‘দিদি নম্বর ১’ (Didi No One) হোক বা অন্য রিয়্যালিটি শো, রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় (Rachana Banerjee) আসর জমাতে ওস্তাদ। কখনও দিলখোলা হাসি। কখনও সপাট জবাব। বাংলা, ওড়িয়া, বলিউড (Bollywood) এর এই নায়িকা সব ক্ষেত্রেই প্রাণবন্ত। তিনি তার তিন দশকের অভিনয় জীবনে কয়েকশো ছবিতে অভিনয় করেছেন। আর যার বেশিরভাগ ছবিতে জুটি বেঁধেছেন টলিউড (Tollywood) অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় (Prasenjit Chatterjee) -র সঙ্গে। আর এবার প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে নিজের সম্পর্ক নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন রচনা।
রচনা ব্যানার্জীর জন্ম হয়েছিল ১৯৭৪ সালে। তার আসল নাম ছিল ঝুমঝুম। বাংলার ‘দান প্রতিদান’ ছবিতে ঝুমঝুম বন্দ্যোপাধ্যায়ই হয়ে ওঠেন রচনা। তারপর থেকে বাংলা এবং ওড়িয়া ইন্ডাস্ট্রি তাকে এই নামেই চেনে।টলিউডে কিছুদিন কাজ করেই দক্ষিণে পাড়ি দেন নায়িকা। অমিতাভ বচ্চন থেকে চিরঞ্জীবী, দক্ষিণের এবং বলিউডের নামি দামি তারকাদের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছেন তিনি।
তবে তিনি টলিউডেও জমিয়ে কাজ করেছেন। প্রসেনজিতের সঙ্গেও ৩৫ টি ছবিতে তিনি কাজ করেন। আর তারপর প্রসেনজিতের সঙ্গে তার প্রেম না হওয়ার দুঃখ প্রকাশ করলেন রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। রচনা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষেপ করছেন, কেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় তাঁর প্রেমে পড়েননি! চলুন জেনে নিই আসল ঘটনা।
শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের সঞ্চালনায় জি বাংলার টক শো অপুর সংসারে এসে খোলা মনে আড্ডায় মেতেছিলেন অভিনেত্রী রচনা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই প্রসেনজিতের সঙ্গে তার প্রেম না হওয়া নিয়ে মুখ খোলেন অভিনেত্রী। সবার সামনে রচনা বলেন , ‘‘বুম্বাদা আর আমি কম করে ৪০টি ছবি করেছি। তার পরেও ওঁর এক বারও মনে হল না, রচনার সঙ্গে একটু প্রেম করি! আমিও তো সুন্দরী নায়িকা।’’
তবে অভিনেত্রী তার ব্যাক্তিগত জীবনে দুবার বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন। ২০০৪ সালে ওড়িয়া অভিনেতা সিদ্ধান্ত মহাপাত্রকে বিয়ে করেছিলেন রচনা। কিন্তু এক বছর গড়াতে না গড়াতেই সেই বিয়ে ভেঙে যায়। এরপর রচনা চলে আসেন কলকাতায়। দু বছরের মাথায় আবার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি।
আরও পড়ুন : রুপে লক্ষ্মী গুণে সরস্বতী, মুকেশ আম্বানির শালী আসলে কে? রইল তার আসল পরিচয়
আরও পড়ুন : নতুন সিরিয়াল আসতেই উলটপালট টিআরপি! রইল সেরা দশের বেঙ্গল টপারের তালিকা
তারপর ২০০৬ সালে ব্যবসায়ী প্রবাল বসুর সঙ্গে রচনার বিয়ে হয়েছিল। তাদের এক পুত্র সন্তান রয়েছে, নাম তার প্রনীল। তবেকোনও এক অজানা কারণে প্রবালের সঙ্গেও থাকতে পারেননি রচনা। ছেলেকে নিয়ে তিনি আলাদা হয়ে যান। এখন সিঙ্গেল মাদার হিসেবে ছেলের দায়দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এই সন্তানই রচনার জীবনের একমাত্র অবলম্বন।