্তু নিজের লেখাকে আমি ‘ভুলভাল’ লেখা বলি।’’

রণজয় এবার তার সহ অভিনেতা নীল চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে মিলে নতুন এক উদ্যোগ নিয়েছেন। তার ঝলক সম্প্রতি দেখা গিয়েছে তাদের ইনস্টাগ্রাম প্রোফাইলে। দেখা যাচ্ছে রণজয় তার নিজের লেখা কবিতা পাঠ করছেন। আর নীল তাতে সুর বসিয়ে গিটারে গান গাইছেন। ক্যাপশনে লিখেছেন, “জীবনের লেখা… জীবনের গান”। শ্রোতাদের প্রতিক্রিয়াও চেয়েছেন তারা।

Ranojoy Bishnu

আনন্দবাজারকে রণজয় বলেছেন, ‘‘বহু দিনের ইচ্ছে ছিল এক জন ভাল সঙ্গী পাব। যেমন, আমার আগে আর একটা ইচ্ছে ছিল, কেউ একটা গান গাইবে বা কবিতা পাঠ করবেন। আমি সেই ভাবনাটা নিয়ে ছবি আঁকব। কাল আমি কবিতা পাঠ করছিলাম আর নীল তাতে সুর দিয়ে গান গাওয়া শুরু করে। খুব ভাল লাগল বিষয়টা। ঠিক করেছি কোথাও এমন একটা অনুষ্ঠানও করব।’’

আরও পড়ুন : বর্তমানে বাংলা সিরিয়ালের ৪ বিখ্যাত লেখক, যাদের গল্প ছাড়া টিভি ইন্ডাস্ট্রি চলবে না

Ranojoy Bishnu

আরও পড়ুন : রণজয় বিষ্ণু নয়! ‘কোন গোপনে মন ভেসেছে’ নায়কের আসল নাম কী?

বিগত ৬ থেকে ৭ বছর ধরে লেখালেখির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন রণজয়। জীবন তাকে যেভাবে শিক্ষা দেয় তিনি সেটা নিয়েই লেখেন। তার একটা লাল খাতা আছে। সেই খাতাতেই তিনি নিজের ইচ্ছামত লেখেন। মহাদেব সাহা, হুমায়ুন আহমেদ, ভাস্কর চক্রবর্তী, শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায়সহ আরও অনেকের লেখা তার পড়তে ভাল লাগে। তিনি আরও বলেছেন লেখাটা তার পেশা নয়। তার মনের বহিঃপ্রকাশ ঘটে লেখার মাধ্যমে।

 

View this post on Instagram

 

A post shared by RANO JOY (@rano_joy22)